হবিগঞ্জে রাতে টর্চ জ্বালিয়ে সংঘর্ষে জড়াল ১২ গ্রামের বাসিন্দা, আহত ৬০
Published: 2nd, April 2025 GMT
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মিরপুর বাজারে মোটরসাইকেলের ব্যাটারি কেনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন ১২টি গ্রামের বাসিন্দারা। টানা তিন ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে পুলিশসহ প্রায় ৬০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত ২৫ জনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে উপজেলার বানিয়াগাঁও গ্রামের এক তরুণ ব্যবসায়ী আকাশের সঙ্গে একই উপজেলার চারগাঁও গ্রামের রাসেলের মোটরসাইকেলের ব্যাটারি ক্রয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা ঝগড়ায় রূপ নেয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে আঞ্চলিকতার টানে বানিয়াগাঁওয়ের পক্ষ নিয়ে আশপাশের আটটি গ্রাম এবং চারগাঁও গ্রামের পক্ষ নিয়ে আরও চারটি গ্রামের মানুষ যোগ দেন। সংঘর্ষকালে অন্ধকারে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে মারামারি করতে দেখা যায় ওই লোকজনকে। এ সময় মিরপুর বাজারে বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করা হয়।
গ্রামে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সংঘর্ষে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয় বলে স্থানীয়দের ভাষ্য। সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে লাঠিসোঁটা ব্যবহার করা হয়। সংঘর্ষের সময় মিরপুর বাজারে বেশ কয়েকটি দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
খবর পেয়ে প্রথমে বাহুবল মডেল থানা-পুলিশ সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। পরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে রাত নয়টার দিকে। সংঘর্ষে তিনজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।
বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের
ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।