মানিকগঞ্জে বিউটি গোস্বামী (৩৮) নামের এক গৃহবধূ তাঁর স্বামীর হাতে খুন হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ বিষয়ে গ্রেপ্তার অলোক রঞ্জন গোস্বামী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছেন, সন্তানদের সময় না দিয়ে ফেসবুক নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তিনি স্ত্রীকে গলা চেপে হত্যা করেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গত শুক্রবার মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পুটাইল ইউনিয়নের এগারোশ্রী এলাকায় মিতরা–বরুন্ডি সড়কের পাশের একটি বাঁশঝাড় থেকে বিউটি গোস্বামীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁর স্বামী অলোক রঞ্জন গোস্বামী রাজধানী ঢাকার উত্তরায় একটি বায়িং হাউসে চাকরি করতেন। দুই শিশুসন্তান নিয়ে সপরিবার তাঁরা ঢাকার উত্তরায় থাকতেন। তাঁদের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার তরা গ্রামে।

অলোক রঞ্জন জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী বিউটি অধিকাংশ সময় ফেসবুক, অনলাইন ব্যবসা ও লাইভ ভিডিও করে সময় কাটাতেন। এ কারণে দুই সন্তানকেও সময় দিতেন না। এ নিয়ে দাম্পত্য কলহের কারণে তিন বছর ধরে তাঁরা আলাদা ঘরে ঘুমাতেন। ২ এপ্রিল তাঁদের মধ্যে আবারও ঝগড়া হয়। ওই দিন বিউটি রান্না করতে গেলে পেছন থেকে তাঁর মুখ ও গলা চেপে ধরেন অলোক। কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দিলে মেঝেতে পড়ে বিউটির মাথায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। পরে কার্টনে লাশটি ভরে রশি দিয়ে বেঁধে রাখেন। পরদিন সন্ধ্যায় গ্রামের আত্মীয়স্বজনদের ঈদ উপহার পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে এক ব্যক্তির সহায়তায় একটি প্রাইভেট কার ভাড়া করেন। এরপর উত্তরার বাসা থেকে এক সহযোগীকে নিয়ে মানিকগঞ্জের এগারোশ্রী এলাকায় কার্টনবন্দী লাশটি একটি বাঁশঝাড়ে ফেলে দেন।

এ ঘটনায় গত শনিবার অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন বিউটির বাবা। গত রোববার সকালে ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট এলাকা থেকে অলোককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল দুপুরে তাঁকে মানিকগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, আদালতের নির্দেশে অলোককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ মামলায় তাঁর সহযোগী পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম ন কগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক সচিব মিহির কান্তিসহ ১০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সাবেক সচিব ও উদ্দীপনের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিহির কান্তি মজুমদারসহ ১০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্লকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. তানজির আহমেদ এ তথ্য জানান।

নিষেধাজ্ঞা পাওয়া অন্যরা হলেন- উদ্দীপনের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জাকিয়া কে হাসান, সাবেক কোষাধ্যক্ষ ড. মো. গোলাম আহাদ, সাবেক সদস্য মো. মাহবুবুর রহমান, সাবেক সদস্য, মো. নজরুল ইসলাম খান, নাহিদ সুলতান, ভবতোষ নাথ, ডা. আবু জামিন ফয়সাল, শওকত হোসেন ও সাবেক নির্বাহী পরিচালক বিদ্যুৎ কুমার বসু।

আবেদনে বলা হয়, দায়িত্ব পালনকালে পরস্পর যোগসাজশে ব্যক্তিগত লাভ ও আত্মসাতের উদ্দেশ্যে মাইক্রোক্রেডিট আইন (২০০৬)-এর ২৪/৩ ধারা ও বিধি (২০১০) এর বিধি ১৯(১) লঙ্ঘন করে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ক্ষুদ্রঋণ তহবিল হতে অনুমোদনহীন নামমাত্র ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট গোল্ডব্রিকস ও ব্যাটারি প্রকল্পে যথাক্রমে প্রায় ৮ কোটি ৯৭ লাখ ৮১ হাজার ৩৭৭ টাকা ও ৪ কোটি ৪৮ লাখ ৪৬৬ টাকা বিনিয়োগ দেখিয়ে তহবিল হতে স্থানান্তর করেছেন। উক্ত জালিয়াতি সম্পর্কিত একটি মামলা দুর্নীতি দমন কমিশনে তদন্তাধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ