বন্দরে ছাত্রদল নেতার ক্লাব থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
Published: 23rd, April 2025 GMT
বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আল আমিনের ক্লাব থেকে আড়াইহাজার উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহেদ খন্দকারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বন্দরের মদনপুর এলাকার ছাত্রদল নেতার ক্লাব থেকে ওই যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জাহেদ খন্দকার আড়াইহাজার উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়নের পাঁচগাও মনিহার গ্রামের আবু সাঈদ খন্দকারের ছেলে।
ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মুজাহিদুল ইসলাম জানান, মদনপুর রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে ছাত্রদলের সভাপতি আল আমিনের ক্লাবঘরের ভেতর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় সোপর্দ করেছি। এ ব্যাপারে ওসি সাহেব ভাল বলতে পারবেন।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, জাহেদ খন্দকারকে একটি ক্লাব ঘর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক মামলা রয়েছে।
আমরা বিষয়টি আড়াইহাজার থানা পুলিশকে অবহিত করেছি। খুব শিগগিরই তাকে ওই থানায় পাঠানো হবে।
এদিকে নিজের ক্লাবঘর থেকে গ্রেপ্তার বিষয়টি অস্বীকার করে বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আল আমিন বলেন, আমি এ সম্পর্কে কিছুই জানি না।
আমি বর্তমানে মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। আমার বিরোধী পক্ষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ছ ত র দল গ র প ত র কর ছ ত রদল র স
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি।
লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/রফিক