দীর্ঘ বিরতির পর বলিউডে ফিরছেন পাকিস্তানি অভিনেতা ফাওয়াদ খান। তার কামব্যাক সিনেমার নাম ‘আবির গুলাল’। এতে তার বিপরীতে দেখা যাবে বাণী কাপুরকে। একদিকে যেমন দর্শকদের মধ্যে এই ছবি নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, অন্যদিকে অনলাইনে বিতর্কও উঠেছে। অনেকেই দাবি করছেন, পাকিস্তানি শিল্পীদের ভারতে কাজের সুযোগ দেওয়া উচিত নয়।

এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে বলিউড অভিনেত্রী দিয়া মির্জার একটি সাক্ষাৎকার। সম্প্রতি নিউজ১৮ শোতে দেওয়া দিয়া মির্জা এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে বলেন, শিল্পকে কখনই ঘৃণার সঙ্গে মেলানো উচিত নয়। বরং তিনি চান, ভবিষ্যতে পাকিস্তানি শিল্পীদের সঙ্গে আরও বেশি সংখ্যক যৌথ প্রজেক্ট হোক।

দিয়া আরও বলেন, ‘এটা একধরনের রাজনৈতিক প্রশ্ন। কিন্তু আমি সবসময়ই বিশ্বাস করি, শিল্প এবং খেলা- এই দুই মাধ্যমই শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা বহন করে। ঘৃণার সঙ্গে এগুলোকে মেলানো একেবারেই উচিত নয়। এটা খুব ভালো যে ফাওয়াদ আবারও পর্দায় ফিরছে। আমি আশা করি, এর ফলে ভবিষ্যতে আরও অনেক যৌথ উদ্যোগের সুযোগ তৈরি হবে।’

বলিউড হাঙ্গামা জানিয়েছেন, দিয়ার এই সাক্ষাৎকারটি জম্মু ও কাশ্মীরের পাহেলগামে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক সন্ত্রাসবাদী হামলার আগেই নেওয়া হয়েছিল। ফলে তার মন্তব্যটি সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নয়।

এদিকে বুধবার দিবাগত রাতে সোশ্যাল মিডিয়া ইনস্টাগ্রামে এক স্টোরিতে পাহেলগামে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক সন্ত্রাসবাদী হামলার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন ফাওয়াদ খান। তিনি লিখেছেন, ‘পেহেলগামে হামলার খবরে গভীরভাবে দুখিত আমি। এই ভয়াবহ ঘটনার শিকারদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। এই কঠিন সময় তাদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা করি আমরা।’

ফাওয়াদ খান এর আগেও বলিউডে তিনটি জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করেছেন- ‘খুবসুরাত’ (২০১৪), ‘কাপুর অ্যান্ড সন্স’ (২০১৬), এবং ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ (২০১৬)। প্রতিটি ছবিতেই তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল, বিশেষ করে ভারতীয় দর্শকদের মধ্যে তাঁর বিপুল জনপ্রিয়তার কারণে। সূত্র: বলিউড হাঙামা।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ