যাত্রার শুরুতেই জাতিকইজি প্ল্যাটফর্ম ই-কমার্স পরিষেবায় বিশেষ দৃষ্টান্ত অর্জন করেছে। নতুন এ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ২১ হাজার নতুন মার্চেন্ট তাদের ই-কমার্স শপ চালু করেছেন। নতুন গ্রাহক তৈরি হয়েছে ৭৩ হাজার। অন্যদিকে লক্ষাধিক অর্ডার সম্পন্ন হয়েছে। বিপণনকারীর আয় ২৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

জানা গেছে, ২০২২ সাল থেকে সারাদেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তার (এসএমই) ডিজিটাল সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান জাতিক লিমিটেড। দেশের উদ্যোক্তাদের জন্য সময়োপযোগী ডিজিটাল রূপান্তরের সুযোগ করে দিতে তারা কাজ করছে। জাতিকইজির সহায়তায় যে কোনো উদ্যোক্তা কারিগরি দক্ষতা না থাকার পরও ডিজিটাল বিকাশের সুযোগ পাচ্ছেন। দেড় বছরের মধ্যেই লক্ষাধিক সক্রিয় মার্চেন্টকে ই-কমার্সের আওতায় নিয়ে আসতে প্ল্যাটফর্মটি কাজ করেছে।

জাতিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুলতান মনি বললেন, আমাদের দেশের কোনো ছোট ব্যবসা যেন ডিজিটাল অগ্রগতির বাইরে না থাকে, তা নিশ্চিত করতে আমরা এখন কাজ করছি। এবারের ঈদুল ফিতরের আগের মাসের সাফল্য থেকে আরও বেশি অনুপ্রাণিত হয়েছি। প্রযুক্তিকে যদি সহজ ও স্থানীয় বাস্তবতার সঙ্গে মিলিয়ে ব্যবহার করা যায়, তবে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে যে কোনো ব্যবসায় ডিজিটাল উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার সুযোগ থেকে কেউ বঞ্চিত হবে না।

জাতিক লিমিটেড বাংলাদেশভিত্তিক প্রযুক্তি পরিষেবা প্রতিষ্ঠান। যারা ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তার ডিজিটাল কমার্সে যুক্ত করতে কাজ করছে।

সারাদেশের অর্থনীতিকে বিকশিত করতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তার ডিজিটাল হয়ে ওঠা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই বলে উদ্যোক্তারা মনে করেন।

দেশের কোনো ছোট ব্যবসাই সুযোগের অভাবে পিছিয়ে থাকবে না, এমন ডিজিটাল ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে সহজ ও স্মার্ট প্ল্যাটফর্মে নিজের কাজের পরিসর ও পরিধি প্রসারে বহুমাত্রিক ভাবনা থেকে উদ্যোক্তারা কাজ করে চলেছে বলে জানানো হয়।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ই কম র স প ল য টফর ম ই কম র স ক জ করছ ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কথিত সংস্কার কাদের জন্য, কিসের জন্য: মাহমুদুর রহমান মান্না

‘এরা সংস্কারের কথা বলে, কিন্তু বাজেটে তার প্রতিফলন নেই। অর্থনীতিতে নেই, পুলিশের কোনো সংস্কার হচ্ছে না, শিক্ষায় নেই, কোথাও নেই। তাহলে এই সংস্কারটা কী?’ এ প্রশ্ন তুলেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার প্রচেষ্টা নিয়ে আরও প্রশ্ন তুলে মান্না বলেছেন, ‘টাস্কফোর্স আছে, কিন্তু তার কোনো মূল্য নেই। পুলিশ বা প্রশাসনে কী সংস্কার হচ্ছে, সেটাও জানানো হচ্ছে না। কোনো কমিটি পর্যন্ত নেই। তাই প্রশ্ন জাগে, এই কথিত সংস্কার কাদের জন্য, কিসের জন্য?’

আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন মান্না। ‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং কল্যাণ রাষ্ট্রের ভাবনায় বাজেট ২০২৫-২৬’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে নাগরিক ঐক্য।

আলোচনায় বাজেট নিয়ে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বৈষম্য নিরসনের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই। বাজেট না হয়ে এটা রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রতিফলন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে এমন কোনো কথা হয়েছে কি না, যেটা বাইরে বলা যাবে না, সেই প্রশ্ন করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি। এরপরও নির্বাচনের তারিখের বিষয়ে দুই পক্ষ সম্মত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মান্না।

নির্বাচন ছাড়া যাওয়ার কোনো পথ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক বা ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি যদি হঠাৎ কিছু ঘটিয়ে দেয়, সেটা বলা যায় না। কিন্তু আমরা তো জানি, সেই ঘটনা ঘটলেও নির্বাচন ছাড়া কোনো পথ নাই। সেই অর্থে মাইনাস নির্বাচন-এমন ধারণার কোনো ভিত্তি নেই। নির্বাচন ইস্যুতে বরফ জমে ছিল, এখন সেটি গলতে শুরু করেছে।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মান্না বলেন, ‘বিএনপি বলেছিল ওই তারিখে নির্বাচন হতে পারবে না। সরকার বলেছিল একমাত্র ওই দল বিরোধিতা করছে। এখন যেভাবে কথা হচ্ছে, মনে হচ্ছে বরফ গলছে। আমি এটা ইতিবাচক মনে করি। আমি গণতন্ত্র চাই, সেই জন্যই নির্বাচনের ওপর এত জোর দিচ্ছি।’

পাচার করা অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ঘাটতি দেখছেন মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘আমরা পৃথিবীর যেখানেই যাই কেউ তো আমাদের ফেরত দিচ্ছে না। সবাই আমাদের ডাকছে আসো, তোমাদের কী লাগে সংস্কারের জন্য, কী করতে হবে, দেশটা বদলাবার জন্য কী করতে হবে, একদম সর্বোচ্চ জায়গা থেকে বলা হয়েছে। অথচ দেখলেন এই পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনবার জন্য ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী (যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার) কী আচরণ করলেন। উনি ঠিক করেছেন নাকি আমরা কোনো কথাবার্তা না বলে গেছি?’

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। সেখানে লিখিত বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার। সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, বাংলাদেশ শিক্ষক ইউনিয়নের সভাপতি আবুল বাসার হাওলাদার প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ