ঈদের সিনেমা হিসেবে মুক্তি পাচ্ছে ছয়টি সিনেমা। এবার সিনেমা প্রোমোশনে কোনো কমতি রাখছেন না পরিচালক-প্রযোজকরা। প্রোমোশনের অংশ হিসেবে এবার ৬০ ফিট বিলবোর্ড লাগাতে দেখা গেল জংলি টিমকে।
শনিবার বিকেলে বেইলি রোডে ‘জংলি’ সিনেমার পোস্টার দিয়ে একটি ৬০ ফিট বিলবোর্ড লাগানো হয়েছে। এটি একটি ব্যতিক্রমী প্রচারণাও বলছেন অনেকে।
‘জংলি’ ছবিটি পরিচালনা করেছেন এম রাহিম, যিনি এর আগে ‘শান’ সিনেমা দিয়ে দারুণ সাড়া ফেলেছিলেন। সিনেমাটি অ্যাকশন ও সাসপেন্সের সংমিশ্রণে তৈরি হয়েছে, যেখানে গল্পের বাঁকবদল দর্শকদের চমকে দেবে। স্টাইলিশ ভিজ্যুয়াল ও রোমাঞ্চকর কাহিনির জন্য সিনেমাটি তরুণ দর্শকদের ভালো লাগবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন নির্মাতা।
টাইগার মিডিয়ার কর্ণধার ও জংলির প্রযোজক জাহিদ হাসান অভি বলেন, সিনেমার সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব। সিনেমা কিভাবে আরও বিশেষভাবে মানুষের কাছে নিয়ে যেতে পারি সে লক্ষে কাজ করে টাইগার মিডিয়া। এবারের জংলি সিনেমার ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব প্রচারণা চালাচ্ছি। তারা ধারাবাহিকতায় আমাদের বিলবোর্ড প্রচারণা।
সিয়াম আহমেদ বলেন, বিলবোর্ড সিনেমার প্রচারণা কিন্তু দারুণ একটি বিষয়। বেশ আগে এটা দেখতাম। এখন খুব একটা দেখা যায় না। জংলি সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সেটা আবার দেখাচ্ছে এটা ভালো লাগছে। আমরা জংলি সিনেমার প্রচারণায় সব জায়গাতেই সামান্যতম হলেও নক দিতে চেয়েছি। আমার বিশ্বাস সেটা আমরা পেরেছি। এবার আমাদের সিনেমা হলে দেখা হওয়ার পালা। আশা করি কাল থেকে সিনেমা হলে জংলি দেখতে দর্শকদের দারুণ রেসপন্স পাবো।
এম রাহিম বলেন, সিনেমার গল্পের মত জংলির প্রচারণায়ও ইউনিক অনেক বিষয় নিয়ে আসছি আমরা। নানা ভাবেই প্রচারণা চালিয়েছি। বিলবোর্ড প্রচারণার মাধ্যমে আমরা ঢাকায় থাকা নাগরিকদের মাঝে সিনেমার বিষয়ে জানাতে চাইছি।
এর আগে ‘জংলি’ দেখার পর সার্টিফিকেশন বোর্ড এর অন্যতম সদস্য বরেণ্য নির্মাতা কাজী হায়াত বলেন, ‘জংলির গল্পের লাইনআপটা দুর্দান্ত লেগেছে আমার কাছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এই সিনেমায় ভিন্ন এক সিয়ামকে আমরা দেখলাম। এমন সিয়ামকে আমরা আগে দেখিনি। আরও যারা অভিনয় করেছেন তারাও ভালো করেছেন।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স য় ম আহম দ কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ শুরু
কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ। মহান মে দিবস উপলক্ষে ঢাকার নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত এ সমাবেশে হাজার হাজার নেতকর্মী উপস্থিত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কারী গোলাম মোস্তফার কোরআন তেলাওয়াত শুরু করেন।
এর আগে দুপুর ১২টা থেকে সমাবেশ মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন।
দুপুর আড়াইটায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে ঢাকা মহানগরী ও আশপাশের জেলা থেকে দলে দলে নেতাকর্মীরা যোগ দেন সমাবেশে।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত আছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা। সমাবেশে শ্রমিক দলের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হবে ১২ দফা দাবি।
সমাবেশ স্থলে দেখা যায়, নেতাকর্মীরা ব্যানার, মাথায় নানা রঙের ক্যাপ, দলীয় টি-শার্ট পরে নয়পল্টনে আসছেন। জায়গায় জায়গায় চলছে স্লোগান, দলীয় সংগীত আর ঢাক-ঢোলের বাদ্য।
সমাবেশস্থলে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি উপস্থিত রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আহ্বায়ক হেলাল খান, সদস্যসচিব জাকির হোসেন রোকন প্রমুখ।
এদিকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সমাবেশস্থলে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। জিরো পয়েন্ট থেকে পল্টনমুখী সড়ক সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা রাখা হয়েছে।
টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রথম এতো বড় সমাবেশ করছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।
এর আগে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট প্রথম বাধাহীন সমাবেশ করে বিএনপি। এতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। পুরো এলাকায় ছিল উচ্ছ্বল নেতাকর্মীদের ভিড়।
ঢাকা/এএএম/ইভা