বিভিন্ন ধরনের খাবার, সাজসজ্জার উপকরণ, পোশাকসহ প্রয়োজনীয় সবই রয়েছে ঈদমেলায়। রয়েছে বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন রাইড ও নাগরদোলা।
ঈদ উপলক্ষে ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র প্রাঙ্গণে দুই দিনব্যাপী ঈদ আনন্দমেলার আয়োজন করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এ আয়োজন করেছে।
ঈদ আনন্দমেলার দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) দুপুরে মেলায় দর্শানার্থীদের ভিড় দেখা গেছে।
ডিএনসিসি জানায়, মেলায় বিভিন্ন পণ্যের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ২০০টির বেশি স্টল রয়েছে। মেলা গতকাল সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে। চলবে আজ বিকেল ৫টা পর্যন্ত। শিশুদের বিনোদনের জন্য নাগরদোলা রয়েছে। খেলাধুলার জন্য রাখা হয়েছে বিভিন্ন খেলার সামগ্রী। খাদ্যপণ্য, অলঙ্কার ও বিভিন্ন খেলনা।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন বলেন, “ঈদ উপলক্ষে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে এ ধরনের মেলা আয়োজন এই প্রথম ।”
যাত্রাবাড়ীর বাসিন্দা আতিকা জাহান খাদ্য পণ্যেরে স্টল নিয়েছেন। তিনি বলেন, “পিঠা, বিরিয়ানি, নুডলস, সেমাই প্রভৃতি খাদ্য প্রচুর বিক্রি হয়েছে। বাণিজ্যমেলা, এসএমই মেলা, শিল্পকলা,পয়লা বৈশাখের মেলাসহ বিভিন্ন উৎসবে আয়োজনে অংশ নিয়েছি। এবার প্রথম ঈদমেলায় অংশ নিয়েছি। বিক্রি খুব ভাল। ডিএনসিসিকে ধন্যবাদ এ উদ্যোগের জন্য।”
পুরান ঢাকা থেকে ছেলে-মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে মেলায় আসেন ওমর ফারুক। তিনি বলেন, “খুব ভালো উদ্যোগ নিয়েছে ডিএনসিসি। ভবিষ্যতেও ঈদের দিনে যেন এমন আয়োজন চালু থাকে। পাশাপাশি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ও যাতে এ উদ্যোগ নেয় সেই প্রত্যাশা করছি।”
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, “বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র প্রাঙ্গণে দুই দিনব্যাপী ঈদ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এখানে ২০০টির মতো স্টল রয়েছে। আমাদের ঈদ আনন্দ উৎসব শুধু পুরুষ বা নারীর জন্য নয়, শিশুদের বিষয় মাথায় রেখে বিভিন্ন আয়োজন করা রয়েছে ।”
ঢাকা/এএএম/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড এনস স র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
সিডনিতে ড্র অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কেউ না থাকায় হতাশ প্রবাসীরা
সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে সিডনির ঐতিহাসিক টাউন হল যেন পরিণত হলো এক রঙিন উৎসবের মঞ্চে। ঝকঝকে আলোর ঝলকানি, দৃষ্টিনন্দন সাজসজ্জা, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা আর বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে দলে দলে আসা অতিথিদের পদচারণে মনে হচ্ছিল এ যেন কোনো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব বা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। অথচ এটি ছিল ২০২৬ নারী এশিয়ান কাপ ফুটবলের ড্র অনুষ্ঠান, যেখানে এশিয়ার সেরা নারী ফুটবল দলগুলোর ভাগ্য নির্ধারিত হচ্ছিল।
বিকেল সাড়ে পাঁচটায় দরজা খোলার আগেই টাউন হলের সামনে জড়ো হয়েছিলেন নানা দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। তাঁদের হাতে নিজ নিজ দেশের পতাকা, পরনে ঐতিহ্যবাহী পোশাক। অস্ট্রেলিয়া, চীন, উত্তর কোরিয়া, জাপান, ভারত, ভিয়েতনাম, উজবেকিস্তান, ফিলিপাইন, ইরানসহ ১১টি দেশের ফুটবল দলের প্রতিনিধি, অধিনায়ক বা কোচের কেউ না কেউ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ব ফুটবলের এই মিলনমেলায় সবাই নিজ দেশের নাম উজ্জ্বল করতে এসেছেন। কিন্তু এই আলো ঝলমলে মঞ্চে ছিলেন না বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের কোনো প্রতিনিধি।
অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্ব ফুটবলের এত বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি আয়োজন হলো, অথচ বাংলাদেশের কোনো প্রতিনিধি নেই—এটা মেনে নেওয়া যায় না, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এখানে এসেছিলাম আমাদের মেয়েদের দেখতে, নিজেদের দেশের জার্সি গায়ে দেওয়া তারকাদের সঙ্গে ছবি তুলতে চেয়েছিলাম।সাঈদ ফয়েজ, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সাংস্কৃতিক কর্মী ও ইভেন্ট সংগঠকঅথচ এটা বাংলাদেশের জন্য ইতিহাস গড়ার বছর। এই প্রথম বাংলাদেশের মেয়েরা এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছেন। কিন্তু সেই গৌরবময় মুহূর্তে, যখন বিশ্ব ফুটবল পরিবার সিডনিতে একত্র, তখন মঞ্চে অনুপস্থিত বাংলাদেশ। না কোনো ফুটবলার, না কোচ, না বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কোনো কর্মকর্তা। এই অনুপস্থিতি ছিল অত্যন্ত দৃষ্টিকটু এবং বেদনাদায়ক, কারণ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ভারতের তারকা খেলোয়াড়সহ অন্যান্য দেশের ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরা। তাঁরা ট্রফির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, বিশ্ব গণমাধ্যমের সামনে নিজেদের দেশকে তুলে ধরেছেন, আর স্মৃতির ক্যামেরায় ধরে রাখছেন ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আর বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বের জায়গাটিতে খাঁ খাঁ শূন্যতা।
ভারত নারী দলের মিডফিল্ডার সংগীতা বাসফোর ড্র–তে বাংলাদেশের নাম তোলেন