তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী পর্যালোচনা করে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের সদস্য ও কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ সাপোর্ট ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ডা. মোহাম্মদ জাকির হোসেন।

আজ শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন অব দি রুরাল পূয়র (ডর্‌প) আয়োজিত এক যুব সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, তামাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা একটি কঠিন কাজ, তবে এটিই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ।

সম্মেলনে তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য ডব্লিউএইচও ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোলের (এফসিটিসি) সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রণীত খসড়ার সংশোধনীগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি প্রস্তাব তুলে ধরে ডর্‌প যুব ফোরাম। সেগুলো হলো- অধূমপায়ীদের সুরক্ষার জন্য সব ধরনের পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা, তামাক পণ্যের প্রচার বন্ধ করার জন্য বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকপণ্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেটের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শিশু-কিশোর ও তরুণদের রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, তামাকপণ্যের সব প্রকার খুচরা ও খোলা বিক্রয় বন্ধ করা ও সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা। এছাড়াও তারা তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে বিভিন্ন কৌশল, সাফল্য, চ্যালেঞ্জ ও দাবি উপস্থাপন করে। 

অনুষ্ঠানে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের (এনটিসিসি) মহাপরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো.

আখতারুজ্জামান বলেন, নির্ধারিত ধূমপানের এলাকা এবং খুচরা শলাকা বিক্রয় নিষিদ্ধ করার বিষয়টি ইতোমধ্যে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এভাবে আমরা ছয়টি দাবিই বাস্তবায়ন করবো। 

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খন্দকার বলেন, মিয়ানমারে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ১২ বার সংশোধিত হয়েছে। আমাদের তাদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাস করতে হবে।

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ডর্‌পের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠাতা এএইচএম নোমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডর্‌পের উপ-নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ ধ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা, ঢাকার প্রার্থী যারা 

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭ জন প্রার্থীর মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ করেছে বিএনপি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আরো পড়ুন:

ঢাকা-৮ আসনে নির্বাচন করবেন মির্জা আব্বাস

যে আসন থেকে লড়বেন তারেক রহমান

তিনি জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দিনাজপুর-৩, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১ আসন এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বগুড়া-৬ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে নির্বাচন করবেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সালাহউদ্দিন আহমদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কক্সবাজার-১ আসন থেকে। এছাড়া, নোয়াখালী-৩ থেকে বরকতউল্লা বুলু, লক্ষ্মীপুর-৩ থেকে শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি ও টাঙ্গাইল-২ থেকে আবদুস সালাম পিন্টু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

ঢাকার প্রার্থী যারা
ঢাকা-১ আসনে খন্দকার আবু আশফাক, ঢাকা-২ আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা-৩ গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা-৪ তানভীর আহমেদ রবিন, ঢাকা-৫ নবী উল্লাহ নবী, ঢাকা-৬ ইশরাক হোসেন, ঢাকা-৮ মির্জা আব্বাস, ঢাকা-১১ এম এ কাইয়ুম, ঢাকা-১২ সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা-১৪ সানজিদা ইসলাম তুলি, ঢাকা-১৫ শফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা-১৬ আমিনুল হক এবং ঢাকা-১৯ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।

ঢাকা-৭, ৯, ১০, ১৩, ১৭, ১৮ ও ২০ আসনের প্রার্থী পরে ঘোষণা করা হবে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ