কুড়িগ্রামে ছুরিকাঘাতে মসলা বিক্রেতা নিহত
Published: 27th, April 2025 GMT
কুড়িগ্রামে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে ঝালমুড়ি বিক্রেতার ছুরিকাঘাতে এক মসলা বিক্রেতা নিহত হয়েছেন।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উলিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান। এর আগে আজ দুপুরে উলিপুর উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের কুড়ারপাড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম মাহবুল হোসেন (৪৪)। তিনি পান্ডুল ইউনিয়নের বাবুপাড়া এলাকার বানু শেখের ছেলে। অভিযুক্ত আলেপ উদ্দিন (৫১) একই এলাকার কুড়ারপার গ্রামের আছম উদ্দিনের ছেলে।
আরো পড়ুন:
৫১৭ মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ, তালিকা প্রকাশ করবে আইন মন্ত্রণালয়
যশোরে ব্যবসায়ী অপহরণের ১ মাস পর মামলা, গ্রেপ্তার ২
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত মাহবুল হোসেন ফেরি করে মসলা বিক্রি করতেন, আলেপ উদ্দিনও গ্রামে ফেরি করে ঝালমুড়ি বিক্রি করেন। তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এরই সুবাদে মাহবুল টাকা ধার নেন আলেপ উদ্দিনের কাছ থেকে। আজ আলেপ উদ্দিনের বাড়ির সামনে দিয়ে মাহবুল যাচ্ছিলেন। এসময় তার পথরোধ করা হয়। পরে পাওয়া টাকাকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। আপেল উদ্দিন তার হাতে থাকা চাকু দিয়ে মাহবুলকে আঘাত করেন। স্থানীয়রা মাহবুলকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উলিপুর থানার ওসি জিল্লুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মামলা নথিভূক্ত হয়েছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে রয়েছে।”
ঢাকা/বাদশাহ/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হত ম হব ল
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫