‘ডিসকো ড্যান্সার’খ্যাত অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। টলিউড, বলিউডে সমান জনপ্রিয়। রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত তিনি। একজীবনে যশ-খ্যাতি সবই পেয়েছেন। পরিবার নিয়ে মুম্বাইয়ে নিজের বাড়িতে বসবাস করেন। ভারতীয় বাংলা সিনেমায়ও এখন নিয়মিত অভিনয় করছেন। ফলে মুম্বাই টু কলকাতা— যাওয়া আসার মধ্যে থাকেন।

মিঠুন চক্রবর্তী তার পর্দার নাম। প্রকৃত নাম গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী। ১৯৫০ সালের ১৬ জুন বাংলাদেশের বরিশালে তার জন্ম। তবে নদীয়া জেলায় তার শৈশব-কৈশোর কেটেছে। পরে উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতায় পাড়ি জমান। মজার ব্যাপার হলো, কলকাতায় মিঠুনের এখনো নিজের কোনো বাড়ি নেই। মুম্বাই থেকে কলকাতায় গেলে হোটেলে থাকেন এই অভিনেতা। কলকাতায় কেন বাড়ি নেই মিঠুনের?   

কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আড়ালের ঘটনাই সামনে এনেছেন মিঠুন। এ অভিনেতা বলেন, “দু-দুবার বাড়ি করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে মানুষ। ৮ লাখ রুপি পেতাম। মামলা করেছি। পাঁচ-ছ’লাখ এখনো ফেরত পাইনি।”

এক ঘটনা বর্ণনা করে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, “একবার টাকা নিয়েছে, বলেছে সব ক্লিয়ার আছে। যখন বাড়ি করতে গিয়েছি, বিডিও বলছেন, ‘এটা কার সই?’ বলেছি মালিকের, বললেন, ‘ওকে নিয়ে আসুন, জেলে পুরব, জালিয়াতি করেছে।’ মানে, আমাকে এমন সব ভুয়া কাগজপত্র দিয়েছে। সেজন্যই ভেবেছি, ভগবান বোধহয় চান না এখানে কিছু হোক!”

এসব তিক্ত অভিজ্ঞতার পর কলকাতায় বাড়ি করার ইচ্ছাটাই যেন মিটে গেছে মিঠুনের! কাজের প্রয়োজনে যতদিন কলকাতায় থাকতে হয়, ততদিন হোটেল কিংবা বন্ধুর বাড়িতেই থাকেন এই অভিনেতা।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কলক ত য়

এছাড়াও পড়ুন:

কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘নয়া মানুষ’

নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রান্তিক চরের মানুষের জীবনযাপন, মানবিকতা ও ধর্মীয় সহাবস্থানের চিত্র নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘নয়া মানুষ’। প্রশংসিত এই চলচ্চিত্র জায়গা করে নিয়েছে ‘কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এর পঞ্চম আসরে। ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে আজ থেকে শুরু হওয়া এই উৎসবে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের এই আলোচিত চলচ্চিত্রটি। 

৭ দিনব্যাপী এ উৎসবে মিসর, জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান ও ভারতের নির্বাচিত চলচ্চিত্রের সঙ্গে প্রদর্শিত হবে ‘নয়া মানুষ’, যা বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নিচ্ছে উৎসবে। 

আরো পড়ুন:

দুই গায়িকার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, দ্বন্দ্ব চরমে

সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন ভাবনা

২০২৪ সালের ৬ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়া ‘নয়া মানুষ’ দর্শক ও সমালোচকদের কাছ থেকে প্রশংসা কুড়ায়। আ. মা. ম. হাসানুজ্জমানের লেখা ‘বেদনার বালুচরে’ উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্রটির সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেন মাসুম রেজা। 

চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, আশীষ খন্দকার, ঝুনা চৌধুরী, শিখা কর্মকার, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, মাহিন রহমান, নাজমুল হোসেন, স্মরণ সাহা, সানজানা মেহরান ও শিশুশিল্পী ঊষশী। 

উৎসবে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে গল্পকার ও অভিনেতা আ. মা. ম. হাসানুজ্জমান বলেন, “আমি যখন গল্পটি লিখি, তখন এত কিছু ভাবিনি। কিন্তু চলচ্চিত্রটি দর্শক দেখার পর যে ভালোবাসা পাচ্ছি, তা সত্যিই অকল্পনীয়। ‘নয়া মানুষ’ ধর্মীয় উন্মাদনার বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করছে, শান্তির বার্তা দিচ্ছে, ধর্মের প্রকৃত দর্শন তুলে ধরছে—এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।” 

চলচ্চিত্রটির নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, “আমার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘নয়া মানুষ’ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎসবে অংশ নিচ্ছে—এটা আমার জন্য গর্বের বিষয়। কাশ্মীর ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ‘নয়া মানুষ’ অংশ নিচ্ছে, যা দেশের চলচ্চিত্রের জন্যও একটি বড় সাফল্য।” 

চাঁদপুরের দুর্গম কানুদীর চরে চিত্রগ্রহণ করা হয়েছে চলচ্চিত্রটির। চিত্রগ্রহণ পরিচালনা করেছেন কমল চন্দ্র দাস। সিনেমাটির সংগীতে কণ্ঠ দিয়েছেন বাউল শফি মণ্ডল, চন্দনা মজুমদার, বেলাল খান, অনিমেষ রয়, মাসা ইসলাম ও খাইরুল ওয়াসী। সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন চৌধুরী, মুশফিক লিটু ও শোভন রয়। 

মানবতার বার্তা, ধর্মীয় সহনশীলতা ও জীবনবোধের অনন্য মেলবন্ধন নিয়ে ‘নয়া মানুষ’ এবার বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পৌঁছে দিচ্ছে শান্তি ও সহমর্মিতার বার্তা।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ