Samakal:
2025-05-01@04:55:33 GMT

সরঞ্জাম না পেয়েও বিল পরিশোধ

Published: 17th, April 2025 GMT

সরঞ্জাম না পেয়েও বিল পরিশোধ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মিডিয়া ল্যাবে সরঞ্জাম ঠিকমতো বুঝে না পেয়েও পুরো বিল পরিশোধের অভিযোগ উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মিডিয়া ল্যাবের দরপত্র পায় ফুয়ানা ইনফো নামে একটি কোম্পানি। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালে ফুয়ানা ইনফো টেক লিমিটেডের কাছ থেকে ২৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকার ২৯ ধরনের সরঞ্জাম কিনেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। সম্প্রতি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ ল্যাবের কাজ শুরু করলে সেখানে দুটি ট্রাইপড ও ভিডিও এডিটিং পিসির কেবল পাওয়া যায়নি, যার আনুমানিক মূল্য দেড় লাখ টাকা। তবে কোম্পানির রিসিভ কপির তথ্য অনুযায়ী, এসব সরঞ্জাম বুঝিয়ে দিয়েছে তারা। এদিকে সরঞ্জাম না পেয়েও বিল পরিশোধের সুপারিশ করেছিলেন বিভাগটির তৎকালীন চেয়ারম্যান ও ল্যাব স্থাপন কমিটির আহ্বায়ক কাজী এম.

আনিছুল ইসলাম।

জানতে চাইলে ল্যাব স্থাপন কমিটির সদস্য এএমএম সাইদুর রসিদ বলেন, ট্রাইপড না পাওয়ার বিষয়টি কমিটির আহ্বায়ককে জানানো হয়। তাঁর সম্মতিতেই রিসিভ কপিতে স্বাক্ষর করেন তিনি।

রিসিভ কপিতে স্বাক্ষর রয়েছে ল্যাব স্থাপন কমিটির আহ্বায়ক কাজী এম. আনিছুল ইসলামেরও। তবে অস্বীকার করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে কাজী এম. আনিছুল ইসলাম বলেন, তিনি দায়িত্ব ছাড়ার আগে সব বুঝিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু বর্তমান বিভাগীয় চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসানের দাবি, তিনি সব সরঞ্জাম বুঝে পাননি। 

ফুয়ানা ইনফোর প্রজেক্ট ম্যানেজার মোফাজ্জল হোসেন জানান, তিনবারে সরঞ্জাম ডেলিভারি দিয়েছেন তারা। সরঞ্জাম পাঠানোর আগে কয়েকবার চেক করে দেখেছেন, কোনো কিছু বাকি আছে কিনা। আবারও কাগজপত্র যাচাই করে দেখা হবে।

বিভাগের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আমরা কোম্পানিকে জানিয়েছি, তবুও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরঞ জ ম কম ট র

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ