ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার থেকে ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের তথ্য ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি)-তে ডব্লিউডি বা উইলফুল ডিফল্ডার হিসেবে রিপোর্ট করতে হবে—এমন নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের শনাক্ত ও চূড়ান্ত করার পর, সংশ্লিষ্ট তথ্য সিআইবিতে রিপোর্ট করতে হবে। একইসঙ্গে, গ্রাহককে পত্র প্রদানের সময় যাচাই করা তথ্যসহ এসব তথ্য সিআইবিতে জমা দিতে হবে।

এ ছাড়া, প্রতিটি ব্যাংককে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের ধারাবাহিক পুঞ্জীভূত তথ্য ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে প্রতিবেদন আকারে, প্রতি তিন মাস অন্তর পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগে দাখিল করতে হবে। একই সঙ্গে যাবতীয় দলিলপত্র ও হালনাগাদ তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন দলের চাহিদা অনুযায়ী উপস্থাপন করতে হবে।

এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘ইচ্ছাকৃত ঋণগ্রহীতা শনাক্তকরণ ও চূড়ান্তকরণ এবং তাদের বিরুদ্ধে গৃহীতব্য ব্যবস্থা’ শীর্ষক একটি সার্কুলার জারি করে। এতে কারা ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে বিবেচিত হবেন এবং তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি মাস থেকেই ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি শনাক্তকরণ ইউনিট গঠনের নির্দেশনা দিয়েছে প্রতিটি ব্যাংকে। এ ইউনিটের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে খেলাপিদের তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

ঢাকা/এনএফ/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনের আগেই পাঁচ ব্যাংক এক হবে: গভর্নর

বেসরকারি খাতের পাঁচ ইসলামী ব্যাংককে একীভূত (মার্জার) করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সঙ্গে এই একীভূতকরণের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আশা করি, আগামী সরকারও এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেবে। তবে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত হবে।’

আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর এ মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি ব্যাংককর্মীদের আশ্বস্ত করেন, এই একীভূতকরণের ফলে কোনো কর্মীকে চাকরি হারাতে হবে না।

গভর্নর বলেন, কর্মীদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। প্রয়োজনে কিছু শাখা পুনর্বিন্যাস করা হবে। যেসব ব্যাংকের শাখা শহর এলাকায় বেশি, সেগুলোর কিছু শাখা গ্রামাঞ্চলে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

এ সময় পাচার করা সম্পদ উদ্ধার করা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন গভর্নর। তিনি বলেন, ‘সম্পদ উদ্ধারের বিষয়টি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ধাপে ধাপে অগ্রসর হওয়ার প্রক্রিয়া। আদালতের চূড়ান্ত রায় ছাড়া এসব অর্থ উদ্ধার সম্ভব নয়। এ জন্য সুনির্দিষ্ট তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।

গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমরা চাই, আদালতের মাধ্যমে যাচাই হোক, আমাদের দাবি কতটা সঠিক। আদালতের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই অর্থ উদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে।’

বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতির কথা উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, আদালতের বাইরে সমঝোতার মাধ্যমে অর্থ ফেরতের পথও খোলা আছে। সে ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের আইনজীবীরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজবেন। সরকার যে পথ নির্ধারণ করবে, আদালত কিংবা এডিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংক সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়ে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে।

গভর্নর আরও বলেন, দেশীয় সম্পদ উদ্ধারে দেশের আদালতে এবং বিদেশি সম্পদ উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট দেশের আদালতে মামলা পরিচালনার প্রস্তুতি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কিছু ব্যাংক একীভূত হবে, কর্মীদের আতঙ্কের কিছু নেই: গভর্নর
  • পাচার অর্থ ফেরাতে যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করছে সরকার: গভর্নর
  • নির্বাচনের আগেই পাঁচ ব্যাংক এক হবে: গভর্নর