ভারতে মারধরের শিকার দুই বাংলাদেশি কৃষককে রোববার দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। পরে সোমবার ভারত সীমান্তে অনুপ্রবেশের মামলায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। তারা হলেন- হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার তুলশীপুর গ্রামের আবদুল আলীর ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (৫৩) ও একই গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে জামাল মিয়া (৫৪)।

ভুক্তভোগীদের স্বজনরা জানান, তোফাজ্জল ও জামাল মিয়া গত ১২ এপ্রিল সকালে গ্রামের পাশে কৃষিকাজ করতে গিয়ে ভুলে ভারতের পশ্চিম ত্রিপুরা সিদাই এলাকায় ঢুকে পড়েন। এ সময় সেখানকার লোকজন তাদের আটক করে মারধর শুরু করেন। এ ঘটনার ভিডিও চিত্র সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। 

ওই ভিডিওতে দেখা যায়, দুই বাংলাদেশিকে লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হচ্ছে এবং তাদের একজন ভারতীয় নিরাপত্তা সদস্যের পায়ে পড়ে সাহায্য চাইছেন। পরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে। এরপর রোববার বিকেলে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। দেশে ফেরার পর তাদের বিরুদ্ধে ‘ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের’ অভিযোগে বিজিবির পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। 

বিজিবি হবিগঞ্জ-৫৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজিল আহমেদ জানান, ভারতে আটক দুই বাংলাদেশিকে ফেরত চেয়ে প্রস্তাব দেয় বিজিবি। পরে বিএসএফ সদস্যরা হরিণখোলা সীমান্ত ফাঁড়ি বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে রোববার বিকেলে পতাকা বৈঠক করেন। ওই দিন সন্ধ্যায় আটক বাংলাদেশি তোফাজ্জল হোসেন ও জামাল মিয়াকে হস্তান্তর করেন। তারা ভারতে অনুপ্রবেশ করায় তাদের মাধবপুর থানায় সোপর্দ করা হয়।

মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুলাহ আল মামুন বলেন, ভারতে আটক দু’জনের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশে অভিযোগে মাধবপুর থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ধবপ র

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেট সীমান্তে বাংলাদেশে ঢুকে খুঁটি উপড়ে ফেলে বিএসএফ, স্থানীয়দের প্রতিবাদ
  • পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনে কর্মকর্তা নিয়োগ, বেতন ৫১,০০০ টাকা
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক