কানাডা সফরে যাচ্ছেন নন্দিত দুই কণ্ঠশিল্পী বাপ্পা মজুমদার ও এলিটা করিম। সঙ্গে থাকছে দলছুট ব্যান্ডের সদস্যরা। কনসার্টের উদ্দেশ্যে তাদের এই কানাডা সফর। আগামী ১৯ এপ্রিল ক্যালগারিতে প্রথম কনসার্টে অংশ নেবেন এই দুই শিল্পী। এবার একে একে আরও তিনটি কনসার্ট করবেন তারা। পরবর্তী তিনটি কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে ২৫ এপ্রিল টরন্টো, ২৭ এপ্রিল ভ্যানকুভার এবং ৩ মে হ্যালিফেক্সে।
ধারাবাহিক এই কনসার্টের আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বাংলাদেশি সোসাইটি অব ক্যালগারি, এমএনসি এন্টারটেইনমেন্ট, ঢাকা ক্লাব ভ্যানকুভার, ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড মিডিয়া।
কানাডা সফর নিয়ে শিল্পী ও সংগীতায়োজক বাপ্পা মজুমদার বলেন, ‘বাংলা গানের জন্য প্রবাসীরা কতটা তৃষিত থাকে, তা বোঝা যায় বিদেশ সফরে গেলে। তাই প্রবাসী বাঙালিদের আহ্বানে সাড়া দিতে কানাডায় ছুটে যাচ্ছি। সেখানে যে চারটি কনসার্টে অংশ নেব, চেষ্টা করব দর্শক-শ্রোতাদের প্রিয় গানগুলো শুনিয়ে তাদের তৃষ্ণা মেটানোর। কারণ সবকিছুর এটাই সত্যি, শ্রোতারাই হলো শিল্পী ও সংগীত জগতের বাসিন্দাদের পথচলার শক্তি, সাহস ও প্রেরণা।’
বাপ্পা মজুমদারের কথার সঙ্গে একমত পোষণ করেন শিল্পী এলিটা করিম নিজেও। তিনি আরও জানান, আগামী ১৬ তারিখ কানাডার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন। কনসার্ট পর্ব শেষ করে আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশে ফেরার পরিকল্পনা আছে তাদের।
এদিকে স্টেজ শো ও টিভি আয়োজনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি নতুন গানের কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাপ্পা মুজমদার ও এলিটা করিম। এবার ঈদে নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে বাপ্পা প্রকাশ করেছেন নতুন একক গান। শিরোনাম ‘হয়তো কোনো একদিন’। এর কথা লেখার পাশাপাশি সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন বাপ্পা নিজেই।
গানটি প্রকাশের পর স্বপ্ন সময়ে শ্রোতাদের মনোযোগ কেড়ে নিয়েছে। অন্যদিকে এলিটা শ্রোতা ও সংগীতবোদ্ধাদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন ‘চিনি দেড় চামচ’ শিরোনামে ইপি অ্যালবাম প্রকাশের মধ্য দিয়ে। এই অ্যালবামের গান লিখেছেন বরেণ্য গীতিকবি শহীদ মাহমুদ জঙ্গী। সুর করেছেন রেনেসাঁ ব্যান্ডের নন্দিত শিল্পী ও সুরকার পিলু খান।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কনস র ট
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।