মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক আলোচিত মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। এক্সের পূর্বনাম ছিল টুইটার। টুইটার কিনে নিয়ে ইলন মাস্ক এক্স নামকরণ করেন। ইলন খুদে ব্লগ লেখার ওয়েবসাইট এক্সকে বিক্রির ঘোষণা নিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন। যে এক্স নিয়ে তার এত প্রভাব, তা কেন বিক্রি করছেন তা নিয়ে ইন্টারনেট দুনিয়া চমকে যায়। বাস্তবতা হচ্ছে ইলন মাস্ক এক্স বিক্রি করলেও তা আসলে ইলন নিজের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানি এক্সএআইয়ের কাছেই বিক্রি করেছেন ইলন। এবার বিক্রির সময় প্রায় ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের অল-স্টক চুক্তিতে বিক্রি করেছেন ইলন মাস্ক।

এক্স ও এক্সএআই দুটি কোম্পানিই ইলন মাস্কের ব্যক্তিগত মালিকানাধীন। মাস্ক এক্সের একটি পোস্টে লিখেছেন, এই পদক্ষেপ এক্সএআইয়ের উন্নত এআই ক্ষমতা ও দক্ষতার সঙ্গে এক্সকে যুক্ত করে বিশাল সম্ভাবনা উন্মোচন করবে। এই চুক্তি অনুসারে এক্সএআইয়ের মূল্য আট হাজার কোটি ডলার ও এক্সের মূল্য ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলার নির্ধারণ করে।

টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক এখন মার্কিন রাজনীতিতে বেশ আলোচিত। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত মাস্ক ২০২২ সালে ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে টুইটার সাইটটি কিনেছিলেন। তখন কর্মীদের ছাঁটাই করা থেকে শুরু করে ঘৃণ্য বক্তব্য, ভুল তথ্য ও ব্যবহারকারী যাচাইকরণের নীতি পরিবর্তন করে আলোচনায় আসেন ইলন। পরবর্তী সময়ে টুইটারের নাম পরিবর্তন করে এক্স রাখেন। তার এক বছর পর এক্সএআই চালু করেন। মাস্ক এক্সের বিষয়ে লিখেছেন, ‘এক্সএআই ও এক্সের ভবিষ্যৎ একে অপরের সঙ্গে জড়িত। ডেটা, মডেল, কম্পিউট করার শক্তি থেকে শুরু করে তথ্য বিতরণ ও কর্মীদের একত্র করার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছি। এই সম্পর্ক এক্সএআইয়ের উন্নত এআই ক্ষমতা ও দক্ষতার সঙ্গে এক্সের বিশাল সম্ভাবনা উন্মোচন করবে। সত্য অনুসন্ধান ও জ্ঞানে অগ্রগতি আমাদের মূল মিশন। তার দিকে খেয়াল রেখে সম্মিলিতভাবে দুই কোম্পানি কোটি কোটি মানুষকে আরও স্মার্ট ও অর্থবহ অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।’

নতুন এই পদক্ষেপ এক্স ব্যবহারকারীদের জন্য কোনো পরিবর্তন আনবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। এক্সএআই ইতিমধ্যে তার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেলকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য এক্স ব্যবহারকারীদের পোস্ট থেকে ডেটা ব্যবহার করছে। এক্স ব্যবহারকারীরা এক্সএআইয়ের এআই চ্যাটবট গ্রোক বেশ কয়েক মাস ধরে ব্যবহার করছেন।

সূত্র: রয়টার্স

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম স ক এক স ইলন ম স ক ব যবহ র ট ইট র এক স ব এক স র ন ইলন

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে চুরির মামলার ২ আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩

বন্দরে বসতঘরে চুরির ঘটনার মামলার ২ চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতরা হলো বন্দর উপজেলার ফরাজীকান্দা ছোট মসজিদ এলাকার কাজীমুদ্দিনের ছেলে সাব্বির(২২) ও একই এলাকার ইয়াজল হোসেন মিয়ার ছেলে অলিদ(৪০)। এ ব্যাপারে গৃহিনী শান্তা বেগম বাদী হয়ে ধৃতদের বিরুদ্ধে  বন্দর থানায়  চুরির মামলা দায়ের করেন। যার নং ১(১১)২৫। 

এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার জয়নগর এলাকার সিরাজুল মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম (৩২) নামে এক যুবককে সন্দেহ জনক ভাবে আটক করে পুলিশ। ধৃতদের সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে উল্লেখিত মামলায়  আদালত প্রেরণ করেছে পুলিশ।

গত রোববার (২ নভেম্বর)  রাতে বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত ৪ অক্টোবর বন্দর উপজেলা  ফরাজীকান্দা এলাকায় এ চুরির ঘটনাটি ঘটে।

‎মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে,  মামলার বাদিনী বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা গ্ ছোট মসজিদস্থ তার  পিতার বাড়িতে বসবাস করে আসছে। বিবাদী একই এলাকার সম্পর্কে বাদিনী চাচাত ও ফুফাত ভাই ।

গত ৩ অক্টোবর বাদিনী নানা মৃত্যুবরন করলে বাদিনীসহ তার  পরিবারের লোকজন মুন্সিগঞ্জস্থ নানা বাড়িতে যায়। পরের দিন গত ৪ অক্টোবর বাদিনী তার পিতার বাড়িতে এসে  রুমে প্রবেশ করলে সবকিছু এলোমেলো দেখতে পায়।

সন্দেহ হলে ঘরের ভিতর তল্লাশী করিলে দেখতে পাড আমাদের দুটি এড্রয়েট মোবাইল সেট,মাটির ব্যাংকে রক্ষিত ১০ হাজার টাকা,দামী ব্রান্ডের ব্লুটোথসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস চুরি করে নিয়ে যায় ।

ঘরের বিভিন্ন স্থানে খোজ করিয়াও বর্নিত মালামালের কোন সন্ধান পাওয়া যায় নাই। বিবাদীরা ইতিপূর্বেও আমার বাড়িতে চুরি করেছিল এবং আমাদের প্রতিবেশিরা আমাদের অনুপস্থিতিতে বাড়ির চারপাশে ঘুরাঘুরি করতে দেখেছে বলে জানায়।

‎‎পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।  এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার জয়নগর এলাকার সিরাজুল মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম (৩২) নামে এক যুবককে সন্দেহ জনক ভাবে আটক করে। পরে আটককৃতকে পুলিশ আইনের ৩৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ