ঈদে হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত: নিশো
Published: 30th, March 2025 GMT
আফরান নিশো অভিনীত আলোচিত সিনেমা ‘দাগি’। শিহাব শাহীন নির্মিত এই সিনেমা ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাবে। টানা প্রচারের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন সিনেমা সংশ্লিষ্টরা।
ঈদ আনন্দে বাড়তি বিনোদন যোগাতে পর্দায় দেখা যাবে নিশোকে। তবে হতদরিদ্র মানুষগুলো যেন ঈদ আনন্দের অংশ হতে পারেন, সেজন্য সবাইকে তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ‘সুরঙ্গ’খ্যাত এই তারকা।
সংবাদ সম্মেলনে আফরান নিশো বলেন, “আমরা যারা স্বাভাবিক জীবনযাপন করছি, ঈদটা আসলে তাদের নয়। সবসময় মনে হয়, যারা হতদরিদ্র, যাদের তিনবেলা খাবার জুটছে না, ঈদটা তাদের জন্য। তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। আমাদের যে ধর্মীয় অনুশাসন ও সামাজিক অবস্থান আছে, সেই জায়গা থেকে দায়িত্বগুলো পালন করা উচিত।”
আরো পড়ুন:
প্রকাশ্যে ‘চাঁদ মামা’, নেটিজেনরা বলছেন ‘আগুন’
আমাকে কেন বাজে কথা শুনতে হলো, প্রশ্ন কাজী মারুফের
ছোটবেলায় ঈদ সালামি পেতেন আফরান নিশো। তা জানিয়ে এই অভিনেতা বলেন, ‘ঈদ এলেই সালামি পেতাম। সেই সময় চকচকে নোট ছাড়া সালামি নিতাম না। আমার মনে পড়ে, নানির কাছ থেকে একটু বেশি সালামি নিয়ে একটা সেলফোন কিনেছিলাম। তখন বাটনফোন ছিল।’
সিনেমাটিতে ‘দাগি’ আসামি নিশান চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিশো। সিনেমাটি নিয়ে ভক্তদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আমার ভক্তদের ঈদটা যেন দাগিময় হয়ে যায়। সিনেমাটা দেখে তাদের কোনো একটা বোধ তৈরি হলে আমার মনে হয় ঈদটা সার্থক হবে।”
‘দাগি’ সিনেমায় আরো অভিনয় করেছেন— চিত্রনায়িকা তমা মির্জা, সুনেরাহ বিনতে কামাল, শহীদুজ্জামান সেলিম প্রমুখ। এটি প্রযোজনা করেছে এসভিএফ ও আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র আফর ন ন শ
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫