সদ্য সমাপ্ত বিনিয়োগ সম্মেলনে প্রাথমিকভাবে ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।

আজ রোববার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এ তথ্য জানান। আরও বিনিয়োগ প্রস্তাব পাইপলাইনে রয়েছে বলেও জানান বিডা চেয়ারম্যান।

বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে ৭ এপ্রিল থেকে চার দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট’ অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারের মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা। তবে সম্মেলনে যাঁরা অংশীদার হিসেবে ছিলেন, তাঁরা ব্যয় করেছেন প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। সব মিলিয়ে চার দিনের সম্মেলনে খরচ হয়েছে পাঁচ কোটি টাকা।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান জানান, আজ প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে বেজা ও বিডার গভর্নিং বোর্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বৈঠকে ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কাজ বাতিল করা হয়েছে।

দেশে বিনিয়োগ নিয়ে কাজ করা সংস্থা মোট আটটি। এসব সংস্থাকে এক ছাতার নিচে আনার জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে উল্লেখ করে চৌধুরী আশিক জানান, নেপালের জন্য একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিডা চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে যদি কেউ বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে আসেন (বাংলাদেশি কেউ) তাঁকে কোনোভাবে প্রণোদনা দেওয়া যায় কি না, বৈঠকে সেই আলোচনা হয়েছে। বেজা, বিডাসহ অনেক সংস্থার এক দরজায় সেবা (ওএসএস) রয়েছে। তবে অনেক সংস্থার ওএসএসের অনলাইন আবেদনের পাশাপাশি অফলাইনে আবেদনের সুযোগও থাকে। আজ প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন, যেসব সংস্থার অনলাইন সেবার সুযোগ রয়েছে, তাদের ম্যানুয়াল সেবাপদ্ধতি এক মাসের মধ্যে বন্ধ করে দিতে হবে। এ ছাড়া ওএসএস মিলিয়ে একটি একক (সিঙ্গেল) পোর্টাল করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলকে (ইপিজেড) বেজার অধীনে আনার একটি প্রস্তাব উঠেছিল। বেজার গভর্নিং বোর্ডের বৈঠকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন থেকে কোরিয়ান ইপিজেড বেজার অধীনে পরিচালিত হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রস ত ব

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে চুরির মামলার ২ আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩

বন্দরে বসতঘরে চুরির ঘটনার মামলার ২ চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতরা হলো বন্দর উপজেলার ফরাজীকান্দা ছোট মসজিদ এলাকার কাজীমুদ্দিনের ছেলে সাব্বির(২২) ও একই এলাকার ইয়াজল হোসেন মিয়ার ছেলে অলিদ(৪০)। এ ব্যাপারে গৃহিনী শান্তা বেগম বাদী হয়ে ধৃতদের বিরুদ্ধে  বন্দর থানায়  চুরির মামলা দায়ের করেন। যার নং ১(১১)২৫। 

এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার জয়নগর এলাকার সিরাজুল মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম (৩২) নামে এক যুবককে সন্দেহ জনক ভাবে আটক করে পুলিশ। ধৃতদের সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে উল্লেখিত মামলায়  আদালত প্রেরণ করেছে পুলিশ।

গত রোববার (২ নভেম্বর)  রাতে বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত ৪ অক্টোবর বন্দর উপজেলা  ফরাজীকান্দা এলাকায় এ চুরির ঘটনাটি ঘটে।

‎মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে,  মামলার বাদিনী বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা গ্ ছোট মসজিদস্থ তার  পিতার বাড়িতে বসবাস করে আসছে। বিবাদী একই এলাকার সম্পর্কে বাদিনী চাচাত ও ফুফাত ভাই ।

গত ৩ অক্টোবর বাদিনী নানা মৃত্যুবরন করলে বাদিনীসহ তার  পরিবারের লোকজন মুন্সিগঞ্জস্থ নানা বাড়িতে যায়। পরের দিন গত ৪ অক্টোবর বাদিনী তার পিতার বাড়িতে এসে  রুমে প্রবেশ করলে সবকিছু এলোমেলো দেখতে পায়।

সন্দেহ হলে ঘরের ভিতর তল্লাশী করিলে দেখতে পাড আমাদের দুটি এড্রয়েট মোবাইল সেট,মাটির ব্যাংকে রক্ষিত ১০ হাজার টাকা,দামী ব্রান্ডের ব্লুটোথসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস চুরি করে নিয়ে যায় ।

ঘরের বিভিন্ন স্থানে খোজ করিয়াও বর্নিত মালামালের কোন সন্ধান পাওয়া যায় নাই। বিবাদীরা ইতিপূর্বেও আমার বাড়িতে চুরি করেছিল এবং আমাদের প্রতিবেশিরা আমাদের অনুপস্থিতিতে বাড়ির চারপাশে ঘুরাঘুরি করতে দেখেছে বলে জানায়।

‎‎পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।  এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার জয়নগর এলাকার সিরাজুল মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম (৩২) নামে এক যুবককে সন্দেহ জনক ভাবে আটক করে। পরে আটককৃতকে পুলিশ আইনের ৩৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ