হাইমচরের মেঘনায় ১২ লাখ চিংড়ি রেনু জব্দ, পরে ডাকাতিয়ায় অবমুক্ত
Published: 29th, April 2025 GMT
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে ধরা ১২ লাখ বাগদা চিংড়ির রেনু পোনা জব্দ করা হয়েছে। তবে অবৈধ এই কাণ্ডে কাউকে আটক করতে পারেনি কোস্টগার্ড টিম।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাতে মেঘনার চরভৈরবী গরম বাজার এলাকা থেকে এক অভিযানে এসব রেনু পোনা জব্দ করা হয়। জব্দকৃত রেনু পোনার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৪৫ লাখ টাকা বলে জানায় কোস্টগার্ড।
চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো.
মৎস্য বিভাগ জানায়, এক শ্রেণির অসাধু জেলে বছরের এই সময়ে মেঘনা নদীতে ছোট জাল ব্যবহার করে অবৈধভাবে বাগদা চিংড়ির রেনু পোনা ধরে মজুদ করে। পরবর্তীতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পোনা জমা হলে তারা ট্রাকের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেনুগুলো চালান করে। যাদেরকে আইনের আওতায় আনতে তথ্য সংগ্রহ চলছে।
অভিযানে কোস্টগার্ডের চিফ পেটি অফিসার এম. শফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মির্জা ওমর ফারুক বলেন, “আমি নিজে উপস্থিত থেকে রাতে কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশন এলাকায় ড্রাম ভর্তি এসব চিংড়ি রেনু পোনা ডাকাতিয়া নদীতে অবমুক্ত করি।”
ঢাকা/জয়/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক
ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।
বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।