সুনামগঞ্জে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
Published: 13th, April 2025 GMT
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের হিজলা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুরা হলো সাফায়েত মিয়া (৬), সে হিজলা গ্রামের শাহিন মিয়ার ছেলে। অপরজন হলো, মীম আক্তার (৬), সে জয়শ্রী ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের মামুন মিয়া মেয়ে ও শাহিন মিয়ার ভাগ্নে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হিজলা গ্রামের শাহিন মিয়া নিহত মীমের আক্তারের মামা। মীম তার মামার বাড়িতে নানীর সঙ্গে থাকতো। দুপুরে বাড়ির সামনে ডোবার পাড়ে মীম আক্তার (৬) ও তার মামাত ভাই সাফায়েত (৬) খেলছিল। এক পর্যায়ে পরিবারের লোকজন তাদের দেখতে না পেয়ে ডাকাডাকি করে। সেখানে তাদের না পেয়ে বাড়ির আশপাশে খোঁজাখুঁজি করে। এর একপর্যায়ে শাফায়েত ও মীমকে বাড়ির সামনে ডোবার পানিতে ভেসে থাকতে দেখে। পরে তাদের ডোবা থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণ মামলার চার্জশিট দিল পুলিশ
লক্ষ্মীপুরে রাস্তার পাশে পাওয়া গেল নবজাতক, হাসপাতালে ভর্তি
বিষয়টি রাইজিংবিডি-কে নিশ্চিত করেছেন ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এনামুল হক। তিনি জানান, দুই শিশুর মৃত্যুর সংবাদের প্রেক্ষিতে পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট করেছে। পরবর্তীতে তাদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ বিষয়ে পরিবারের অভিযোগ পাননি।
এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
ঢাকা/মনোয়ার/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সেই রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যা ঘটেছিল
২৩ আগস্ট রাতে আমাদের গ্রেপ্তার
সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামন, এই লেখক শেখ আবদুল আজিজ ও আবদুস সামাদ আজাদ—এই ৬ জনকে ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট একসঙ্গে গ্রেপ্তার করে আমাদের পল্টনে কন্ট্রোল রুমে একটি ভাঙা বাড়িতে নেওয়া হয়। আমরা বসা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সৈয়দ আহমদকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জনৈক কর্নেল ফারুককে অনুরোধ করেছিলেন।
কর্নেল ফারুক উত্তরে বলেছিলেন, ‘আপনাদের সবার ট্রায়াল এখানে হবে।’ আমাদের উদ্দেশ করে বলা হয়েছিল, ‘ইউ উইল হ্যাভ টু জাস্টিফাই ইয়োর করাপশন।’ এ কথা শুনে আমরা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, এটা কোর্ট নয়, আদালত নয়, কীভাবে এখানে বিচার হবে? এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরস্পরের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ইতিমধ্যে মেজর ডালিম এসে এইচ এম কামারুজ্জামানের সঙ্গে আস্তে আস্তে কথা বলতে লাগল। কামরুজ্জামান ডালিমকে বলেছিল, ‘এ রকম তো কথা ছিল না!’ তারপর ডালিম চলে গেল। আমাদের সামনে আমাদের সহানুভূতিশীল পুলিশ কর্মচারীরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। কিছু সময় পর তারা এসে বলল, ‘আপনারা এই গাড়ি ও মাইক্রোবাসে তাড়াতাড়ি ওঠেন; সেন্ট্রাল জেলে যেতে হবে।’ আমরা গাড়িতে উঠলাম এবং ভাবলাম, বেঁচে গেলাম। সেন্ট্রাল জেলে প্রবেশ করলাম। আমাদের নতুন জেলে থাকার জায়গা করে দেওয়া হলো।