‘বি’ ইউনিটের (বাণিজ্য অনুষদ) মাধ্যমে শুরু হলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। এ বছরই প্রথম একযোগে পাঁচটি বিভাগীয় শহরে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

শনিবার (১২ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত রাবিসহ পাঁচ বিভাগের কেন্দ্রগুলোতে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও আগামী ১৯ এবং ২৬ এপ্রিল যথাক্রমে অনুষ্ঠিত হবে ‘এ’ এবং ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে ছিল পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকদের উপস্থিতি এবং কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

এছাড়াও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তায় পাঁচটি হেল্পডেস্ক স্থাপন করা হয়েছিল, যেখানে তারা প্রয়োজনীয় তথ্য ও সহায়তা পেয়েছে। অভিভাবকদের জন্য ছিল আলাদা ছাউনি ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা। পাশাপাশি, ক্যাম্পাসে ভ্রাম্যমাণ টয়লেটের ব্যবস্থাও ছিল, যা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে সহায়ক ছিল।

এবারের পরীক্ষা বহুকেন্দ্রীক হওয়ায় রাবি আগের মতো চাপ ছিল না। ফলে স্বস্তি প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

ভর্তি পরীক্ষার্থী জুনাইদ আলম অর্ণব বলেন, “পরীক্ষা আলহামদুলিল্লাহ ভালো হয়েছে। প্রশ্ন মোটামুটি ভালোই ছিল এবং পরীক্ষাও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এবার পাঁচটি বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা হওয়ায় ক্যাম্পাসে ভিড়ও কম এবং যাদের চট্টগ্রাম, ঢাকার মতো দূর-দুরান্ত থেকে আসতে হতো তাদেরও এইবার সুবিধা হয়েছে। প্রশাসনের এই ব্যাতিক্রমী উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাচ্ছি।

মো.

নুর আলম নামে এক অভিভাবক বলেন, “আগে ভর্তি পরীক্ষার সময় ক্যাম্পাসে অনেক ভিড় হত। নিরাপত্তা ও কেন্দ্রে সময়মতো পৌঁছানো নিয়েও দুশ্চিন্তা থাকত। কিন্তু এবার বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা নেওয়ার ফলে চাপ অনেকটাই কমেছে। রাজশাহীতেও পরিবেশ ছিল শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল। আমি মনে করি, এ ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতেও চালু রাখা উচিত।”

সার্বিক বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মাঈন উদ্দিন বলেন, “এবারের বহুকেন্দ্রীক পরীক্ষা নেওয়াটা আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জের বিষয় ছিল। তবে আমরা অনেক স্বস্তির সঙ্গেই পরীক্ষাটি নিতে পেরেছি। আমরা অনেক খুশি যে, এবার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কোন ভোগান্তি পোহাতে হয়নি এবং রাজশাহীসহ অন্যান্য কেন্দ্রে পরীক্ষা নিতে আমাদেরও কোনো সমস্যা হয়নি।”

রাজশাহী ছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রংপুরের আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোতে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ত পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।

প্রশিক্ষণের বিষয়

১. বেসিক কম্পিউটার,

২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,

৩. ইন্টারনেট,

৪. গ্রাফিক ডিজাইন,

৫. ফ্রিল্যান্সিং,

৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।

আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা

১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,

২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,

৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,

৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,

৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

১. ঢাকা,

২. চট্টগ্রাম,

৩. রাজশাহী,

৪. খুলনা,

৫. বরিশাল,

৬. সিলেট,

৭. দিনাজপুর,

৮. গোপালগঞ্জ।

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র

১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,

২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,

৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,

৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,

৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।

নিবন্ধন ফি

মনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।

দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ