ওয়ানডে অভিষেকেই রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন মুহাম্মদ আব্বাস। তাও আবার নিজের জন্মভূমি যেটা, সেই পাকিস্তানের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের হয়ে। ওয়ানডে অভিষেকে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ডটি এখন তাঁর, কাল পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৪ বলে ফিফটি করা আব্বাস আউট হয়েছেন ২৬ বলে ৫২ রান করে

ওই রেকর্ডের কথা কখন জানতে পারলেন? নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের মিডিয়া বিভাগের পাঠানো এক অডিওতে আব্বাস বলেন, ‘আমার কোনো ধারণা ছিল না, ড্রেসিংরুমে কেউ একজন আমাকে বলেছিল। মনে করতে পারছি না কে বলেছিল, তবে আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না।’

মুহাম্মদ আব্বাসের আন্তর্জাতিক অভিষেক নিউজিল্যান্ডের হয়ে হলেও তাঁর জন্ম আসলে পাকিস্তানের লাহোরে। বাবা আজহার আব্বাস পাকিস্তানের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটও খেলেছেন। তবে পরে নিউজিল্যান্ডে এসেই থিতু হয়েছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ঠিকানা বদলে গেছে আব্বাসেরও।

আরও পড়ুনপাকিস্তানের ছেলে পাকিস্তানের বিপক্ষে গড়লেন বিশ্ব রেকর্ড২৯ মার্চ ২০২৫

এখানে এসেও ক্রিকেটকে ছাড়েননি আজহার। খেলোয়াড়ি–জীবন শেষে এখন আজহার ওয়েলিংটনের সহকারী কোচ। তাঁর ছেলে মুহাম্মদ আব্বাসও ক্রিকেটার হয়েছেন, খেলেন ওয়েলিংটনের হয়ে। এবার হয়ে গেল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেকও।

মুহাম্মদ আব্বাস.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারে একাডেমি না করলে অর্থ দেবে না ফিফা

ফিফার অর্থায়নে কক্সবাজারে সেন্টার ফর এক্সিলেন্স স্থাপনের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালংয়ে এ সেন্টার তৈরি হওয়ার কথা ছিল। তবে বন কেটে এ ধরনের স্থাপনা তৈরির বিরোধিতা করেন পরিবেশবাদীরা। এ কারণে রামুতে এ একাডেমি হচ্ছে না। তাই কক্সবাজারের অন্য জায়গায় জমি খুঁজছে বাফুফে। যেভাবে কাজ এগোচ্ছে, তাতে ফিফার অর্থ বরাদ্দ বন্ধের আশঙ্কা করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। 

গতকাল ‘মিট দ্য প্রেসে’ এ বিষয়ে কথা বলেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল, ‘আমরা অনেক দিন ধরে ফিফা টেকনিক্যাল সেন্টার ডেভেলপমেন্টের জন্য বসে ছিলাম। জমিজমা ইত্যাদির জন্য আমরা পিছিয়ে ছিলাম। সেটার জন্যও ফিফা থেকে আমাদের ওপর চাপ আছে। ডিসেম্বরের মধ্যে যদি কাজটা শুরু না করি, তাহলে সেই ফান্ডটা কিন্তু হারিয়ে যাওয়ার জায়গা আছে। তবে আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিতে পারি ফান্ডটা হারাব না। আমরা কাজটি অচিরেই শুরু করতে পারব।’

ফিফা নিজ তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন দেশে একাডেমি করে দিচ্ছে। বাফুফেও দেশে এমন একাডেমি করার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানান তাবিথ, ‘ফিফাতে ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্টের অধীনে ফিফা ৭৫টি একাডেমি করতে যাচ্ছে। সেখানে একেকটি সদস্যের আবেদন করতে হয়। আবেদন করলে টিবিএস কমিটি যদি অনুমোদন করে, তাহলে আর্সেন ওয়েঙ্গারের ফাইনাল সিদ্ধান্তে একাডেমিগুলো ডেভেলপমেন্ট করা হয়। সর্বশেষ কংগ্রেসে আমি সরাসরি আর্সেন ওয়েঙ্গারের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি কমিটমেন্ট চেয়েছেন, আমিও কথা দিয়ে এসেছি। এই বছরের মধ্যে আমরা ফিফার সঙ্গে চুক্তি করে আসব, যেন বাংলাদেশে ফিফা সার্টিফাইড একাডেমি তৈরি করা হয়। এরই মধ্যে ফিফার কাছে আমরা চিঠি দিয়েছি। তারাও কিছু বিষয় তুলে ধরে চিঠি দিয়েছে আমাদের। তাদের এই বিষয়গুলো যদি আমরা মনে করি পূরণ করতে পারব, তাহলে সামনে যে কোনো সময় চুক্তি করব। আমার উদ্দেশ্যে হলো সেপ্টেম্বরের দিকে চুক্তি করা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ