অভূতপূর্ব সংকটের মুখোমুখি ভারতের বিচারব্যবস্থা। বিভিন্ন আদালতে জমে থাকা মামলার সংখ্যা গত বছর ৫ কোটি ছাড়িয়েছে। ‘ইন্ডিয়া জাস্টিস রিপোর্ট, ২০২৫’ এই হিসাব দিয়েছে। রিপোর্ট জানাচ্ছে, ২০২৪ সাল পর্যন্ত উচ্চ ও নিম্ন আদালতে মুলতবি মামলার সংখ্যা ৫ কোটিরও বেশি। গত চার বছরে এই হার বৃদ্ধি হয়েছে ৩০ শতাংশ। রিপোর্টের মতে, যা গভীর উদ্বেগের। দেশের বিচারব্যবস্থা এই গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে ব্যর্থ।

রিপোর্টের পর্যবেক্ষণ, ই-ফাইলিং ও ডিজিটাইজেশনের মতো প্রযুক্তির সাহায্য উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো হলেও সমস্যা দূর হচ্ছে না কাঠামোগত সমস্যার সমাধান না হওয়ায়। কাঠামোগত সংস্কারের অভাবের দরুন প্রযুক্তির ব্যবহারও মামলার জোয়ার ঠেকাতে পারছে না। ফলে জনমনে হতাশা বাড়ছে। নড়ে যাচ্ছে বিচারব্যবস্থার ওপর মানুষের ভরসা। কারাগারগুলোয় উপচে পড়ছে ভিড়। এ কারণে সৃষ্টি হচ্ছে নানা ধরনের সংকট।

ইন্ডিয়া জাস্টিস রিপোর্ট জানাচ্ছে, দেশের উচ্চ আদালতগুলোয় মোট মুলতবি মামলার ৫১ শতাংশ ঝুলে রয়েছে পাঁচ বছর ধরে। উচ্চ আদালতগুলোর মধ্যে পাঞ্জাব-হরিয়ানা ও এলাহাবাদ হাইকোর্টে মুলতবি থাকা মামলার হার সবচেয়ে বেশি। ৬০ শতাংশ। উচ্চ আদালতের তুলনায় নিম্ন আদালতগুলোর হাল কিছুটা ভালো। ২২ রাজ্যের নিম্ন আদালতে দায়ের হওয়া মামলার ২৫ শতাংশ ঝুলে রয়েছে তিন বছর ধরে। এই রাজ্যগুলোর মধ্যে বিহারের হাল সবচেয়ে খারাপ। সেখানে নিম্ন আদালতে তিন বছরের বেশি ঝুলে আছে ৭১ শতাংশ মামলা। পশ্চিমবঙ্গ, ওডিশা ও উত্তর প্রদেশে এই হার ৪৫ শতাংশ। দেশের ১০ রাজ্যের নিম্ন আদালতের ২৫ শতাংশ মামলা পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে মুলতবি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিচারের আশায় মামলাকারীদের কাটাতে হচ্ছে দশ–দশটা বছর।

ইন্ডিয়া জাস্টিসের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সংকটের প্রধান কারণ, বিচারকদের দীর্ঘস্থায়ী ঘাটতি। ২০২২ সালে রেকর্ডসংখ্যক বিচারক নিয়োগ সত্ত্বেও দেশের নিম্ন আদালতগুলোয় গড়ে ২১ শতাংশ ও উচ্চ আদালতে গড়ে ৩৩ শতাংশ পদ এখনো খালি। উচ্চ আদালতে প্রতি তিনজনে একটি ও নিম্ন আদালতে প্রতি পাঁচজনে একটি পদ শূন্য। ফলে বিচারপতিদের ওপর সৃষ্টি হচ্ছে অসহনীয় চাপ। বিচারব্যবস্থা ভুগছে গতিমন্থরতায়।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

প্রবীন সাংবাদিক আব্দুল্লার শয্যাপাশে বন্দর পেশাদার সাংবাদিক ফোরাম

বন্দর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার সিনিয়র  স্টাফ রিপোর্টার অসুস্থ্য প্রবীন সাংবাদিক এসএম আব্দুল্লাহ খোঁজ খবর নিলেন বন্দর পেশাদার সাংবাদিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বন্দর কলাবাগস্থ তার নিজ বাড়িতে এসে তারা এ খোঁজখবর নেন । ওই সময় সাংবাদিক এসএম আব্দুল্লাহর পাশে কিছুক্ষণ সময় কাটান ও তার চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর নেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক বিজয় পত্রিকার সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সেন্টু,বন্দর প্রেসক্লাবের সাবেক সহ সাধারন সম্পাদক জি.এম. সুমন একই কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক  আমির হোসেন,বন্দর প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার বন্দর প্রতিনিধি মেহেদী হাসান রিপন,দৈনিক সংবাদ চর্চা পত্রিকার বন্দর প্রতিনিধি শেখ আরিফসহ বন্দর পেশাদার সাংবাদিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য,সাংবাদিক এসএম আব্দুল্লাহ গত শনিবার সকাল এগারোটার দিকে প্রচন্ড ভাইরাস জ্বড়ে অসুস্থ হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে বাড়িতে টানা ৬ দিন যাবৎ তিনি অসুস্থ্য হয়ে শয্যাশায়ী রয়েছেন।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা.ফারুক আহেমেদের নিবির পর্যবেক্ষণে আছেন তিনি। তবে বর্তমানে কিছুটা উন্নতি হলেও শংকা কাটেনি বলে জানা গেছে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ