যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে গরম তেল ঢেলে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
Published: 13th, April 2025 GMT
দুই বছর আগে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কদমতলীর খালপাড় এলাকায় যৌতুকের জন্য গরম তেল ঢেলে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী মিজান সরদারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমানের আদালত এ রায় দেন। দণ্ডের পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
রায় ঘোষণার আগে মিজান সরদারকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর এরশাদ আলম (জর্জ)।
জানা গেছে, মিজান সরদারের সাথে ১০ বছর আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মিম আক্তার রুপা। তাদের একটি পুত্র সন্তান এবং কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে মিজান যৌতুকের জন্য রুপাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতো। রুপার বাবা জাহাঙ্গীর আলম মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে মিজানকে ২০ লাখ টাকা দিয়ে জমি কিনে দেন এবং সাত লাখ টাকা দিয়ে একটি দোকানও করে দেন। এরপর সে আরো যৌতুক দাবি করে। তবে রুপা তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। মিজান রুপার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বাড়িয়ে দেয়। তবে ভিকটিম দুই সন্তানের কথা চিন্তা করে তা সহ্য করে।
২০২৩ সালেন ৬ মে রাত ১০টার দিকে মিজান কেরানীগঞ্জের কদমতলীর খালপাড় এলাকার বাসায় রুপাকে যৌতুকের জন্য চাপ দেয়। রুপা যৌতুক দিতর অপরাগতা প্রকাশ করলে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে রুপা দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ৩টার দিকে মিজান সয়াবিন তেল গরম করে এনে রুপার শরীরে ঢেলে দেয়। এতে তার শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়। তার দুই সন্তানও কিছুটা দগ্ধ হয়। তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ২৫ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রুপা।
এ ঘটনায় যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে রুপার বাবা জাহাঙ্গীর আলম ৯ মে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন। রুপা মারা যাওয়ার পর মামলাটি যৌতুকের জন্য হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।
মামলাটি তদন্ত করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর শরজিৎ কুমার ঘোষ ওই বছরের ৩১ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত চার্জশিটভূক্ত ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
ঢাকা/মামুন/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ত ক র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জের ৩টি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নিধারণ হচ্ছে
দ্বাদশ সংসদের ২৬১ আসনের সীমানা বহাল রেখে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩৯টি আসনে ছোটখাটো পরিবর্তন করে নতুন সীমানার খসড়া প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
বুধবার (৩০ জুলাই) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। তবে প্রস্তাবিত আসন নিয়ে ১০ অগাস্টের মধ্যে দাবি-আপত্তি জানানোর সুযোগ রাখা হয়েছে।
এরমধ্যে নারায়ণগঞ্জের ৩টি আসন রয়েছে। আসনগুলো হচ্ছে- নারায়ণগঞ্জ-৩, ৪ ও ৫ আসন। সীমানা পুনর্র্নিধারণ খসড়া করার পর নারায়ণগঞ্জ-৩, ৪ ও ৫ সংসদীয় আসনগুলো হচ্ছে নিন্মরূপ :
নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন :
এ আসনে সোনারগাঁও উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ আছে। সেগুলো হলো: কাঁচপুর, সাদিপুর, জামপুর, সনমান্দী, নোয়াগাঁও, বারদী, বৈদ্যের বাজার, শম্ভুপুরা,
পিরোজপুর, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন।
এছাড়াও বন্দর উপজেলার মোট পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। এগুলো হলো: কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদ, মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ, ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদ এবং
মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদ।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন :
এ আসনে থাকছে সদর উপজেলার মোট ৭ টি ইউনিয়ন। সেগুলো হলো- ফতুল্লা, এনায়েতপুর, বক্তাবলী, কাশিপুর, কুতুবপুর, গোগনগর, আলীরটেক।
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন :
এ আসনে আসছে সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ড । ওয়ার্ডগুলোর এলাকা হলো-
১ নং ওয়ার্ডের আওতায় রয়েছে পাইনাদী পূর্ব অংশ ও মিজমিজি বাতানপাড়া (আংশিক)
২ নং ওয়ার্ডে রয়েছে পাইনাদী পূর্ব অংশ ও মিজমিজি বাতানপাড়া
৩ নং ওয়ার্ডে রয়েছে নিমাইকাশারী, নয়াআটি, বাঘমারা, সানারপাড়।
৪ নং ওয়ার্ডে রয়েছে শিমরাইল, আটি, উত্তর আজীবপুর (উত্তর অংশ), উত্তর আজীবপুর (দক্ষিণ অংশ)।
৫ নং ওয়ার্ডে রয়েছে আজীবপুর দক্ষিণ, সিদ্ধিরগঞ্জ কলাবাগান পূর্ব, সিদ্ধিরগঞ্জ কলাবাগান পশ্চিম, সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও সিদ্ধিরগঞ্জ সাইলো।
৬ নং ওয়ার্ডে রয়েছে সুমিলপাড়া (সকল), আদমজী ইপিজেড, সোনামিয়া বাজার, বাগপাড়া, মন্ডলপাড়া।
৭ নং ওয়ার্ডে রয়েছে কদমতলী উত্তর, কদমতলী দক্ষিন, নয়াপাড়া
৮ নং ওয়ার্ডে রয়েছে ভূইয়াপাড়া, আরামবাগ, বাড়ৈপাড়া, তাঁতখানা, সৈয়দপাড়া, আইলপাড়া, এনায়েতনগর, ধনকুন্ডা
৯ নং ওয়ার্ডে রয়েছে জালকুড়ি পশ্চিম পাড়া, জালকুড়ি মাঝ পাড়া, জালকুড়ি উত্তর পাড়া
১০ নং ওয়ার্ডে রয়েছে বাগপাড়া, ২ নং ঢাকেশ্বরী কটন মিলস, আরামবাগ, রসুলবাগ, মীরপাড়া, চিত্তরঞ্জন কটন মিল এলাকা, আজিম মার্কেট, কো-অপারেটিভ, পাঠানটুলী ওয়াটার ওয়ার্কস সড়কের অংশ বিশেষ যা আজিম মার্কেটের খাল হতে এসিআই এর উত্তর পার্শ্ব পর্যন্ত।
১১ নং ওয়ার্ডে রয়েছে ওয়াটার ওয়ার্কস রোড বিআইডাব্লিউটিসি অংশ, খন্দকার পাড়া, নিউ হাজীগঞ্জ রোড, এসিআই, ঈশা খান রোড, হাজীগঞ্জ,তল্লা,নগর খানপুর (মোকরবা রোড), খানপুর ব্রাঞ্চ রোড (সরদার পাড়া অংশ)।
১২ নং ওয়ার্ডে রয়েছে সরদার পাড়া অংশ,মজিদ খানপুর, নিউ খানপুর (ব্যাংক কলোনী), ইসদাইর, মিশন পাড়া উত্তর চাষাড়া ।
১৩ নং ওয়ার্ডে রয়েছে কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট, আমলাপাড়া, মাছুয়াপাড়া, কলেজ রোড, আল্লামা ইকবাল রোড, নবাব সলিমুল্লাহ রোড, কালীরবাজার, ডি এন রোড (হোল্ডিং নং-৯৮ হতে ১৩৫ পর্যন্ত)
১৪ নং ওয়ার্ডে রয়েছে ডি এন রোড, নন্দী পাড়া, দেওভোগ ওয়েস্ট রোড, শের-এ বাংলা রোড, জিয়শ ট্যাংক রোড, বঙ্গবন্ধু রোডের পশ্চিমাংশ (উকিল পাড়া)
১৫ নং ওয়ার্ডে রয়েছে পুরাতন কোর্ট এলাকা, দ্বিগুবাবুর বাজার, টি এন টি অফিস, মীরজুমলা রোড, সনাতন পাল লেন, চেম্বার রোড, টানবাজার এলাকা, কুটিপাড়া, আর কে মিত্র রোড, বংশাল রোড, বি দাস রোড, আর কে দাস রোড, নতুন জিমখানা, বঙ্গবন্ধু রোড, ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল, নগর ভবন, মন্ডলপাড়া।
১৬ নং ওয়ার্ডে রয়েছে ১ নং বাবুরাইল, ২ নং বাবুরাইল দেওভোগ পাক্কা রোড, এল. এন. এ রোড শের-এ বাংলা রোড, পুরাতন জিমখানা।
১৭ নং ওয়ার্ডে রয়েছে পাইকপাড়া, নয়াপাড়া, আমহাট্টা, ভূঁইয়া পাড়া, শাহসুজা রোড, পাইকপাড়া খেলার মাঠ।
১৮ নং ওয়ার্ডে রয়েছে বি কে রোড, জমিদারী কাচারী গল্লী, নলুয়া রোড, তোলারাম সড়ক, সুলতান গিয়াস উদ্দিন রোড (তামাক পট্টি ও কদমতলী), গোপচর, শহীদনগর ডিয়ারা।
১৯ নং ওয়ার্ডে রয়েছে লক্ষারচর, শান্তিনগর (উত্তরাংশ), এম এন ঘোষাল রোড, ইসলামপুর রোড, পি এম রোড, ফরাজীকান্দা (দক্ষিণ-পশ্চিমাংশ)।
২০ নং ওয়ার্ডে রয়েছে ফরাজীকান্দা (উত্তরাংশ), কেএনসেন রোড (মাহমুদ নগর), কেএনসেন রোড (ডক ইয়ার্ড দক্ষিণাংশ), সোনাবিবি রোড (বেপারীপাড়া, সোনাকান্দা), দড়ি সোনাকান্দা, হাজীপুর (পশ্চিমাংশ)
২১ নং ওয়ার্ডে রয়েছে দত্তপাড়া (দক্ষিণাংশ), বাংলাদেশ পাড়া (দক্ষিণাংশ), শাহী মসজিদবাড়ী, সালেহনগর, কেএনসেন রোড (ডক ইয়ার্ড উত্তরাংশ), সোনাবিবি রোড (এনায়েতনগর, চৌধুরীপাড়া, নোয়াদ্দা), এসএস সাহা রোড (দক্ষিণাংশ)।
২২ নং ওয়ার্ডে রয়েছে দত্তপাড়া (উত্তরাংশ), বাংলাদেশ পাড়া (উত্তরাংশ), কোটপাড়া, বন্দর ঠাকুরবাড়ি, বন্দর কলোনী, স্বল্পের চক (দক্ষিণাংশ), এসএস সাহা রোড (উত্তর-পূর্বাংশ), এইচএম সেন রোড, উইলসন রোড (দক্ষিণাংশ)।
২৩ নং ওয়ার্ডে রয়েছে স্বল্পের চক (উত্তরাংশ), উইলসন রোড (উত্তরাংশ), একরামপুর, নবীগঞ্জ (দক্ষিণাংশ), কদমরসুল রোড, গোলাম আসাদ রোড (দক্ষিণাংশ)।
২৪ নং ওয়ার্ডে রয়েছে নবীগঞ্জ (উত্তরাংশ), টি হোসেন রোড (নবীগঞ্জ), শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ রোড, গোলাম আসাদ রোড (উত্তরাংশ), বক্তারকান্দি দেউলী চৌড়াপাড়া (দক্ষিণাংশ), দেউলী চৌড়াপাড়া (দক্ষিণাংশ), বন্দর নোয়াদ্দা, উত্তর নোয়াদ্দা, কাইতাখালি, আমিরাবাদ।
২৫ নং ওয়ার্ডে রয়েছে চৌড়াপাড়া (উত্তরাংশ), দেউলী চৌড়াপাড়া (উত্তরাংশ), দাসের গাঁও (পশ্চিমাংশ), লক্ষণখোলা (দক্ষিণ-পশ্চিমাংশ)।
২৬ নং ওয়ার্ডে রয়েছে লক্ষণখোলা রোড (উত্তর-পশ্চিমাংশ), রামনগর , সোনাচরা , সোনাচরা বাগ, ইস্পাহানি ডকইয়ার্ড, কুটির বৃন্ধ, কুড়িপাড়া (খালপাড়)।
২৭ নং ওয়ার্ডে রয়েছে কুড়িপাড়া, চাপাতলী, লালখার বাগ, নাজিরগঞ্জ, বঙ্গ শাসন, মুরাদপুর, হরিপুর, ফুলহর (পশ্চিমাংশ)।