লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকে এক কৃষককে গুলি এবং নির্যাতন করে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বুধবার দুপুরে উপজেলার সিংগীমারী সীমান্তের ৮৯৪ নম্বর পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হাসিনুর ইসলাম (২৬) সিংগীমারী ইউনিয়নের জাহিদুল ইসলামের ছেলে। 

প্রত্যক্ষদর্শী রবিউল ইসলাম জানান, দুপুরে কয়েকজন কৃষক বাংলাদেশের সীমানায় ঘাস কাটছিলেন। হঠাৎ শীতলকুচি থানার নগর সিংগীমারী ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের উদ্দেশ্য করে গুলি চালান। এতে হাসিনুর গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে যান। পরে বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে নির্যাতন করে মরদেহ নিয়ে যান। 

স্থানীয় আনোয়ার হোসেন জানান, ইটভাটার শ্রমিক হাসিনুর কয়েকদিন আগে বাড়িতে আসেন। আজ সীমান্ত এলাকায় নিজ জমিতে ঘাস কাটতে গেলে বিএসএফ তাকে উদ্দেশ্য করে গুলি করে। পরে বিএসএফ সদস্যরা অনুপ্রবেশ করে নির্যাতনের পাশাপাশি লাশ নিয়ে যান। 

এদিকে বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। 

অবশ্য বিজিবি কোনো ধরনের বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি। 

হাতীবান্ধা থানার ওসি মাহমুদুরনবী বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে একজন আহত হয়েছেন শুনেছি। বিএসএফ তাকে সে দেশে নিয়ে গেছে। বিজিবি মাধ্যমে এ তথ্য জেনেছি। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় বিজিবি ও বিএসএফের পতাকা বৈঠকের কথা রয়েছে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেট সীমান্তে বাংলাদেশে ঢুকে খুঁটি উপড়ে ফেলে বিএসএফ, স্থানীয়দের প্রতিবাদ
  • পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনে কর্মকর্তা নিয়োগ, বেতন ৫১,০০০ টাকা
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক