ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সুপার লিগে জয় পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও আবাহনী লিমিটেড। তাদের জয়ের দিনে এনামুল হক বিজয়ের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে জয় পেয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সও। এই সেঞ্চুরিতে বিজয় একটি রেকর্ডও গড়েছেন। প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে লিস্ট এ ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫০টি সেঞ্চুরির মাইলফলক ছুঁয়েছেন।

বিকেএসপিতে তাদের বিপক্ষে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ আগে ব্যাট করতে নেমে সাইফ হাসানের ৫২, তানজিদ হাসানের ৬৮, আফিফ হোসেনের ৩২ ও আকবর আলীর ২৯ রানে ভর করে ৩৯.

২ ওভারে ২২৩ রানে অলআউট হয়ে যায়।

গাজী গ্রুপের শেখ পারভেজ জীবন ৭ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ৫টি উইকেট নেন। ওয়াসি সিদ্দিকী নেন ২টি উইকেট।

আরো পড়ুন:

মোহামেডানে খেলবেন মোস্তাফিজ 

শীর্ষে এনামুল-রাকিবুল

রান তাড়া করতে নেমে এনামুল হক বিজয়ের অপরাজিত ১১০ রানের ইনিংসে ভর করে ৪১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে গাজী গ্রুপ। বিজয়ের ইনিংসে ১০টি চারের পাশাপাশি ১টি ছক্কার মার ছিল। এছাড়া সালমান হোসেন ইমন ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৮ ও সাদিকুর রহমান করেন ৩৬ রান। ম্যাচসেরা হন বিজয়।

এদিকে অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জয় পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। অগ্রণী ব্যাংক আগে ব্যাট করতে নেমে ইমরুল কায়েসের ৪১, অমিত হাসানের ৪০, ইমরানুজ্জামানের ৩৮ ও মার্শাল আইয়ুবের ৩৫ রানের ইনিংসে ভর করে ৪২ ওভারে ৯ উইকেটে ২৪০ রান তোলে।

বল হাতে মোহামেডানের মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ৯ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন। এবাদত হোসেন ৮ ওভারে ৩০ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। আর মোস্তাফিজুর রহমান ৯ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।

জবাব দিতে নেমে রনি তালুকদারের ১০০ বলে ১০টি চার ও ৫ ছক্কায় খেলা অনবদ্য ১২২ ও আনিসুল ইসলাম ইমনের ৭৫ রানের ইনিংসে ভর করে ৩৬.১ ওভারে জয় নিশ্চিত করে।

মোহামেডানের ৩টি উইকেটই নেন অগ্রণী ব্যাংকের আরিফ আহমেদ। ম্যাচসেরা হন মোহামেডানের রনি।

মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৫০ রানের দারুণ জয় পেয়েছে চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড। তারা আগে ব্যাট করতে নেমে পারভেজ হোসেন ইমনের ৮৩, মোহাম্মদ মিঠুনের ৪৫, জিশান আলমের ২৬ ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর ২৬ রানে ভর করে ৪৯.৫ ওভারে ২৭৮ রানে অলআউট হয়।

বল হাতে গুলশানের রায়হান আলী ইকরাম ও ফরহাদ রেজা ৩টি করে উইকেট নেন। ২টি উইকেট নেন নিহাদুজ্জামান।

জবাব দিতে নেমে নিহাদুজ্জামান ৭৩ বলে ৬টি চার ও ৫ ছক্কায় অপরাজিত ৮২ রানের ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি। ৫০ ওভারে তারা অলআউট হয় ২২৮ রানে।

নিহাদুজ্জামান ছাড়া সাকিব শাহরিয়ার ৪২, শাহাদত হোসেন সবুজ ৩৫ ও মেহেদী হাসান ২৫ রানের ইনিংস খেলেন।

বল হাতে আবাহনীর এসএম মেহরব, রাকিবুল হাসান, মাহফুজুর রহমান রাব্বি ও মোসাদ্দেক হোসেন ২টি করে উইকেট নেন।

৮৩ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন আবাহনীর ইমন।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট ন ন র ন র ইন জয় প য় ছ ব জয় র

এছাড়াও পড়ুন:

বিজয়-সাদমানের শতরানের জুটি, প্রথম সেশন বাংলাদেশের

চট্ট্রগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনটা দুর্দান্ত কেটেছে বাংলাদেশ। ৯ উইকেটে ২২৭ রানে দিন শুরু করে জিম্বাবুয়ে। দিনের প্রথম বলেই সফরকারীদের শেষ উইকেটটি তুলে নেন তাইজুল। ৬০ রানে ৬ উইকেট নিয়ে প্রথম ইনিংসের সেরা বোলার টাইগার এই স্পিনার।

জিম্বাবুয়েকে ২২৭ রানে গুটিয়ে দিয়ে ইতিবাচক শুরু করেন দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও সাদমান ইসলাম। কোনো উইকেট না হারিয়েই প্রথম সেশন শেষ করেন তারা। বিজয় ৩৮ এবং সাদমান ৬৬ রানে ব্যাট করছেন। ২৬ ওভারে বাংলাদেশ করে বিনা উইকেটে ১০৫ রান। এরপরই মধ্যাহ্নভোজে যায় দুই দল। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের পর এবারই প্রথম টেস্টের ওপেনিং জুটিতে পঞ্চাশ রান তুলতে পারল বাংলাদেশ। শুধু তাই নয় ৩২ ইনিংস পর বাংলাদেশ পেয়েছে ওপেনিং জুটিতে শতরানের জুটি। 

সাদমানের ফিফটি

সিলেট টেস্টে ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি সাদমান। তবে চট্টগ্রামে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। ৭৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ক্যারিয়ারে এটি তার ষষ্ঠ হাফ সেঞ্চুরি। ২৩ ওভার শেষে বাংলাদেশ কোনো উইকেট না হারিয়ে ৮৬ রান। সাদমান ৫০ রানে এবং বিজয় ৩৬ রানে ব্যাট করছেন।

সাদমান-বিজয়ের জুটির ফিফটি

সাদমান ইসলাম এবং এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে ইতিবাচক সূচনা পেয়েছে বাংলাদেশ।  ১৩.৪ ওভারে  বিনা উইকেটে ৫০ রান করেছে স্বাগতিকরা।  ১২ ইনিংস পর পঞ্চাশ পেরোনো শুরুর জুটি পেল তারা।  ভারতের বিপক্ষে গত বছর সেপ্টেম্বরে শেষবার ৬২ রানের জুটি গড়েছিলেন সাদমান ও জাকির হাসান।

প্রথম বলেই তাইজুলের আঘাত, ২২৭ রানে অলআউট জিম্বাবুয়ে

প্রথম দিনের দুই সেশনে দাপট দেখালেও শেষ সেশনে ব্যাটিং ধসে পড়ে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপ। ২ উইকেটেই ১৭৭ রান থেকে জিম্বাবুয়ে দিনশেষ করে ৯ উইকেটে ২২৭ রানে। তাইজুল ইসলাম ৫ উইকেট নিয়ে গতকাল তাদের এলোমেলো করে দিয়েছিলেন। 

দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল যত দ্রুত সফরকারীদের অলআউট করা যায়। এই লক্ষ্যে দিনের প্রথম বলেই মুজারাবানিকে ফেরায় তাইজুল। এতে প্রথম ইনিংসে ২২৭ রানেই অলআউট জিম্বাবুয়ে। ৬০ রানে ৬ উইকেট নিলেন তাইজুল।

তাইজুলের ঘূর্ণিতে প্রথম দিন বাংলাদেশের
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিজয়-সাদমানের শতরানের জুটি, প্রথম সেশন বাংলাদেশের
  • সাদমানের ফিফটি
  • সাদমান-বিজয়ের জুটির ফিফটি
  • প্রথম বলেই তাইজুলের আঘাত, ২২৭ রানে অলআউট জিম্বাবুয়ে