জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক নির্বাহী সদস্য মো. খাইরুল ইসলামের ছেলে মোরসালিন ইসলাম সৌরদীপের ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসির একটি বিও শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

এ শেয়ারে ৫৪ কোটি ৮৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকা রয়েছে বলে আবেদনে উল্লেখ করেছেন দুদকের উপ সহকারী পরিচালক সাবিকুন নাহার।

মঙ্গলবার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো.

জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। 

আবেদনে বলা হয়েছে, মো. খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতি, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ভুয়া সস্পত্তি জামানত হিসেবে মর্টগেজ দিয়ে বেসিক ব্যাংকের কাওরান বাজার শাখা হতে ১০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগটি অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। 

অভিযোগ রয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিআরপিডি সার্কুলার অনুসারে প্রতিজন ঋণগ্রহীতাকে গৃহ ঋণ বাবদ সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করার বিধান থাকলেও তার নাবালক সন্তান রওশন শিপারিন মেঘমালা ও মোরসালিন ইসলাম সৌরদীপের প্রত্যেকের নামে দুই কোটি টাকা করে চার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করে পরবর্তী সময়ে নিজ নামীয় হিসাবে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-১ হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপরাধমূলক অসদাচারণের মাধ্যমে এটি করেন।

আবেদনে আরও বলা হয়, এটি মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিধায় মোরসালিন ইসলাম সৌরদীপের শেয়ারসমূহ জরুরিভিত্তিতে অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।

ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।

অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।

ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ