সাংগঠনিক কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজবাড়ী সুহৃদ সমাবেশের সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। গত শুক্রবার সমকাল জেলা প্রতিনিধির কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন রাজবাড়ী সুহৃদ সমাবেশের সভাপতি কমল কান্তি সরকার। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক রবিউল রবি।
সভায় আগামী কয়েক মাসের কর্মপরিকল্পনা হিসেবে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। রাজবাড়ী সুহৃদ সমাবেশের নতুন সংযোজন বইপড়া প্রতিযোগিতা নিয়েও নতুন সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী আরও কয়েকটি স্কুলে কর্মসূচি অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সুহৃদরা মতপ্রকাশ করেন। সবার মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত অনুষ্ঠানের আগে আয়োজিত হবে কয়েকটি প্রতিযোগিতা।
আলোচনায় অংশ নেন– সুহৃদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, আহসান হাবিব, সৌমিত্র শীল চন্দন, পাঠচক্র সম্পাদক আব্দুর রব সুমন ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক হৈমন্তি বিজয়। উপস্থিত ছিলেন বন ও পরিবেশ সম্পাদক নিলুফা আক্তার ইভা, কার্যনির্বাহী সদস্য তানজিনা তাজিন, স্মৃতি প্রামাণিক, ফারহান শাহরিয়ার প্রধান, আমিনুল ইসলাম মিলন, মাইশা আঞ্জুম, রিফাত হোসেন, মেহেরাব হোসেন সায়মুন, সোহাগ প্রমুখ।
সভা শেষে সভাপতি কমল কান্তি সরকার জানান, “বইপড়া কর্মসূচির পাশাপাশি আমাদের নিয়মিত আয়োজন ‘সুহৃদ পাঠচক্র’ অব্যাহত থাকবে।” সবাইকে পরবর্তী পাঠচক্রে অংশগ্রহণের আহ্বানের মধ্য দিয়ে সভা সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। v
সাধারণ সম্পাদক সুহৃদ সমাবেশ, রাজবাড়ী
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স হ দ সম ব শ অন ষ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
সেই রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যা ঘটেছিল
২৩ আগস্ট রাতে আমাদের গ্রেপ্তার
সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামন, এই লেখক শেখ আবদুল আজিজ ও আবদুস সামাদ আজাদ—এই ৬ জনকে ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট একসঙ্গে গ্রেপ্তার করে আমাদের পল্টনে কন্ট্রোল রুমে একটি ভাঙা বাড়িতে নেওয়া হয়। আমরা বসা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সৈয়দ আহমদকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জনৈক কর্নেল ফারুককে অনুরোধ করেছিলেন।
কর্নেল ফারুক উত্তরে বলেছিলেন, ‘আপনাদের সবার ট্রায়াল এখানে হবে।’ আমাদের উদ্দেশ করে বলা হয়েছিল, ‘ইউ উইল হ্যাভ টু জাস্টিফাই ইয়োর করাপশন।’ এ কথা শুনে আমরা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, এটা কোর্ট নয়, আদালত নয়, কীভাবে এখানে বিচার হবে? এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরস্পরের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ইতিমধ্যে মেজর ডালিম এসে এইচ এম কামারুজ্জামানের সঙ্গে আস্তে আস্তে কথা বলতে লাগল। কামরুজ্জামান ডালিমকে বলেছিল, ‘এ রকম তো কথা ছিল না!’ তারপর ডালিম চলে গেল। আমাদের সামনে আমাদের সহানুভূতিশীল পুলিশ কর্মচারীরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। কিছু সময় পর তারা এসে বলল, ‘আপনারা এই গাড়ি ও মাইক্রোবাসে তাড়াতাড়ি ওঠেন; সেন্ট্রাল জেলে যেতে হবে।’ আমরা গাড়িতে উঠলাম এবং ভাবলাম, বেঁচে গেলাম। সেন্ট্রাল জেলে প্রবেশ করলাম। আমাদের নতুন জেলে থাকার জায়গা করে দেওয়া হলো।