আফরান নিশো অভিনীত আলোচিত সিনেমা ‘দাগি’। শিহাব শাহীন নির্মিত এই সিনেমা ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাবে। টানা প্রচারের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন সিনেমা সংশ্লিষ্টরা।

ঈদ আনন্দে বাড়তি বিনোদন যোগাতে পর্দায় দেখা যাবে নিশোকে। তবে হতদরিদ্র মানুষগুলো যেন ঈদ আনন্দের অংশ হতে পারেন, সেজন্য সবাইকে তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ‘সুরঙ্গ’খ্যাত এই তারকা।

সংবাদ সম্মেলনে আফরান নিশো বলেন, “আমরা যারা স্বাভাবিক জীবনযাপন করছি, ঈদটা আসলে তাদের নয়। সবসময় মনে হয়, যারা হতদরিদ্র, যাদের তিনবেলা খাবার জুটছে না, ঈদটা তাদের জন্য। তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। আমাদের যে ধর্মীয় অনুশাসন ও সামাজিক অবস্থান আছে, সেই জায়গা থেকে দায়িত্বগুলো পালন করা উচিত।”

আরো পড়ুন:

প্রকাশ্যে ‘চাঁদ মামা’, নেটিজেনরা বলছেন ‘আগুন’

আমাকে কেন বাজে কথা শুনতে হলো, প্রশ্ন কাজী মারুফের

ছোটবেলায় ঈদ সালামি পেতেন আফরান নিশো। তা জানিয়ে এই অভিনেতা বলেন, ‘ঈদ এলেই সালামি পেতাম। সেই সময় চকচকে নোট ছাড়া সালামি নিতাম না। আমার মনে পড়ে, নানির কাছ থেকে একটু বেশি সালামি নিয়ে একটা সেলফোন কিনেছিলাম। তখন বাটনফোন ছিল।’

সিনেমাটিতে ‘দাগি’ আসামি নিশান চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিশো। সিনেমাটি নিয়ে ভক্তদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আমার ভক্তদের ঈদটা যেন দাগিময় হয়ে যায়। সিনেমাটা দেখে তাদের কোনো একটা বোধ তৈরি হলে আমার মনে হয় ঈদটা সার্থক হবে।”

‘দাগি’ সিনেমায় আরো অভিনয় করেছেন— চিত্রনায়িকা তমা মির্জা, সুনেরাহ বিনতে কামাল, শহীদুজ্জামান সেলিম প্রমুখ। এটি প্রযোজনা করেছে এসভিএফ ও আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র আফর ন ন শ

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে এটিএম বুথে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক

গাজীপুরের শ্রীপুরে অধিক বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একটি এটিএম বুথের নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৬ জুন) সকালে ওই নারী শ্রমিকের বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। 

রবিবার (১৫ জুন) সকালে শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের এমসি বাজার এলাকায় তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ।

ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় একটি কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন। অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী মো. লিটন (৩৫) তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন বুথে দায়িত্ব পালন করতেন। 

লিটন ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে। বর্তমানে তিনি মুলাইদ গ্রামের আতাব উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন এবং ফাস্ট সলিউশন লিমিটেড নামের একটি নিরাপত্তা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অধীনে চাকরি করতেন।

থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, এটিএম বুথে টাকা তোলার সূত্র ধরে এই নারী শ্রমিকের সঙ্গে পরিচয় হয় লিটনের। একপর্যায়ে লিটন ভুক্তভোগীকে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রবিবার সকালে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে ডেকে আনেন। সকাল ৬টার দিকে বুথে গেলে লিটন তাকে ভেতরে একটি ছোট কক্ষে বসিয়ে রাখেন এবং জানান যে, নতুন চাকরির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে তার সাক্ষাৎকার নেবেন।

ভিকটিমের বাবা দুইবার মেয়ে চাকরির বিষয়ে খোঁজ নিলে লিটন জানান, চিন্তার কিছু নেই, সব ঠিক আছে। তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেব। এরপর আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে লিটন কক্ষে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি ফেরার পথে মেয়ে তার বাবাকে ঘটনাটি জানায়।

ঘটনার বিষয়ে ফাস্ট সলিউশন লিমিটেডের সুপারভাইজার মো. হানিফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারিক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত লিটন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। দ্রুতই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরো জানান, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে।

ঢাকা/রফিক/টিপু  

সম্পর্কিত নিবন্ধ