টুথপেস্টের মতো তরল ব্যাটারি তৈরি করেছেন সুইডেনের লিংকোপিং বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী। নতুন প্রযুক্তির এ ব্যাটারি যেকোনো আকার ধারণ করতে পারে। এর ফলে ব্যাটারিটি ভবিষ্যতে পরিধানযোগ্য বৈদ্যুতিক যন্ত্র, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও রোবট তৈরিতে কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রসারণযোগ্য ব্যাটারি তৈরির জন্য অনেক বছর ধরেই কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। এবার কাগজ উৎপাদনের টেকসই উপজাত কন্ডাকটিভ প্লাস্টিক ও লিগনিনের ওপর ভিত্তি করে নমনীয় ব্যাটারি তৈরি করেছেন লিংকোপিং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞান সাময়িকীতে নতুন এ ব্যাটারির বিস্তারিত তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এরই মধ্যে নতুন প্রযুক্তির ব্যাটারির একটি প্রোটোটাইপ তৈরি করা হয়েছে, যা ৫০০ বারের বেশি রিচার্জ ও ডিসচার্জ করার পরও কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে পারে। এই ব্যাটারি দ্বিগুণ দৈর্ঘ্যে প্রসারিত করা হলেও কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। আকারহীন ব্যাটারি কনফিগারেশন অর্জন করার কারণে পরবর্তী প্রজন্মের পরিধানযোগ্য ডিভাইসে নতুনত্ব আসবে। যদিও প্রোটোটাইপ ব্যাটারিটি বর্তমানে শিল্পে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত নয়। এটি কেবল ১ ভোল্ট সঞ্চয় করতে পারে, যা একটি স্ট্যান্ডার্ড গাড়ির ব্যাটারির ভোল্টেজের ৮ শতাংশের কম।

নতুন ব্যাটারির বিষয়ে বিজ্ঞানী আইমান রহমানুদ্দিন বলেন, ‘নমনীয় ব্যাটারি তৈরির ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা রয়েছে। তবে আমরা ব্যাটারির ক্ষমতা অনমনীয়তার ওপর নির্ভরশীল নয় বলে প্রমাণ করেছি। নতুন উদ্ভাবিত টেক্সচারটি কিছুটা টুথপেস্টের মতো। ব্যাটারির উপাদান থ্রিডি প্রিন্টারে ব্যবহার করে ইচ্ছেমতো ব্যাটারির আকার দেওয়া যেতে পারে। এর মাধ্যমে নতুন ধরনের প্রযুক্তির দ্বার উন্মোচিত হবে।’

সূত্র: এনডিটিভি

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চাকরির প্রস্তুতির জন্য সোশ্যাল মিডিয়া যেভাবে ব্যবহার করবেন

বর্তমান যুগ সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই দিনের বেশির ভাগ সময় ফেসবুক ও ইউটিউবে বুঁদ হয়ে থাকেন। তাই শুধু নিউজ ফিডে স্ক্রুল করে সময় নষ্ট না করে ফেসবুক ও ইউটিউবও হতে পারে চাকরির প্রস্তুতির জন্য ভালো প্ল্যাটফর্ম। চাকরির বাজার সব সময়ই প্রতিযোগিতামূলক। বদলে গেছে প্রস্তুতির ধরনও। আগে যেখানে লাইব্রেরিতে গিয়ে দল বেঁধে পড়তে যেত সবাই, এখন সেখানে যুক্ত হয়েছে ইউটিউব, ফেসবুক, টেলিগ্রাম, গুগল ড্রাইভ এবং আরও অনেক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম।

এই অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো কতটা কার্যকরভাবে ব্যবহার করছেন আপনি? প্ল্যাটফর্মগুলো অপ্রয়োজনীয়ভাবে ব্যবহার করলে সময় নষ্ট হতে পারে। তবে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করলে এগুলো হয়ে উঠতে পারে সাফল্যের শক্তিশালী হাতিয়ার। চাকরির প্রস্তুতিতে কার্যকরভাবে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করা হলো।

ইউটিউব—

শিক্ষার অফুরন্ত উৎস বলা হয় ইউটিউবকে। এটি হলো চাকরির প্রস্তুতির জন্য একটি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। কনসেপ্ট ক্লিয়ার করার জন্য এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম। সাধারণ জ্ঞান, গণিত, বাংলা ব্যাকরণ, ইংরেজি ব্যকরণ থেকে শুরু করে ইন্টারভিউ স্কিল পর্যন্ত সব ধরনের কনটেন্ট পাওয়া যায়।

কীভাবে ব্যবহার করবেন—

বিষয়ভিত্তিক ভিডিও: গণিতের শর্টকাট, ইংরেজি ব্যকরণ, বাংলা সাহিত্য বা সাধারণ জ্ঞানের সহজ ব্যাখ্যা পেতে জব চ্যানেলগুলো ফলো করুন।

প্রশ্ন সমাধান: অনেক চ্যানেলে বিগত বছরের প্রশ্নপত্রের সমাধান বা মক টেস্টের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। এটি পরীক্ষার ধরন বুঝতে সাহায্য করে।

ইন্টারভিউ প্রস্তুতি: ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রশ্নোত্তর, শরীরী ভাষা এবং সাধারণ টিপসের ভিডিও দেখে আত্মবিশ্বাস বাড়ান।

প্লে-লিস্ট তৈরি: নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী বিষয়ভিত্তিক প্লে-লিস্ট তৈরি করে নিয়মিত পড়ুন।

মোটিভেশনাল কনটেন্ট: সফল প্রার্থীদের অভিজ্ঞতা বা মোটিভেশনাল ভিডিও দেখে প্রস্তুতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন।

আরও পড়ুনসরকারি ব্যাংকে ষষ্ঠ-নবম-দশম গ্রেডে বড় নিয়োগ, পদ ৬০৮টি২৪ এপ্রিল ২০২৫

সতর্কতা—

অপ্রাসঙ্গিক বিনোদনের ভিডিও এড়িয়ে শুধু শিক্ষামূলক কনটেন্টে ফোকাস করুন। ভিডিও দেখার সময় নোট নিন, অন্যথায় তথ্য ভুলে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।

ফেসবুক—

ফেসবুক শুধু সোশ্যাল মিডিয়া নয়, এখানে রয়েছে হাজারো স্টাডি গ্রুপ ও পেজ, যেখানে শেয়ার করা হয় নোট, ভাইভা প্রশ্ন ও চাকরির নোটিশ। প্রিলি, লিখিত, ভাইভা—সব পরীক্ষার প্রশ্ন, পরীক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা, সাজেশন পোস্ট হয় এখানে। ফেসবুক চাকরিপ্রার্থীদের জন্য একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে তথ্য আদান-প্রদান ও বিভিন্ন আলোচনা হয়।

ছবি: প্রথম আলো

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চাকরির প্রস্তুতির জন্য সোশ্যাল মিডিয়া যেভাবে ব্যবহার করবেন