এআই প্রতিষ্ঠানের কাছে চেহারা বিক্রি করে বিপদে অভিনেতা
Published: 19th, April 2025 GMT
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিনেতা সিমন লি বড় ধরনের বিপদে পড়েছেন। অনলাইনে টিকটক বা ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মে তাঁর চেহারা কখনো শল্য চিকিৎসক, কখনো স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞ হিসেবে ব্যবহার করে বিতর্কিত স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়গুলো প্রচার করা হচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সভিত্তিক (এআই) মার্কেটিং কোম্পানিগুলোর কাছে যাঁরা নিজের ছবি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন, সিমন তাঁদের মধ্যে একজন।
তিনি এখন লক্ষ করছেন, অনলাইনে ভুয়া ভিডিও বা ডিপফেক, সন্দেহজনক বিজ্ঞাপন এমনকি রাজনৈতিক প্রচারণায়ও তাঁর প্রতিচ্ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে সিমন বলেন, ‘এটা যদি সুন্দর একটি বিজ্ঞাপন হতো, তাহলে আমার ভালো লাগত। কিন্তু এখন তো এটা একটা স্ক্যাম বা প্রতারণা।’ এখন তাঁর জন্য সমস্যা হলো, তিনি যে চুক্তিতে সই করেছেন, তাতে এ ভিডিও তিনি সরিয়ে দিতে বলতে পারছেন না।
সিমন বলেন, তাঁর ডিজিটাল প্রতিচ্ছবি ব্যবহার করে ওজন কমানোর দাওয়াই, ব্রণ দূর করতে বরফপানিতে গোসলের মতো বিতর্কিত নানা উপায় বাতলানো হচ্ছে।
কোনো অভিনেতার সঙ্গে চুক্তি করার চেয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিকে এখন কম খরচে ব্যবহার করা যায়। এআই দিয়ে তৈরি কোনো চরিত্রের চেয়ে কোনো অভিনেতার ক্লোন ব্যবহার করে ডিজিটাল মডেল তৈরি করলে তা অনেক বেশি বাস্তবসম্মত দেখায়। এসব মডেল ব্যবহার করে কোনো পণ্য বা সেবার প্রচার করা হয়ে থাকে।
এ ধরনের ভিডিও তৈরির চুক্তিতে কয়েক হাজার ইউরো পান তারকারা। এ ক্ষেত্রে শুটিংয়ের সময় ও পরিচিতির ওপর ভিত্তি করে অর্থ দেওয়া হয়। কিন্তু এসব চুক্তির শর্তে এমন কিছু বিষয় যুক্ত থাকে, যাতে দ্রুত অর্থ পাওয়ার আশায় তারকারা এগুলো গণ্য করেন না।
ব্যবসা আইনে বিশেষজ্ঞ আইনজীবী অ্যালিসা মালচিওডি বলেন, ‘আমি যাঁদের সঙ্গে কাজ করেছি, তাঁরা চুক্তির সময় পুরোপুরি বুঝতে পারেননি যে তাঁরা কিসের চুক্তি করছেন।’ তিনি এ বিষয়ে সবাইকে আরও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর
এছাড়াও পড়ুন:
শাহবাজ শরিফ–জয়শঙ্করকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোন, কী বললেন
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ফোন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। গতকাল বুধবার দুজনকে ফোন করেন তিনি। এ সময় হামলার ঘটনা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনা কমানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন রুবিও।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে বলেন, শাহবাজ শরিফের সঙ্গে ফোনকলে পেহেলগামে হামলার ‘নিন্দা জানানোর প্রয়োজনীতা নিয়ে’ কথা বলেন রুবিও। একই সঙ্গে ‘অযৌক্তিক’ এই হামলার তদন্তে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সহযোগীতার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে করা আলাদা একটি ফোনকলে নয়াদিল্লির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি পেহেলগামে হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত আছে বলে ভারত যে অভিযোগ তুলেছে এবং প্রতিশোধের যে হুমকি দিচ্ছে—এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানান তিনি।
ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় যে প্রাণহানি হয়েছে, তা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী (রুবিও)। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করার যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তা–ও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। একই সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।’