নিরাপত্তা উপদেষ্টার নিয়োগ বাতিলের দাবি বিপ্লবী পরিষদের
Published: 10th, April 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গাবিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমানকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদে নিয়োগের বিরোধিতা করে বাতিলের দাবি জানিয়েছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।
বিবৃতি বলা হয়েছে, থাইল্যান্ডে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে খলিলুর রহমানের ১ ঘণ্টা ধরে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। এরপরই তাকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিয়োগ করা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনগণকে বীতশ্রদ্ধ করে তুলেছে। সরকারকে এ নিয়োগ বাতিল করে বিশ্বাসযোগ্যতার বিষয়ে সন্দেহ দূর করতে হবে।
আরো পড়ুন:
এবারের শোভাযাত্রা সর্ববৃহৎ ও জাঁকজমকপূর্ণ হবে: চারুকলা
মঙ্গল শোভাযাত্রা বাঙালি সংস্কৃতির বিকৃতি : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গিয়ে অজিত দোভালের সরাসরি তত্ত্বাবধায়নে থেকে বাংলাদেশে প্রতিবিপ্লব ঘটানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। এই অজিতের সঙ্গে খলিলুর রহমান গত ৩ এপ্রিল ব্যাংককে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন। তার ওই বৈঠক জুলাই বিপ্লবের আনুগত্য বিরোধী ও জাতীয় নিরাপত্তা পরিপন্থী অসদাচরণ ছিল।
এ বৈঠকের মধ্য দিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে কি না তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে গত শনিবার জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ বিবৃতি দিয়েছিল। কিন্তু সরকার এ উদ্বেগকে গুরুত্ব তো দেয়ইনি, উল্টো খলিলুর রহমানকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিয়োগ করেছে। এর মধ্য দিয়ে সরকারের অস্বাভাবিক আচরণ প্রকাশ পেয়েছে।
জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের দাবি, সেনাপ্রধানের বিদেশ সফর চলাকালে একজন বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ বেসামরিক ব্যক্তিকে জাতীয় প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা সংশ্লিষ্ট অধিক্ষেত্রের দায়িত্ব প্রদান জুলাই বিপ্লবে ভূমিকা রাখা সেনাবাহিনীকে অবমূল্যায়নের পদক্ষেপ। সেনাবাহিনীকে দুর্বল ও রাষ্ট্র পরিচালনায় দায়িত্বহীন করার ষড়যন্ত্র হিসেবে তাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ অবস্থায় সরকারসহ সবাইকে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো অশুভ শক্তির ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে এ পদে নিয়োগের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা গোপনীয়তা ফাঁস হয়ে যাওয়া ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার বিষয়ে সতর্ক হতে আহ্বান জানিয়ছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
কারিগরি শিক্ষার্থীদের অবরোধের ঘোষণা সহিংস আন্দোলনের উসকানি: সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা
কারিগরি শিক্ষার্থীদের গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণাকে ‘সহিংস আন্দোলনের উসকানি ও গভীর ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে বুয়েট ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। ‘প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন’ ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বুয়েট শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আলোচনায় বসে। দাবির যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারা প্রকৌশলী ও ডিপ্লোমাধারী—উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে ডাকে। সবার যুক্তিতর্ক সমানভাবে উপস্থাপনের সুযোগ করে দেয়, যাতে কারও প্রতি কোনোরূপ বৈষম্য না হয়।
লিখিত বক্তব্যে বুয়েট শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আলোচনার টেবিলে সমাধানের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আজ গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে কারিগরি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। ডিপ্লোমাধারীদের পক্ষ থেকে যে প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরাই অবরোধ ডেকে সহিংস আন্দোলনের জন্য ক্রমাগত উসকানি দিয়ে যাচ্ছেন।
আলোচনার টেবিল ছেড়ে কেন জনদুর্ভোগ করে অবরোধের উসকানি দেওয়া হচ্ছে—এমন প্রশ্ন রাখেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।
আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না বলে উল্লেখ করা হয় লিখিত বক্তব্যে। এতে বলা হয়, এগুলো শুধুই বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা ও গভীর ষড়যন্ত্র, যা প্রথাগত আন্দোলনকে ভিন্ন পথে নিয়ে যাচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আলোচনার টেবিল ছেড়ে যাঁরা অবরোধ করে দেশে নৈরাজ্য তৈরির উসকানি দিচ্ছেন, তাঁদের আসল উদ্দেশ্য ও এজেন্ডা খতিয়ে দেখা দরকার।
বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য গায়ের জোর খাটিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অবরোধের প্রয়োজন নেই। যৌক্তিক দাবি জানালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে তা আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেবে।