বরগুনার তালতলীতে ধানক্ষেতে ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. কাদের মুন্সী (৬৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৫ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের বড় আমখোলা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত কাদের মুন্সী বড় আমখোলা গ্রামের বাসিন্দা ও মৃত নুর মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বড় আমখোলা এলাকার কৃষক সিদ্দিক ও নাসির মিয়া তাদের বোরো ধানক্ষেতে ইঁদুর নিধনের জন্য বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতেছিলেন। কাদের মুন্সীর ধানক্ষেত ওই ফাঁদের কাছাকাছি ছিল। শনিবার বিকেল ৪টার দিকে তিনি নিজের জমি দেখতে গিয়ে আর ফেরেননি। পরে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। রাত ৮টার দিকে বৈদ্যুতিক ফাঁদের কাছ থেকে কাদের মুন্সীর নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। দ্রুত তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

প্রতিপক্ষের হামলায় যুবদল নেতার মৃত্যু, অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন

খুঁটির সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, সেনা সদস্যের মৃত্যু

স্থানীয়দের ধারণা, বৈদ্যুতিক ফাঁদে স্পৃষ্ট হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পাতা কৃষক সিদ্দিক ও নাসির মিয়া পলাতক রয়েছেন।

নিহতের ছেলে তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমার বাবা বিকেলে ধানক্ষেতে গিয়েছিলেন। অনেকক্ষণ হয়ে গেলেও তিনি বাড়ি ফেরেননি। খুঁজতে খুঁজতে শেষ পর্যন্ত পাশের জমিতে বৈদ্যুতিক ফাঁদের কাছে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি।’’

তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

শাহজালাল বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/ইমরান/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

ঝিনাইদহে ছেলের হাতে বাবা খুন

ঝিনাইদহে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের কোদালের কোপে শাহাদত হোসেন (৬৩) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফয়সাল হোসেনকে (২২) আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৬ জুন) সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাহাদত হোসেন ওই গ্রামের তাইজেল হোসেনের ছেলে।

নিহতের স্বজনেরা অভিযোগ করেন, সকাল ১০টার দিকে শাহাদত হোসেন ছেলে ফয়সাল হোসেনকে সাথে নিয়ে মাঠে কাজ করতে যান। কাজ করার ফাঁকে ফয়সাল কোদাল দিয়ে তার বাবার মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে মৃত বাবাকে মাঠে রেখে বাড়িতে গিয়ে মাকে পুরো ঘটনা জানান ফয়সাল। স্বজনেরা দ্রুত মাঠে গিয়ে শাহাদতের লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন।

আরো পড়ুন:

কারাগারে ‘ফাঁস নিলেন’ জুলাই-আগস্ট হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সুজন

মহাসড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ফয়সাল হোসেন দুই বছর ধরে মানসিক বিকারগ্রস্ত। পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে কিছুদিন আগে বাড়িতে ফিরেছেন।

ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘‘অভিযুক্ত ফয়সালকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ