পাকিস্তানের বিপক্ষে রেকর্ড গড়ার পর আব্বাসের ফোনে কয়েক হাজার নোটিফেকশন
Published: 30th, March 2025 GMT
ওয়ানডে অভিষেকেই রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন মুহাম্মদ আব্বাস। তাও আবার নিজের জন্মভূমি যেটা, সেই পাকিস্তানের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের হয়ে। ওয়ানডে অভিষেকে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ডটি এখন তাঁর, কাল পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৪ বলে ফিফটি করা আব্বাস আউট হয়েছেন ২৬ বলে ৫২ রান করে
ওই রেকর্ডের কথা কখন জানতে পারলেন? নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের মিডিয়া বিভাগের পাঠানো এক অডিওতে আব্বাস বলেন, ‘আমার কোনো ধারণা ছিল না, ড্রেসিংরুমে কেউ একজন আমাকে বলেছিল। মনে করতে পারছি না কে বলেছিল, তবে আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না।’
মুহাম্মদ আব্বাসের আন্তর্জাতিক অভিষেক নিউজিল্যান্ডের হয়ে হলেও তাঁর জন্ম আসলে পাকিস্তানের লাহোরে। বাবা আজহার আব্বাস পাকিস্তানের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটও খেলেছেন। তবে পরে নিউজিল্যান্ডে এসেই থিতু হয়েছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ঠিকানা বদলে গেছে আব্বাসেরও।
আরও পড়ুনপাকিস্তানের ছেলে পাকিস্তানের বিপক্ষে গড়লেন বিশ্ব রেকর্ড২৯ মার্চ ২০২৫এখানে এসেও ক্রিকেটকে ছাড়েননি আজহার। খেলোয়াড়ি–জীবন শেষে এখন আজহার ওয়েলিংটনের সহকারী কোচ। তাঁর ছেলে মুহাম্মদ আব্বাসও ক্রিকেটার হয়েছেন, খেলেন ওয়েলিংটনের হয়ে। এবার হয়ে গেল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেকও।
মুহাম্মদ আব্বাস.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব’
ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ২টা ২০ মিনিট। মাথার ওপর প্রখর রোদের উত্তাপ। প্রচণ্ড গরমে ত্রাহি অবস্থায় একটু বিশ্রাম নিতে গাছের ছায়ার খোঁজে ক্লান্ত পথিক। এমন সময় ঘর্মাক্ত শরীরে একটি ভবন নির্মাণের কাজ করতে দেখা গেল কয়েকজন শ্রমিককে। তাদের একজন তোঁতা মিয়া, অপরজন হাবিবুল।
হাবিবুল পাথর ভরেই যাচ্ছেন, তোঁতা মিয়া সেগুলো মাথায় করে একের পর এক টুড়ি ছাদ ঢালাইয়ের জন্য পৌঁছে দিচ্ছেন নির্দিষ্ট স্থানে। সেখানেও বালু-পাথরের মিশ্রণ করছেন আরও কয়েকজন। তাদের কর্মযজ্ঞের এক ফাঁকে কথা হয় তোঁতা মিয়ার সঙ্গে।
আলাপকালে তোঁতা মিয়া বলেন, ‘সারাদিন কাম (কাজ) কইরা ৫০০ ট্যাহা (টাকা) হাজিরা পাই। এইডি দিয়া কোনোমতে বউ-পুলাপান নিয়া দিন পার করতাছি। মে দিবস-টিবস কী কইতারতাম না। আমরার মতো গরিব মানুষ কাম না করলে পেডে ভাত জুটতো না এইডাই কইতারবাম।’
গতকাল বুধবার ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজ করার সময় এসব কথা বলেন তোঁতা মিয়া (৪৫)। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া এলাকায়। এ সময় কথা হয় আরেক নির্মাণ শ্রমিক একাদুল মিয়ার সঙ্গে। একাদুলও জানেন না মে দিবস কী। তিনি বলেন, ‘এই কাম কইরা খাইয়া-না খাইয়া বউ-পুলাপান লইয়া কোনোরহমে দিন পার করতাছি। বর্তমান বাজারো জিনিসপাতির দাম বাড়লেও আমরার মজুরি বাড়ে না। পাঁচ বছর আগেও যা পাইতাম, অহনও তাই পাই।’ তিনি বলেন, ‘কয়েক ট্যাহা সঞ্চয় করবাম এই বাও (উপায়) নাই। অসুখ অইয়া চার দিন ঘরে পইড়া থাকলে না খাইয়া থাহন লাগব। আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব?’
আজ বৃহস্পতিবার মহান মে দিবস। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের এই দিনটি সারাবিশ্বের শ্রমিক শ্রেণির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বহির্বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হয় নানা আয়োজনে। কিন্তু যাদের অধিকার আদায়ের জন্য এ দিনটি পালন করা হয়– তারাই জানেন না দিবসটি সম্পর্কে। তাদের আরেকজন দিনমজুর রাজন মিয়া। রাজন জানান, এসব দিবসে তাদের মতো গরিব মানুষের কোনো লাভ-লোকসান নেই।