এআই ছবি ও ভিডিও তৈরির জন্য নতুন করে ফায়ারফ্লাই অ্যাপ চালু করল অ্যাডোবি
Published: 27th, April 2025 GMT
নিজেদের ক্রিয়েটিভ ক্লাউড প্ল্যাটফর্মে একাধিক নতুন সুবিধা যুক্ত করার পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ছবি ও ভিডিও তৈরির জন্য নতুন করে ফায়ারফ্লাই অ্যাপ চালু করেছে অ্যাডোবি। ‘ফায়ারফ্লাই এআই’ নামের অ্যাপটি কাজে লাগিয়ে ব্যবহারকারীরা কনটেন্ট তৈরির পরিকল্পনা করার পাশাপাশি ভিডিও নির্মাণের পুরো প্রক্রিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সহায়তা নিতে পারবেন। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ‘অ্যাডোবি ম্যাক্স’ সম্মেলনে অ্যাপটি উন্মুক্ত করার পাশাপাশি ক্রিয়েটিভ ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম সফটওয়্যারে নতুন সুবিধা যুক্তের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
অ্যাডোবির তথ্যমতে, ফায়ারফ্লাই এআই অ্যাপে ‘ফায়ারফ্লাই ইমেজ মডেল ৪’ ও ‘ফায়ারফ্লাই ভিডিও মডেল’-এর পাশাপাশি ওপেনএআইয়ের ‘চ্যাটজিপিটি’ এবং গুগল ক্লাউডের ‘জেমিনি’ মডেলও ব্যবহার করা যাবে। শিগগিরই অ্যাপটিতে আইডিয়োগ্রাম, লুমা, পিকা ও রানওয়ের মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের এআই মডেল যুক্ত করা হবে।
অ্যাডোবির ক্রিয়েটিভ ক্লাউড বিভাগের পণ্য বিপণন উপদেষ্টা দীপা সুব্রহ্মণ্য বলেন, ‘সৃজনশীল পেশাজীবীদের দ্রুত, নিখুঁত এবং নিয়ন্ত্রিতভাবে কাজের সুযোগ করে দিতে অ্যাডোবি নিরলসভাবে কাজ করছে। ফায়ারফ্লাই এআই তাদের সৃজনশীলতার পরিসর আরও বাড়িয়ে দেবে।’
ফটোশপের ‘অ্যাকশন প্যানেল’ নতুনভাবে সাজিয়েছে অ্যাডোবি। এর ফলে এআই এজেন্টের সহায়তায় এক ক্লিকেই ভিন্ন ভিন্নভাবে ছবি সম্পাদনা করা যাবে। ভিডিও সম্পাদনার জন্য ‘প্রিমিয়ার প্রো’ সফটওয়্যারে ‘মিডিয়া ইন্টেলিজেন্স’ সুবিধাও যুক্ত করেছে অ্যাডোবি, যা ভিডিও ক্লিপে থাকা বস্তু ও অন্যান্য ছবি দ্রুত শনাক্ত করতে পারবে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ত কর
এছাড়াও পড়ুন:
দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ব্যবসা সম্প্রসারণ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য ডেস্ক চালু করল বেসিস
বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদার, ব্যবসা সম্প্রসারণ, বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং ব্যবসায়িক সহযোগিতা আরও বাড়াতে কোরিয়া ডেস্ক চালু করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। আজ মঙ্গলবার বেসিস মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বেসিস-কোরিয়া ডেস্কের উদ্বোধন করা হয়। এর আগে আমেরিকা ও জাপান ডেস্কও চালু করেছে বেসিস।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দক্ষিণ কোরিয়া উদ্ভাবনমুখী ও প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতির দেশ। আর তাই দেশটিতে বাংলাদেশের আইসিটি খাতের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। কোরিয়া ডেস্কের মাধ্যমে বাংলাদেশের সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলো সহজেই দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কার্যকর অংশীদারত্ব গড়ে তোলার সুযোগ পাবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।
সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. তৈয়বুর রহমান, কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কোইকা) কান্ট্রি ডিরেক্টর কিম তায়ইয়োং, কোরিয়ান কমিউনিটি ইন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ইউ ইয়ং ওহ, বাংলাদেশ-কোরিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (কেবিসিসিআই) সভাপতি শাহাব উদ্দিন খান ও বেসিস কোরিয়া ডেস্কের চেয়ারম্যান এডওয়ার্ড কিম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বেসিস সহায়ক কমিটির সদস্য (প্রশাসন) মো. ইমরুল কায়েস।
শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার ট্রিলিয়ন ডলারের প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতি ও শক্তিশালী ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ডিপিআই) কৌশলগত সহযোগিতার জন্য একটি আদর্শ মডেল তৈরি করেছে। বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্ভাবনী প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বেসিস কোরিয়া ডেস্কের মাধ্যমে উভয় দেশ একসঙ্গে ডিজিটাল অর্থনীতির বিশাল সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে, যা পারস্পরিক প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক বলেন, ‘বেসিস-কোরিয়া ডেস্ক আইসিটি সেক্টরে বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে ক্রমবর্ধমান সমন্বয়ের একটি মাইলফলক। এই উদ্যোগ দুই দেশের তথ্যপ্রযুক্তি এবং সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদারকরণ ও ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং ব্যবসায়িক সহযোগিতা জোরদার করতে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আমি আত্মবিশ্বাসী।
বেসিস কোরিয়া ডেস্কের চেয়ারম্যান এডওয়ার্ড কিম বলেন বেসিস কোরিয়া ডেস্ক বাংলাদেশি এবং কোরিয়ার প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কৌশলগত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করবে। বেসিস কোরিয়া ডেস্কের যাত্রা বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে শক্তিশালী করতে এবং বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশকে তথ্যপ্রযুক্তির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।