ঈদুল ফিতরে দেশের কম সংখ্যক হলে মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘জংলি’। তবে মুক্তির পর থেকে ক্রমশ দর্শকপ্রিয় হয়ে ওঠে এম রাহিম নির্মিত, সিয়াম আহমেদ এবং শবনম বুবলী অভিনীত ‘জংলি’। সব শো হাউসফুল যাচ্ছিল। শো কম থাকায় অনেকে টিকিট না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন প্রথমদিকে। দর্শকদের চাহিদা পূরণ করতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে আরও বাড়ানো হয় প্রদর্শনীর সংখ্যা। এমনকি এখনও অনেকে ‘জংলি’ দেখতে প্রেক্ষাগৃহে যাচ্ছেন। মুক্তির এতোদিন পরও কেবল সিনেপ্লেক্সেই চলছে সিনেমাটির ২১ টি শো। 

দেশের সিনেমাপ্রেমীদের মন জয় করে এবার কানাডা, আমেরিকা ও ইউকে’র ৪০টি থিয়েটারে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমা ‘জংলি’। ২৫ এপ্রিল থেকে স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো-এর পরিবেশনায়, ঈদের সিনেমাগুলোর মধ্যে দেশের বাইরে সবচেয়ে বেশি থিয়েটারে একযোগে মুক্তি পেতে যাচ্ছে এই সিনেমাটি।প্রথম সপ্তাহে কানাডার ৫টি,আমেরিকার ২৮টি ও ইউকে’র ৭টি থিয়েটারে চলবে 'জংলি'।

ইউ কে'তে স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো-এর সাথে যৌথভাবে পরিবেশনা করছে রিভেরি ফিল্মস।  

মূলত, তিন দেশের মোট চল্লিশটি শহরের,  চল্লিশটি বিশ্বখ্যাত চেইন থিয়েটারে ‘জংলি ’মুক্তি পাচ্ছে।

প্রথম সপ্তাহে প্রধান যেসব শহরে চলবে ‘জংলি’…  

কানাডা

টরন্টো, মন্ট্রিয়াল, অটোয়া, ভ্যানকুভার এবং উইন্ডসর

আমেরিকা

নিউ ইয়র্ক সিটি, বাফেলো, ডেট্রয়েট, শিকাগো, ফিলাডেলফিয়া, আটলান্টা, ডালাস, হিউস্টন, লস এঞ্জেলেস, ওয়াশিংটন ডিসি, আটলান্টিক সিটি এবং ক্যানসাস সিটি

ইংল্যান্ড

লন্ডন, বার্মিংহাম, ওয়েম্বলি, লুটন এবং ফেলথাম

এ বিষয়ে পরিবেশক স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো-এর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ অলিউল্লাহ সজীব বলেন, ‘বছরের এই সময়ে হলিউড এবং বলিউডের সিনেমার প্রেশার থাকে ওয়ার্ল্ড মার্কেটে। তবে ভাল শুরু পেলে, পরের সপ্তাহে এখান থেকে অনেক স্ক্রিন ধরে রাখতে পারবে 'জংলি'। সেই সাথে থাকছে আরেক বড় চেইন Cinemark (USA)-এ নতুন কিছু হল পাবার সুযোগ।’

বলা প্রয়োজন, ‘জংলি’ সিনেমায় মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছন সিয়াম আহমেদ, বুবলী ও দীঘি। শিশুশিল্পী চরিত্রে অভিনয় করেছেন নৈঋতা।

‘জংলি’ সিনেমার চারটি গানের সংগীত পরিচালনা করছেন প্রিন্স মাহমুদ। সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন  দিলারা জামান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রাশেদ মামুন অপু, সোহেল খান, এরফান মৃধা শিবলু প্রমুখ।

টাইগার মিডিয়া প্রযোজিত ‘জংলি’ সিনেমার গল্প লিখেছেন আজাদ খান, চিত্রনাট্য করেছেন যৌথভাবে মেহেদী হাসান মুন ও কলকাতার সুকৃতি সাহা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স য় ম আহম দ ঈদ র স ন ম

এছাড়াও পড়ুন:

ছয় গোলের থ্রিলারে জমজমাট ড্র বার্সেলোনা-ইন্টারের

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল মানেই উত্তেজনার পারদ চড়া—আর বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মিলে সেটিকে নিয়ে গেল অন্য উচ্চতায়। কাতালানদের ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে দর্শকরা উপভোগ করলেন এক দুর্দান্ত গোলবন্যার ম্যাচ। ম্যাচ শেষে ফল—৩-৩ গোলে ড্র।

মৌসুমের রেকর্ড ৫০ হাজার ৩১৪ দর্শকের সামনে ইউরোপীয় ফুটবলের এই মহারণে উভয় দলই তুলে ধরেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে ১৯৯৯ সালের পর এটিই প্রথম ম্যাচ যেখানে ছয়টি গোল হয়েছে এবং শেষ হয়েছে ড্রয়ে।

ম্যাচ শুরু হতে না হতেই চমকে দেয় ইন্টার মিলান। ম্যাচের মাত্র প্রথম মিনিটেই ডেনজেল ডামফ্রিজের ব্যাকহিল গোল দলকে এগিয়ে দেন মার্কাস থুরাম। এরপর ২১ মিনিটে আবারও দিমারকোর কর্নার থেকে ফ্রান্সেসকো আকেরবির সহায়তায় শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাক্রোব্যাটিকে ব্যবধান বাড়ান ডামফ্রিজ।

তবে ঘুরে দাঁড়াতে দেরি করেনি বার্সা। দুই মিনিট পরই ইয়ামাল ডান দিক থেকে একক নৈপুণ্যে দুর্দান্ত গোল করে ব্যবধান কমান। প্রথমার্ধ শেষের আগে পেদ্রির ফ্লিকে রাফিনিয়ার নিয়ন্ত্রণ এবং তাতে ফেরান তোরেসের শটে গোল করে ২-২ সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।

দ্বিতীয়ার্ধে লাউতারো মার্টিনেজের ইনজুরির পর মাঠে নামেন মেহেদি তারেমি। ৬০ মিনিটে কর্নার থেকে হেড করে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ডামফ্রিজ। কিন্তু দ্রুতই গোল শোধ করে বার্সা—ছোট কর্নার থেকে রাফিনিয়ার শট লাগে পোস্টে, সেখান থেকে গোলরক্ষক সোমারের পিঠে লেগে ঢুকে পড়ে জালে—ফলাফল ৩-৩। ৭৫ মিনিটে হেনরিখ মিখিতারিয়ান গোল করে ইন্টারকে আবারও এগিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ভিএআরের চোখে পড়ে সামান্য অফসাইড, বাতিল হয় সেই গোল।

এখন সবকিছু নির্ভর করছে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের ওপর, যা হবে ৬ মে, মঙ্গলবার, ইন্টারের ঘরের মাঠ জিউসেপ্পে মিয়াজ্জায়। ওই ম্যাচেই জানা যাবে ফাইনালে কারা প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ীর মুখোমুখি হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ