হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মিরপুর বাজারে মোটরসাইকেলের ব্যাটারি কেনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন ১২টি গ্রামের বাসিন্দারা। টানা তিন ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে পুলিশসহ প্রায় ৬০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত ২৫ জনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে উপজেলার বানিয়াগাঁও গ্রামের এক তরুণ ব্যবসায়ী আকাশের সঙ্গে একই উপজেলার চারগাঁও গ্রামের রাসেলের মোটরসাইকেলের ব্যাটারি ক্রয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা ঝগড়ায় রূপ নেয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে আঞ্চলিকতার টানে বানিয়াগাঁওয়ের পক্ষ নিয়ে আশপাশের আটটি গ্রাম এবং চারগাঁও গ্রামের পক্ষ নিয়ে আরও চারটি গ্রামের মানুষ যোগ দেন। সংঘর্ষকালে অন্ধকারে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে মারামারি করতে দেখা যায় ওই লোকজনকে। এ সময় মিরপুর বাজারে বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করা হয়।

গ্রামে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সংঘর্ষে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয় বলে স্থানীয়দের ভাষ্য। সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে লাঠিসোঁটা ব্যবহার করা হয়। সংঘর্ষের সময় মিরপুর বাজারে বেশ কয়েকটি দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

খবর পেয়ে প্রথমে বাহুবল মডেল থানা-পুলিশ সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। পরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে রাত নয়টার দিকে। সংঘর্ষে তিনজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।

বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।

ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।

অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।

ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ