দুপুরবেলা ভরপেট ভাত খাওয়ার পর অনেকেরই ঘুমানোর অভ্যাস আছে। অফিস থাকলেও ঘুম ঘুম লাগে। কাজে মন বসে না। বিশ্রাম নিতে ইচ্ছে হয়। 

পুষ্টিবিদরা বলছেন, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন আনলেই খাওয়ার পর ফুরফুরে থাকতে পারবেন। যেমন-

ব্যালেন্সড ডায়েট: দুপুরের খাদ্য তালিকা থেকে পাস্তা, পেস্ট্রি, কোল্ড ড্রিঙ্ক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিতে হবে। এসব খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে শরীরে ক্লান্তি আনে। এর  ফলে শরীরে আলস্য বাড়ে। এই পরিস্থিতি এড়াতে দুপুরের খাদ্যতালিকায় সাদা ভাত বা ব্রাউন রাইস, রুটি, চিকেন, মাছ, সবজি, পনির, অ্যাভোকাডো-এসব রাখতে পারেন।  খাদ্য তালিকায় শর্করা-ফ্যাট ও প্রোটিনের ভারসাম্য থাকলে অলসতা কাটবে।

ভারী ও তৈলাক্ত খাদ্য বর্জন: অলসতা কাটাতে যেকোনও ধরনের ভারী ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এসব খাবার যেমন হজমের গোলমাল ঘটায় তেমনি শরীরকে অলস করে দেয়। এছাড়া এই ধরনের খাকার খেতে সুস্বাদু হলেও তা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। 

খাওয়ার আগে ও পরে পানি পান: শরীরকে সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি। খাওয়ার আগে ও পরে নিয়ম করে পরিমাণ মতো পানি পান করতে হবে। 

নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস: দুপুরবেলা ভরেপেট না খেয়ে পরিমিত পরিমাণে খাবার খান। তাহলে সহজে অলসতা ভর করবে না। 

খাওয়ার পর হাঁটা: দুপুরে খাওয়ার পর ১০- ১৫ মিনিটের হাঁটা শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। এতে হজম প্রক্রিয়া সহজ হয়। সেই সঙ্গে দেহে রক্ত সঞ্চালনকে স্বাভাবিক রেখে সতেজ থাকতে সাহায্য করে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে চুরির মামলার ২ আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩

বন্দরে বসতঘরে চুরির ঘটনার মামলার ২ চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতরা হলো বন্দর উপজেলার ফরাজীকান্দা ছোট মসজিদ এলাকার কাজীমুদ্দিনের ছেলে সাব্বির(২২) ও একই এলাকার ইয়াজল হোসেন মিয়ার ছেলে অলিদ(৪০)। এ ব্যাপারে গৃহিনী শান্তা বেগম বাদী হয়ে ধৃতদের বিরুদ্ধে  বন্দর থানায়  চুরির মামলা দায়ের করেন। যার নং ১(১১)২৫। 

এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার জয়নগর এলাকার সিরাজুল মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম (৩২) নামে এক যুবককে সন্দেহ জনক ভাবে আটক করে পুলিশ। ধৃতদের সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে উল্লেখিত মামলায়  আদালত প্রেরণ করেছে পুলিশ।

গত রোববার (২ নভেম্বর)  রাতে বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত ৪ অক্টোবর বন্দর উপজেলা  ফরাজীকান্দা এলাকায় এ চুরির ঘটনাটি ঘটে।

‎মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে,  মামলার বাদিনী বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা গ্ ছোট মসজিদস্থ তার  পিতার বাড়িতে বসবাস করে আসছে। বিবাদী একই এলাকার সম্পর্কে বাদিনী চাচাত ও ফুফাত ভাই ।

গত ৩ অক্টোবর বাদিনী নানা মৃত্যুবরন করলে বাদিনীসহ তার  পরিবারের লোকজন মুন্সিগঞ্জস্থ নানা বাড়িতে যায়। পরের দিন গত ৪ অক্টোবর বাদিনী তার পিতার বাড়িতে এসে  রুমে প্রবেশ করলে সবকিছু এলোমেলো দেখতে পায়।

সন্দেহ হলে ঘরের ভিতর তল্লাশী করিলে দেখতে পাড আমাদের দুটি এড্রয়েট মোবাইল সেট,মাটির ব্যাংকে রক্ষিত ১০ হাজার টাকা,দামী ব্রান্ডের ব্লুটোথসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস চুরি করে নিয়ে যায় ।

ঘরের বিভিন্ন স্থানে খোজ করিয়াও বর্নিত মালামালের কোন সন্ধান পাওয়া যায় নাই। বিবাদীরা ইতিপূর্বেও আমার বাড়িতে চুরি করেছিল এবং আমাদের প্রতিবেশিরা আমাদের অনুপস্থিতিতে বাড়ির চারপাশে ঘুরাঘুরি করতে দেখেছে বলে জানায়।

‎‎পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।  এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার জয়নগর এলাকার সিরাজুল মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম (৩২) নামে এক যুবককে সন্দেহ জনক ভাবে আটক করে। পরে আটককৃতকে পুলিশ আইনের ৩৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ