১০ বছরের সাজা থেকে বাঁচতে ১৯ বছর ছিলেন পালিয়ে। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। ধরা পড়তে হলো পুলিশের হাতে।
জানা যায়, চুনারুঘাট পূর্বাঞ্চলের একঢালা গ্রামের কনা মিয়ার ছেলে কাজল মিয়ার বিরুদ্ধে ২০০৬ সালে সিলেট বিয়ানীবাজার থানায় একটি ডাকাতি মামলা হয়। কিন্তু মামলার পর থেকে কাজল আত্মগোপন চলে যান। ওই মামলায় কাজলের বিরুদ্ধে ২০২১ সালে কাজলকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয় সিলেট যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
মামলার পর থেকে ১৯ বছর ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন কাজল। রোববার (২০ এপ্রিল) দিবাগত রাতে চুনারুঘাট থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেন। সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কাজলকে কারাগারে পাঠানো হয়।
তার গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করে চুনারুঘাট থানার ওসি নুর আলম জানান, গ্রেপ্তার কাজল সিলেট বিয়ানীবাজার থানার ডাকাতি মামলার আসামি। ওই মামলায় আদালত কাজলকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছিল আদালত। কিন্তু মামলার পর থেকে কাজল আত্মগোপন চলে যান। অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি