তাপপ্রবাহের মধ্যেই কিছু স্থানে বৃষ্টির পূর্বাভাস
Published: 15th, April 2025 GMT
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গতকাল সোমবার বয়ে গেছে তাপপ্রবাহ। দেশের কিছু স্থানে কয়েক দিন থেকেই তাপপ্রবাহ চলছে। তবে এরই মধ্যে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হচ্ছে নানা স্থানে। বৃষ্টির পরও কিন্তু গরম তেমন কমছে না। আজ মঙ্গলবারও দেশের বিভিন্ন স্থানে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। এর মধ্যে আবার দুই বিভাগের কয়েক স্থানে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বাকি বিভাগে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে। তাতে তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে, আবহাওয়াবিদেরা এমনটাই বলছেন।
গতকাল দেশের ১৪টি স্থানে বয়ে গেছে তাপপ্রবাহ। এর মধ্যে আছে ঢাকা, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুর, মৌলভীবাজার, রাঙামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ফেনী, খুলনা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী জেলা এবং চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও সীতাকুণ্ড অঞ্চল।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় সীতাকুণ্ডে ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই তুলনায় গতকাল তাপমাত্রা সামান্য কমেছিল। কিন্তু তাপপ্রবাহের এলাকা খানিকটা বেড়ে গিয়েছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো.
কয়েক দিন ধরে এই তাপপ্রবাহের মধ্যে দেশের কিছু স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। তাতে অবশ্য গরম তেমন কমেনি। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, কুষ্টিয়ার কুমারখালী, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল, খুলনার মোংলা, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে। এভাবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পরও তাপমাত্রা কমছে না কেন?
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম বলেন, তাপমাত্রা বেশি থাকে দিনের বেলায়। এটি প্রশমিত হতে গেলে বৃষ্টি হতে হবে দিনে। কিন্তু এখন যেসব বৃষ্টি হচ্ছে, তা বেশির ভাগই সন্ধ্যা বা রাতে। তাতে প্রশান্তি মেলে। কিন্তু পরে দিনের তাপ আবারও বাড়ে। অবশ্য এ সময়ের বৃষ্টির প্রবণতাই এমন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এ সময়ে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের দু–এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে।
রাজধানীতে এ সময় বৃষ্টি হতে পারে কি না, এ প্রশ্নে শাহীনুল ইসলাম বলেন, আজ মাদারীপুর অঞ্চলে মেঘ আছে। সেটি রাজধানী পর্যন্ত আসবে কি না, তা নিশ্চিত নয়। আসার সম্ভাবনা কিছুটা কম।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু
বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”
চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”
১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”
১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে।
ঢাকা/শান্ত