Samakal:
2025-06-16@00:45:48 GMT

৬০ ফিট বিলবোর্ডে ‘জংলি’

Published: 30th, March 2025 GMT

৬০ ফিট বিলবোর্ডে ‘জংলি’

ঈদের সিনেমা হিসেবে মুক্তি পাচ্ছে ছয়টি সিনেমা। এবার সিনেমা প্রোমোশনে কোনো কমতি রাখছেন না পরিচালক-প্রযোজকরা। প্রোমোশনের অংশ হিসেবে এবার ৬০ ফিট বিলবোর্ড লাগাতে দেখা গেল জংলি টিমকে।

শনিবার বিকেলে বেইলি রোডে ‘জংলি’ সিনেমার পোস্টার দিয়ে একটি ৬০ ফিট বিলবোর্ড লাগানো হয়েছে। এটি একটি ব্যতিক্রমী প্রচারণাও বলছেন অনেকে।

‘জংলি’ ছবিটি পরিচালনা করেছেন এম রাহিম, যিনি এর আগে ‘শান’ সিনেমা দিয়ে দারুণ সাড়া ফেলেছিলেন। সিনেমাটি অ্যাকশন ও সাসপেন্সের সংমিশ্রণে তৈরি হয়েছে, যেখানে গল্পের বাঁকবদল দর্শকদের চমকে দেবে। স্টাইলিশ ভিজ্যুয়াল ও রোমাঞ্চকর কাহিনির জন্য সিনেমাটি তরুণ দর্শকদের ভালো লাগবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন নির্মাতা।

টাইগার মিডিয়ার কর্ণধার ও জংলির প্রযোজক জাহিদ হাসান অভি বলেন, সিনেমার সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব। সিনেমা কিভাবে আরও বিশেষভাবে মানুষের কাছে নিয়ে যেতে পারি সে লক্ষে কাজ করে টাইগার মিডিয়া। এবারের জংলি সিনেমার ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব প্রচারণা চালাচ্ছি। তারা ধারাবাহিকতায় আমাদের বিলবোর্ড প্রচারণা। 

সিয়াম আহমেদ বলেন, বিলবোর্ড সিনেমার প্রচারণা কিন্তু দারুণ একটি বিষয়। বেশ আগে এটা দেখতাম। এখন খুব একটা দেখা যায় না। জংলি সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সেটা আবার দেখাচ্ছে এটা ভালো লাগছে। আমরা জংলি সিনেমার প্রচারণায় সব জায়গাতেই সামান্যতম হলেও নক দিতে চেয়েছি। আমার বিশ্বাস সেটা আমরা পেরেছি। এবার আমাদের সিনেমা হলে দেখা হওয়ার পালা। আশা করি কাল থেকে সিনেমা হলে জংলি দেখতে দর্শকদের দারুণ রেসপন্স পাবো। 

এম রাহিম বলেন, সিনেমার গল্পের মত জংলির প্রচারণায়ও ইউনিক অনেক বিষয় নিয়ে আসছি আমরা। নানা ভাবেই প্রচারণা চালিয়েছি। বিলবোর্ড প্রচারণার মাধ্যমে আমরা ঢাকায় থাকা নাগরিকদের মাঝে সিনেমার বিষয়ে জানাতে চাইছি। 

এর আগে ‘জংলি’ দেখার পর সার্টিফিকেশন বোর্ড এর অন্যতম সদস্য বরেণ্য নির্মাতা কাজী হায়াত বলেন, ‘জংলির গল্পের লাইনআপটা দুর্দান্ত লেগেছে আমার কাছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এই সিনেমায় ভিন্ন এক সিয়ামকে আমরা দেখলাম। এমন সিয়ামকে আমরা আগে দেখিনি। আরও যারা অভিনয় করেছেন তারাও ভালো করেছেন।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স য় ম আহম দ কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে কেউ অসুন্দর করলে ব্যবস্থা: চসিক মেয়র

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর করণীয় নির্ধারণে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত পরিদর্শন করেছে সিটি করপোরেশনের মেয়র, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি। পরিদর্শন শেষে জানানো হয়েছে, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত উন্মুক্ত পরিসর হিসেবে থাকবে। কোনো বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার হবে না। কেউ সৈকতকে অসুন্দর করে তুললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত চট্টগ্রামের সম্পদ। যেটার মাধ্যমে দেশে-বিদেশে চট্টগ্রামকে সবাই চেনে। এটি চট্টগ্রামের প্রধান পর্যটন কেন্দ্রও। ফলে যেকোনো প্রকারে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে সুন্দর রাখতে হবে। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে কেউ অসুন্দর করার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে অবৈধভাবে কয়েক’শ দোকান গড়ে উঠে। এগুলোর জন্য সৈকতের সৌন্দর্য ঢাকা পড়ে। গত ১১ জুন অভিযান চালিয়ে শতাধিক দোকান উচ্ছেদ করে সিটি করপোরেশন। সিটি মেয়র বলেন, ‘এখানে অবৈধভাবে অনেকে চেয়ার নিয়ে এমনভাবে বসে গেছে মানুষ হাঁটতে পারছিল না। একজন পর্যটক এসে সৈকতের সৌন্দর্য দেখতে পারছিল না। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এখন পর্যটকরা সৈকতের সৌন্দর্য অবলোকন করতে পারছেন। এ দৃশ্যটা যেন সবসময় থাকে। এখনো অনেক ময়লা আছে। এগুলো পরিস্কার করা হবে।’

সমুদ্র সৈকতের নান্দনিক পরিবেশ ধরে রাখতে স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের সঙ্গে বসবেন জানিয়ে মেয়র বলেন, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে দখলমুক্ত রাখতে একটা স্থায়ী সমাধান বের করা হবে। যাতে পর্যটকরা এসে সৌন্দর্য অবলোকন করতে পারেন। যাতে কেউ তাদের জোর করে বাসি খাবার ধরিয়ে দিতে না পারে। কোন পর্যটক যেন বলতে না পারে; পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছি।’ 

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় চাঁদার বিনিময়ে দোকান বসালে ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান মেয়র। 

সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম বলেন, ‘পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত চট্টগ্রামবাসীর সম্পদ। এটি বাণিজ্যিক কাজে যেন ব্যবহার না হয়। এটি চট্টগ্রাম ও দেশের মানুষের জন্য উন্মুক্ত পরিসর হিসেবে থাকবে। এখানে যেন ধনী-গরীব সব শ্রেণির মানুষ যেন আসতে পারেন।’ 

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামস উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ