সাত জেলায় তাপপ্রবাহ, রাজধানীতে কিছুটা তাপ কমল
Published: 25th, April 2025 GMT
দেশের সাত জেলায় আজ শুক্রবার বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। আজ প্রায় বৃষ্টিহীন সারা দেশ। গতকাল বৃহস্পতিবারের মতো আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে। তাপ বেড়ে যাওয়ার এ প্রবণতা আগামীকাল শনিবারও থাকতে পারে। আজ অবশ্য রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা খানিকটা কমেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানাচ্ছে, রোববার থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে। তাতে কমতে পারে তাপ।
আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে, ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের অন্য যেসব এলাকায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তার মধ্যে আছে যশোরে ৩৮ দশমিক ২, পাবনার ঈশ্বরদীতে ৩৮, সিরাজগঞ্জে ৩৭ দশমিক ২, চুয়াডাঙ্গায় ৩৬ দশমিক ৮, বগুড়ায় ৩৬ দশমিক ৫ এবং সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ীতে ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত থাকলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তা মাঝারি তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ ধরা হয়। তাপমাত্রা ৪২-এর বেশি হলে তা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে গণ্য হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর প্রতিদিন ৫১টি স্টেশনের আবহাওয়া পরিস্থিতি তুলে ধরে। আজ কোনো স্টেশনেই বৃষ্টির রেকর্ড নেই বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক। তিনি বলেন, বৃষ্টি কমে গেছে অনেকটা। সর্বশেষ আগের ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড আছে। এরপর আর বৃষ্টি হয়নি।
প্রায় চার দিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টি হলেও তাতে তাপ কমেনি।
আবহাওয়ার বার্তায় বলা হয়েছে, এখন যে তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে, তা আগামীকাল পর্যন্তও চলতে পারে।
মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, রোববার থেকে দেশের কিছু স্থানে বৃষ্টি শুরু হতে পারে। তাতে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।
আজ রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল তা ছিল ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে অনুযায়ী আজ তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে।
দেশের সবচেয়ে উষ্ণ মাস এপ্রিল। এর আগে গত বছর এ মাসের প্রায় পুরো সময়জুড়ে তাপপ্রবাহ ছিল। ওই বছর এপ্রিল ও মে মাস মিলিয়ে ৩৫ দিন তাপপ্রবাহ চলেছে। এটি ৭৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। এবার অবশ্য তা হয়নি। তবে মাসের শেষ সপ্তাহে এসে তাপপ্রবাহ বাড়ছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স লস য় স র কর ড দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
সেই রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যা ঘটেছিল
২৩ আগস্ট রাতে আমাদের গ্রেপ্তার
সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামন, এই লেখক শেখ আবদুল আজিজ ও আবদুস সামাদ আজাদ—এই ৬ জনকে ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট একসঙ্গে গ্রেপ্তার করে আমাদের পল্টনে কন্ট্রোল রুমে একটি ভাঙা বাড়িতে নেওয়া হয়। আমরা বসা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সৈয়দ আহমদকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জনৈক কর্নেল ফারুককে অনুরোধ করেছিলেন।
কর্নেল ফারুক উত্তরে বলেছিলেন, ‘আপনাদের সবার ট্রায়াল এখানে হবে।’ আমাদের উদ্দেশ করে বলা হয়েছিল, ‘ইউ উইল হ্যাভ টু জাস্টিফাই ইয়োর করাপশন।’ এ কথা শুনে আমরা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, এটা কোর্ট নয়, আদালত নয়, কীভাবে এখানে বিচার হবে? এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরস্পরের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ইতিমধ্যে মেজর ডালিম এসে এইচ এম কামারুজ্জামানের সঙ্গে আস্তে আস্তে কথা বলতে লাগল। কামরুজ্জামান ডালিমকে বলেছিল, ‘এ রকম তো কথা ছিল না!’ তারপর ডালিম চলে গেল। আমাদের সামনে আমাদের সহানুভূতিশীল পুলিশ কর্মচারীরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। কিছু সময় পর তারা এসে বলল, ‘আপনারা এই গাড়ি ও মাইক্রোবাসে তাড়াতাড়ি ওঠেন; সেন্ট্রাল জেলে যেতে হবে।’ আমরা গাড়িতে উঠলাম এবং ভাবলাম, বেঁচে গেলাম। সেন্ট্রাল জেলে প্রবেশ করলাম। আমাদের নতুন জেলে থাকার জায়গা করে দেওয়া হলো।