রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে।

ঢাকার আকাশে বেলা সাড়ে ১১টার দিক থেকে মেঘের আনাগোনা শুরু হয়। বৃষ্টি শুরু হয় দুপুর সোয়া ১২টার দিকে। বেলা পৌনে একটায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত কিছু এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ রাজধানীতে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া বৃষ্টি হয়েছে কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।

এই বৃষ্টি ২০ এপ্রিল (রোববার) পর্যন্ত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, একই সময়ে দেশজুড়ে একনাগাড়ে বৃষ্টি হবে না। বৃষ্টি হতে পারে বিচ্ছিন্নভাবে।

আজ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির পূর্বাভাস গতকাল বুধবারই দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত, কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক আজ প্রথম আলোকে বলেন, পদ্মা তীরবর্তী কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ থেকে শুরু করে ঢাকা পর্যন্ত বজ্রমেঘ রয়েছে। এর প্রভাবেই বৃষ্টি হচ্ছে। মেঘের একটি সেল আছে নোয়াখালী ও উত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায়। এ মেঘের বিস্তার আগামী ২ থেকে ৪ ঘণ্টা থাকতে পারে।

বৃষ্টিতে ছাতা মাথায় হেঁটে যাচ্ছেন একজন। খামারবাড়ি, ঢাকা, ১৭ এপ্রিল.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সহ দ শ র ব ভ ন ন

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়

সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।

সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।

সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।

সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।

সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।

সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।    

সম্পর্কিত নিবন্ধ