বগুড়া শহরে সড়ক অবরোধ করে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
Published: 20th, April 2025 GMT
বগুড়ায় ছয় দফা দাবি আদায়ে আজ রোববার আবারও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেছেন পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা। কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ডাকে পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেলা ১১টার পর বগুড়ার সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে সাতমাথা–বনানী সড়কে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়।
এদিকে এই কর্মসূচির কারণে শহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সড়কের দুই পাশে অটোরিকশা, ইজিবাইক, বাস, ব্যক্তিগত গাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন আটকে পড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে চালক ও যাত্রীদের।
বগুড়া ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (প্রশাসন) সালেকুজ্জামান খান বলেন, সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করায় ভোগান্তি এড়াতে ঢাকা–বগুড়া রুটে চলাচলকারী দূরপাল্লার বাস, শেরপুর–বগুড়া রুটের গেটলক বাসসহ সব যানবাহন চালকদের সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এড়িয়ে বনানী–শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ–মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল বিকল্প সড়ক হয়ে চলাচল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ছয় দফা দাবি আদায়ে ১৬ এপ্রিল শহরের বনানী এলাকায় ঢাকা–রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া ১৫ এপ্রিল একই দাবিতে শহরের সাতমাথায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন তাঁরা। শিক্ষার্থীদের ছয় দফার মধ্যে আছে হাইকোর্টের রায় প্রত্যাহার, নিয়োগবিধি সংশোধন, সব শূন্য পদে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগ, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে বয়সসীমা নির্ধারণ, আলাদা ‘কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়’ প্রতিষ্ঠা এবং উন্নত মানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি।
লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/রফিক