পাকিস্তানি অভিনেতা ফাওয়াদ ইস্যুতে দিয়া মির্জার পূর্বের মন্তব্য ভাইরাল
Published: 24th, April 2025 GMT
দীর্ঘ বিরতির পর বলিউডে ফিরছেন পাকিস্তানি অভিনেতা ফাওয়াদ খান। তার কামব্যাক সিনেমার নাম ‘আবির গুলাল’। এতে তার বিপরীতে দেখা যাবে বাণী কাপুরকে। একদিকে যেমন দর্শকদের মধ্যে এই ছবি নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, অন্যদিকে অনলাইনে বিতর্কও উঠেছে। অনেকেই দাবি করছেন, পাকিস্তানি শিল্পীদের ভারতে কাজের সুযোগ দেওয়া উচিত নয়।
এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে বলিউড অভিনেত্রী দিয়া মির্জার একটি সাক্ষাৎকার। সম্প্রতি নিউজ১৮ শোতে দেওয়া দিয়া মির্জা এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে বলেন, শিল্পকে কখনই ঘৃণার সঙ্গে মেলানো উচিত নয়। বরং তিনি চান, ভবিষ্যতে পাকিস্তানি শিল্পীদের সঙ্গে আরও বেশি সংখ্যক যৌথ প্রজেক্ট হোক।
দিয়া আরও বলেন, ‘এটা একধরনের রাজনৈতিক প্রশ্ন। কিন্তু আমি সবসময়ই বিশ্বাস করি, শিল্প এবং খেলা- এই দুই মাধ্যমই শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা বহন করে। ঘৃণার সঙ্গে এগুলোকে মেলানো একেবারেই উচিত নয়। এটা খুব ভালো যে ফাওয়াদ আবারও পর্দায় ফিরছে। আমি আশা করি, এর ফলে ভবিষ্যতে আরও অনেক যৌথ উদ্যোগের সুযোগ তৈরি হবে।’
বলিউড হাঙ্গামা জানিয়েছেন, দিয়ার এই সাক্ষাৎকারটি জম্মু ও কাশ্মীরের পাহেলগামে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক সন্ত্রাসবাদী হামলার আগেই নেওয়া হয়েছিল। ফলে তার মন্তব্যটি সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নয়।
এদিকে বুধবার দিবাগত রাতে সোশ্যাল মিডিয়া ইনস্টাগ্রামে এক স্টোরিতে পাহেলগামে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক সন্ত্রাসবাদী হামলার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন ফাওয়াদ খান। তিনি লিখেছেন, ‘পেহেলগামে হামলার খবরে গভীরভাবে দুখিত আমি। এই ভয়াবহ ঘটনার শিকারদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। এই কঠিন সময় তাদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা করি আমরা।’
ফাওয়াদ খান এর আগেও বলিউডে তিনটি জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করেছেন- ‘খুবসুরাত’ (২০১৪), ‘কাপুর অ্যান্ড সন্স’ (২০১৬), এবং ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ (২০১৬)। প্রতিটি ছবিতেই তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল, বিশেষ করে ভারতীয় দর্শকদের মধ্যে তাঁর বিপুল জনপ্রিয়তার কারণে। সূত্র: বলিউড হাঙামা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনবার দায়িত্ব পালনের দাবি ট্রাম্পের
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি এরই মধ্যে তিনবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। চলতি মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতাগ্রহণের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে মিশিগান অঙ্গরাজ্যে মঙ্গলবার আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ দাবি করেন। তাঁর দাবি, ২০২০ সালের নির্বাচনেও তিনি জিতেছিলেন। এর আগেও একাধিকবার তিনি এই দাবি করেছেন।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলায়, ২০২০ সালের নির্বাচনে জয়ের মিথ্যা দাবি করে আসছেন ট্রাম্প। ওই নির্বাচনে তিনি ডেমোক্রেটিক পার্টির জো বাইডেনের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার মিশিগানের সমাবেশে ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেন, বাইডেনের আমলেও তিনিই প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মঙ্গলবার সমাবেশে কিছু সমর্থক ট্রাম্পকে তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য আহ্বান জানান। তখন ট্রাম্প বলেন, ‘আপনারা যদি ধরেন, আমরা আসলে এরই মধ্যে তিনবার দায়িত্ব পালন করেছি। মনে রাখবেন, আমি কিন্তু জয় পছন্দ করি। আমি সেই তিনটি জয়ই পছন্দ করি, যা আমরা নিঃসন্দেহে পেয়েছিলাম। তবে, শুধু মাঝের মেয়াদের ফলাফলটা আমি পছন্দ করি না।’
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ২২তম সংশোধনী অনুযায়ী কেউ দুইবারের বেশি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন না। ট্রাম্প ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় লাভ করেন। পরে ২০২০ সালের নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। তবে ওই নির্বাচনের বাইডেনের কাছে পরাজিত হন। পরে ২০২৪ সালের ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে জয় পেয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসেন ট্রাম্প।ট্রাম্পের প্রতি অসন্তুষ্ট বেশির ভাগ মার্কিন, অর্থনীতি ও অভিবাসন ইস্যুতে অসন্তোষ বাড়ছে
আরও পড়ুনট্রাম্পের প্রতি অসন্তুষ্ট বেশির ভাগ মার্কিন, অর্থনীতি ও অভিবাসন ইস্যুতে অসন্তোষ বাড়ছে১৩ ঘণ্টা আগেচলতি মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কীভাবে তিনি আবার প্রেসিডেন্ট হতে পারেন, সে বিষয়ে ট্রাম্প গত মার্চ মাসে বলেছিলেন, ‘এটা করার কিছু উপায় আছে।’ মঙ্গলবারের বক্তৃতার শুরুতে ট্রাম্প ঠিকঠাকই বলেন, আমি মিশিগানে দুইবার জিতেছি। কিন্তু পরেই তিনি যুক্ত করেন, ‘আসলে আমরা তিনবার জিতেছি।’ ট্রাম্প মিশিগানে ২০১৬ ও ২০২৪ সালে নির্বাচনে জয় পেয়েছিলেন। ২০২০ সালে বাইডেনের কাছে মিশিগান অঙ্গরাজ্যে দেড় লাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি।
আরও পড়ুনট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আয় কতটা বাড়ল১২ ঘণ্টা আগে