প্রবাসে মৃত্যু বরণকারি রেমিটেন্স যুদ্ধা নারী বন্দরে পিংকি আক্তারের পাঠানো ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় যৌতুক লোভী স্বামী বাদল মিয়ার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে নিহতের বড় বোন আঁখি আক্তার বাদী হয়ে যৌতুক লোভী স্বামী বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,  গত ১২ বছর পূর্বে বন্দর থানার দেওলী চৌরাপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল মালেক মিয়ার মেয়ে পিংকি আক্তারের সাথে সুদূর  কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর থানার গাড়মাছুয়া গ্রামের সাঈদ ফকিরের ছেলে বাদল মিয়ার সাথে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়।

বর্তমানে তাদের সংসারে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে বাদল মিয়া তার স্ত্রী পিংকি আক্তারকে যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছিল ।

এক পর্যায়ে পাষান্ড স্বামী বাদল মিয়া যৌতুকের টাকা পুষিয়ে নেওয়ার জন্য বিয়ের ৫ বছর পর  পিংকি আক্তারকে দুবাই পাঠায় তার স্বামী ।

সেখানে দীর্ঘ ২ বছর প্রবাসে থাকা কালিন সময়ে প্রবাসী  পিংকি আক্তার ১০ লাখ টাকা যৌতুক লোভী স্বামীর হাতে তুলে দেয়। যৌতুক লোভী স্বামী ওই টাকা দিয়ে তার দেশের বাড়িতে বসত বাড়ী নির্মান, মোটর সাইকেল, অটো গাড়ী ক্রয় করে। পরে প্রবাসী পিংকি বেগম দুবাই প্রবাসে জীবন যাপন করে দেশে চলে আসে।

পরবর্তীতে গত ২ মাস ৬ দিন পূর্বে প্রবাস ফেরৎ পিংকি আক্তারকে তার  ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার স্বামী তাকে জোধপূর্বক আবারো সৌদি আরবে পাঠায়। সেখানে প্রবাস জীবনযাপনকালে গত ২এপ্রিল তারিখে দিবাগত রাত ১২.

৩৭ ঘটিকার সময় স্টোকে আক্রন্ত হয়ে সৌদি আরবে একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরন করে।

বিষয়টি সৌদি আরবে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা আমার বোনের মৃত্যুর সংবাদ আমাদের জানালে আমরা সাথে সাথে বিষয়টি ছোট বোনের স্বাসী বাদলকে অবগত করলে বাদল মিয়া নানা ভাবে তালবাহানা করে কোন কর্ণপাত না করে উল্টো মৃত্যুবরণকারি প্রবাসী নারী স্বজনদের  বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি প্রর্দশন করে।

যৌতুক লোভী স্বামী কাছ থেকে কোন রকম সহযোগিতা না পেয়ে নিহত প্রবাসী স্বজনরা  প্রবাসী মন্ত্রনালয়ে লাশ ফেরত পাওয়ার জন্য লিখিত ভাবে  আবেদন করে। 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ব দল ম য় প রব স

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে দুই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১

রাজবাড়ীর পাংশায় প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে দুই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার রাতে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

ভুক্তভোগী দুই ছাত্রীর মা ও বাবা গতকাল পৃথকভাবে বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে পাংশা থানায় দুটি মামলা করেন। এতে হাসমত আলী (২২) ও শিহাব মণ্ডল (২০) নামের দুই তরুণকে আসামি করা হয়। তাঁদের বাড়ি উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নে। মামলা করার পর পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে শিহাবকে গ্রেপ্তার করে।

ভুক্তভোগী দুই স্কুলছাত্রী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাদের একজনের বয়স ১৪ বছর এবং অপরজনের বয়স ১৫ বছর।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বেলা ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়া শেষে দুই বান্ধবী একসঙ্গে বাড়ি ফিরছিল। পথে উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের বনগ্রাম এলাকায় পৌঁছালে তাদের পথ রোধ করে হাসমত ও শিহাব। ধারালো ব্লেড বের করে স্কুলছাত্রী দুজনকে জিম্মি করে রাস্তার অদূরে একটি পানের বরজে জোর করে নিয়ে যান তাঁরা। সেখানে পৃথক স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন ওই দুই তরুণ। বিষয়টি কাউকে না জানাতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চলে যান তাঁরা।

গতকাল রাতে পাংশা মডেল থানায় মামলা করতে আসা ভুক্তভোগী দুই স্কুলছাত্রীর পরিবার জানায়, হাসমত ও শিহাব ওই দুই স্কুলছাত্রীকে মাঝেমধ্যে উত্ত্যক্ত করতেন। এ ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন।

পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন গতকাল রাত পৌনে ১২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘অষ্টম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে একজনের মা এবং অপরজনের বাবা বাদী হয়ে রোববার রাতে হাসমত আলী ও শিহাব মণ্ডলকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা করেন। রাতেই আসামি শিহাব মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামি হাসমতকে গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।

ওসি সালাহ উদ্দিন আরও বলেন, গ্রেপ্তার শিহাব পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তাঁর পোশাকেও ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তাঁকে সোমবার রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানো হবে। দুই স্কুলছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ