কুয়েটের ২২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
Published: 12th, April 2025 GMT
ঘটনার প্রায় ২ মাস পর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ২২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। নগরীর মহেশ্বরপাশা উত্তর বণিকপাড়া এলাকার মো. হোচেন আলী নামে এক ভুক্তভোগী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আমলি আদালতে মামলাটি করেন। আদালত বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে খানজাহান আলী থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার মামলা হলেও বিষয়টি জানাজানি হয় শনিবার। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে আগের ঘোষণা অনুযায়ী, কর্তৃপক্ষের নিষেধ উপেক্ষা করে বন্ধ থাকা কুয়েটে আগামীকাল রোববার দুপুর ২টায় শিক্ষার্থীদের ঢোকার কথা রয়েছে। এ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মামলায় ২২ শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন– কুয়েট শিক্ষার্থী ওমর ফারুক, জাহিদুর, ওবাইদুল্লাহ, মোহন, গালিব রাহাত, তানভীর মাহিন, রায়হান, শেখ মুজাহিদ, সাজ্জাদ ফরহাদ, হিমেল, শোভন, ইছা আনছারী, আবু হাসান খালিদ, ইয়াছিন রোওয়ান, ফজলে রাব্বি, জাহিদুল ইসলাম নায়েল, সাফতি আনছারী, আব্দুর রাহিম মৃধা, আজমাইন ইসরাক অর্ণব, মুজাহিদ, মাহাদি হাসান ও অভি।
বাদী তাঁর অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে তিনি কুয়েট রোড দিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন। পকেট গেটের সামনে গেলে আসামিরা তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে রড ও লাঠি দিয়ে মারধর করে।
এদিকে শিক্ষার্থীরা কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোববার দুপুর ২টায় বন্ধ থাকা কুয়েট ক্যাম্পাসে ঢুকে হলে উঠার ঘোষণা দিয়ে আসছেন। তা ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও পাল্টা উদ্যোগ নেয়।
কুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে বিএনপিতে যোগ দিলেন কোচ ও বংশী জাতিগোষ্ঠীর দুই শতাধিক সদস্য
গাজীপুরে কোচ ও বংশী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর দুই শতাধিক সদস্য বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার নৌলাপাড়া এলাকার জেসন গেট মাঠে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে তাঁদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়।
কোচ ও বংশী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর এসব সদস্যকে বিএনপিতে বরণ করে নেন দলটির সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ও গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর, গাজীপুর সদর উপজেলার একাংশ ও সেনানিবাস এলাকা) আসনের দলীয় প্রার্থী রফিকুল ইসলাম। তিনি অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি ছিলেন।
ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর এসব সদস্যকে স্বাগত জানিয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামী সরকারের হাতেই তাঁরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বিএনপি এমন একটি রাজনৈতিক দল, যেখানে ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবাই নিরাপদে থাকতে পারে।
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সব সময়ই ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর উন্নয়নে কাজ করেছেন। আগামীর নেতা তারেক রহমানও তাঁদের কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন। তাঁর ঘোষিত ৩১ দফায় আদিবাসীদের দাবিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বিএনপিতে যোগ দিয়ে কোচ ও বংশী জাতিগোষ্ঠীর সদস্যরা নিজেদের ভূমি ও বাসস্থান নিয়ে বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়েছেন। এসব সমস্যার সমাধানে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন তাঁরা।