পৃথিবীতে ফেরার ১৩ দিন পর মুখ খুললেন সুনিতা ও বুচ, যা বললেন তাঁরা
Published: 1st, April 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর ৯ মাসের বেশি সময় পর পৃথিবীতে ফিরে প্রথমবারের মতো কথা বলেছেন। গত ১৮ মার্চ তাঁরা পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন। এরপর গতকাল সোমবার তাঁরা দুজনেই প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রকাশ্যে কথা বলেছেন।
নাসা ও স্পেসএক্সের এই মিশনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্রু-১০’। জনসন স্পেস সেন্টারে নাসা আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সুনিতা উইলিয়ামস, বুচ উইলমোর ও ক্রু–১০–এ থাকা তাঁদের সহকর্মী নিক হেগ স্টারলাইনারসহ নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
সুনিতা উইলিয়ামস বলেছেন, ‘আমরা ফিরেই আসতাম, আমার মনে হয়, এটা মানুষের জানা উচিত। শেষমেশ আমরা ফিরেও এসেছি। এখন আমাদের এ ঘটনা সবাইকে জানাতে হবে…কারণ, এটি একটি অনন্য ঘটনা। এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে হবে।’
সুনিতা স্বীকার করেছেন, স্টারলাইনারের পরীক্ষামূলক মিশনে যে আলাদা কিছু একটা হবে, তা তাঁরা জানতেন। কিন্তু তাঁদের বিষয়ে মানুষের এত প্রত্যাশা থাকবে, মানুষ এত মনোযোগ দেবে, তা তাঁরা কেউই আশা করেননি। এই যাত্রায় আগ্রহের পরিমাণ দেখে তিনি ও বুচ উইলমোর অত্যন্ত সম্মানিত এবং বিনীত বোধ করছেন। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়ে আমরা কাজ করেছি, প্রশিক্ষণ নিয়েছি এবং আশ্চর্যজনক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি।’
সুনিতা ও বুচ উভয়েই বলেছেন, স্টারলাইনার ‘খুবই সক্ষম’। বুচের মতে, সুযোগ পেলে তাঁরা ভবিষ্যতে এটি আবার ওড়াবেন।
আরও পড়ুনমহাকাশ স্টেশনে ৯ মাস আটকে থেকে পৃথিবীতে ফিরলেন বুচ ও সুনিতা১৯ মার্চ ২০২৫বুচ বলেছেন, ‘আমরা যেসব সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি, সেগুলো ঠিক করে ফেলব। এটাকে আবার কার্যকর করে তুলব। বোয়িং ও নাসা সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে যাব।’
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকাকালে রাজনীতির প্রভাব সম্পর্কে বারবার সুনিতা ও উইলমোরকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে নিক হেগ বলেছেন, ‘যখন আমরা মহাকাশে কাজ করি, তখন রাজনীতির কোনো কিছুই অনুভব করি না।’
গত জুনে মাত্র আট দিনের এক মিশনে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন দুই নভোচারী বুচ ও সুনিতা। মিশন শেষে পৃথিবীতে ফেরার কথা থাকলেও মহাকাশযানের ত্রুটির কারণে আটকে যান তাঁরা। পৃথিবীতে তাঁদের ফেরানো নিয়ে রাজনীতিও শুরু হয়। ট্রাম্প এবং তাঁর উপদেষ্টা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক কোনো প্রমাণ ছাড়াই দাবি করেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাজনৈতিক কারণে বুচ ও সুনিতাকে মহাকাশ স্টেশনে ফেলে রেখেছেন।
আরও পড়ুনদ্রুত বুড়িয়ে যাওয়াসহ সুনিতা ও বুচের শরীরে কী কী প্রভাব পড়তে পারে২০ মার্চ ২০২৫অবশেষে তাঁদের ফিরিয়ে আনতে গত ১৪ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ‘ক্রু-১০’নামে একটি মিশন পাঠায় নাসা ও ধনকুবের ইলন মাস্কের মহাকাশ প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। এই মিশনে ছিলেন নাসার নভোচারী অ্যান ম্যাকক্লেইন, নিকোল আয়েরস, জাপান মহাকাশ অনুসন্ধান সংস্থা জেএএক্সএর নভোচারী তাকুইয়া ওনিশি ও রুশ মহাকাশ সংস্থা রসকসমসের নভোচারী কিরিল পেসকভ। ‘নাসা ক্রু–৯ মিশন’–এর অংশ হিসেবে ক্রু ড্রাগনে ফিরতি যাত্রা শুরু করার ১৭ ঘণ্টা পর এই চার নভোচারী পৃথিবীর আকাশমণ্ডলে প্রবেশ করেন। বাংলাদেশ সময় ১৮ মার্চ দিবাগত রাত ৩টা ৫৭ মিনিটে তাঁদের বহনকারী ক্যাপসুলটি বিশেষ প্যারাস্যুটের সাহায্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা উপকূল থেকে প্রায় ৫০ মাইল দূরে সমুদ্রে নেমে আসে।
আরও পড়ুনমহাকাশে আটকে পড়া ৯ মাসে কী খেতেন সুনিতারা১৯ মার্চ ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উইলম র বল ছ ন র জন ত
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া
ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক সব সময়ই দুই দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কৌশল অনুযায়ী এগিয়েছে।
অতীতেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজে লম্বা বিরতি দেখা গেছে। ১৯৫৪ থেকে ১৯৭৮—টানা ২৪ বছর পাকিস্তান সফরে যায়নি ভারত। আবার ১৯৬০ সালের পর পাকিস্তানও প্রথমবারের মতো ভারতে খেলতে যায় ১৯৭৯ সালে।
এরপর ১৯৮২ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান নিয়মিত মুখোমুখি হয়েছে। এই সময়ে ভারত তিনবার পাকিস্তান সফরে গিয়ে খেলে ১২ টেস্ট, পাকিস্তানও ভারতে গিয়ে খেলে ৮ টেস্ট।
দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান তিন টেস্ট খেলতে ভারতে যায়। এর মধ্যে একটি ছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে প্রথম এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ভারত ফিরতি টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যায় ২০০৪ সালে, যা ছিল ১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের অভিষেকের পর প্রথমবার।
২০০৪ সালের পাকিস্তান সফরে কড়া নিরাপত্তায় ব্যাটিংয়ে নামেন শচীন টেন্ডুলকার