নিজেদের ক্রিয়েটিভ ক্লাউড প্ল্যাটফর্মে একাধিক নতুন সুবিধা যুক্ত করার পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ছবি ও ভিডিও তৈরির জন্য নতুন করে ফায়ারফ্লাই অ্যাপ চালু করেছে অ্যাডোবি। ‘ফায়ারফ্লাই এআই’ নামের অ্যাপটি কাজে লাগিয়ে ব্যবহারকারীরা কনটেন্ট তৈরির পরিকল্পনা করার পাশাপাশি ভিডিও নির্মাণের পুরো প্রক্রিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সহায়তা নিতে পারবেন। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ‘অ্যাডোবি ম্যাক্স’ সম্মেলনে অ্যাপটি উন্মুক্ত করার পাশাপাশি ক্রিয়েটিভ ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম সফটওয়্যারে নতুন সুবিধা যুক্তের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

অ্যাডোবির তথ্যমতে, ফায়ারফ্লাই এআই অ্যাপে ‘ফায়ারফ্লাই ইমেজ মডেল ৪’ ও ‘ফায়ারফ্লাই ভিডিও মডেল’-এর পাশাপাশি ওপেনএআইয়ের ‘চ্যাটজিপিটি’ এবং গুগল ক্লাউডের ‘জেমিনি’ মডেলও ব্যবহার করা যাবে। শিগগিরই অ্যাপটিতে আইডিয়োগ্রাম, লুমা, পিকা ও রানওয়ের মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের এআই মডেল যুক্ত করা হবে।

অ্যাডোবির ক্রিয়েটিভ ক্লাউড বিভাগের পণ্য বিপণন উপদেষ্টা দীপা সুব্রহ্মণ্য বলেন, ‘সৃজনশীল পেশাজীবীদের দ্রুত, নিখুঁত এবং নিয়ন্ত্রিতভাবে কাজের সুযোগ করে দিতে অ্যাডোবি নিরলসভাবে কাজ করছে। ফায়ারফ্লাই এআই তাদের সৃজনশীলতার পরিসর আরও বাড়িয়ে দেবে।’

ফটোশপের ‘অ্যাকশন প্যানেল’ নতুনভাবে সাজিয়েছে অ্যাডোবি। এর ফলে এআই এজেন্টের সহায়তায় এক ক্লিকেই ভিন্ন ভিন্নভাবে ছবি সম্পাদনা করা যাবে। ভিডিও সম্পাদনার জন্য ‘প্রিমিয়ার প্রো’ সফটওয়্যারে ‘মিডিয়া ইন্টেলিজেন্স’ সুবিধাও যুক্ত করেছে অ্যাডোবি, যা ভিডিও ক্লিপে থাকা বস্তু ও অন্যান্য ছবি দ্রুত শনাক্ত করতে পারবে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক ত কর

এছাড়াও পড়ুন:

পাল্টাপাল্টি হামলার তীব্রতা বাড়ল

ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে আরও অশান্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে হামলার তীব্রতা বাড়াচ্ছে দুই দেশ। ইসরায়েলে গত শনিবার রাতভর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। একই রাতে ইরানের গ্যাসক্ষেত্র ও তেল শোধনাগারে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় ইরানের কতজন নিহত হয়েছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।

গতকাল রোববার ছিল দুই দেশের পাল্টাপাল্টি হামলার তৃতীয় দিন। শনিবার রাতের পর রোববার দিনের বেলায়ও পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল ও ইরান। এদিন ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা জানিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র

গোষ্ঠী হুতি। চলমান সংঘাতে এই প্রথম ইরানপন্থী কোনো গোষ্ঠী যোগ দিল। এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশকে শান্ত করার জন্য প্রচেষ্টা শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ।

গতকাল রাত একটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছিল। এ রাতেও তেহরানের নিয়াভারান, ভালিয়াসর ও হাফতে তির স্কয়ার এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ইরানের পূর্বাঞ্চলে মাশহাদ বিমানবন্দরে একটি ‘রিফুয়েলিং’ উড়োজাহাজে আঘাত হানার কথা জানায় ইসরায়েলি বাহিনী। এই উড়োজাহাজগুলো আকাশে থাকা অবস্থায় অন্য উড়োজাহাজে জ্বালানি সরবরাহ করতে সক্ষম। ইরান থেকেও ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার খবর পাওয়া গেছে।

ইসরায়েলে ব্যাপক হামলা ইরানের

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ঠেকানোর কথা বলে গত বৃহস্পতিবার রাতে দেশটিতে প্রথমে হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই রাতে ইসরায়েলের দুই শতাধিক যুদ্ধবিমান ইরানের ‘পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র’ স্থাপনায় আঘাত হানে। শুক্র ও শনিবারও ইরানে হামলা চলে। পাল্টা জবাব দিচ্ছে তেহরানও। তবে ইসরায়েলে শনিবার রাতভর ইরান যে হামলা চালিয়েছে, তা ছিল সবচেয়ে ব্যাপক।

ইসরায়েলে শনিবার প্রথম দফায় ইরানের হামলা শুরু হয় রাত ১১টার পরপর। এ সময় ইসরায়েলের জেরুজালেম ও হাইফা শহরে বেজে ওঠে সাইরেন। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাইফায় অবস্থিত তেল শোধনাগার। পরে রাত আড়াইটার দিকে দ্বিতীয় দফায় হামলা শুরু করে ইরান। তখন তেল আবিব ও জেরুজালেমে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শনিবার রাতে দুই দফায় ৭৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। প্রথম দফায় ছোড়া হয় ৪০টি। এতে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের তামরা শহরে চারজন নিহত হন। দ্বিতীয় দফায় ছোড়া হয় ৩৫টি ক্ষেপণাস্ত্র। এর একটি আঘাত হানে তেল আবিবের কাছে বাত ইয়াম এলাকায়। এতে অন্তত ছয়জন নিহত ও প্রায় ২০০ জন আহত হন। এ ছাড়া রেহভোত শহরে আহত হয়েছেন ৪০ জন।

ইসরায়েলি হামলায় জ্বলছে ইরানের শাহরান তেলের ডিপো। গতকাল দেশটির রাজধানী তেহরানের কাছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ