বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল কেন ১৫ দিন নিজের মূত্র পান করেছিলেন
Published: 29th, April 2025 GMT
বলিউডের প্রভাবশালী অভিনেতাদের তালিকায় অনায়াসে জায়গা করে নেবেন পরেশ। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মিমের জগতে পরেশের জনপ্রিয়তা অন্য মাত্রার। তাঁর অভিনীত সিনেমার দৃশ্যগুলো নিয়মিতই দেখা মেলে ফেসবুকের রিলস, মিম এমনকি টেলিভিশনের পর্দায়ও। হেরা ফেরি, দে দানা দান, আন্দাজ আপনা আপনার মতো জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। আর সেই পরেশই কি না একসময় টানা ১৫ দিন নিজের মূত্র পান করেছেন!
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই দাবি করেছেন পরেশ। ঘটনার সূত্রপাত আজ থেকে প্রায় দুই দশক আগে, রাজকুমার সন্তোষীর ঘটক সিনেমার শুটিং চলাকালে। শুটিংয়ের সময় হাঁটুতে গুরুতর আঘাত পান পরেশ, তাঁকে ভর্তি করা হয় মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে। হাঁটুর চোটে পুরোপুরি শয্যাশায়ী হয়ে যান এই অভিনেতা। তাঁকে দেখতে আসেন অভিনেতা অজয় দেবগনের বাবা, খ্যাতনামা অ্যাকশন কোরিওগ্রাফার বীরু দেবগন। হাঁটুর চোট সামলানোর এক অদ্ভুত উপায় বাতলে দিয়ে যান তিনি।
পরেশ রাওয়ালের ভাষায়, ‘বীরু (দেবগন) একদিন হাসপাতালে এসে বললেন, “প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে নিজের মূত্র পান করো। দেখবে সব ঠিক হয়ে যাবে। সিনেমার সব ফাইটাররাই খায়। কোনো সমস্যা হবে না। শুধু সকাল সকাল মূত্র পান করো।” সেই সঙ্গে দিয়েছিলেন খাদ্যতালিকায় পরিবর্তনের পরামর্শও। ছিল অ্যালকোহল, সিগারেট, খাসির মাংস থেকে দূরে থাকার পরামর্শ। অন্তত যতদিন “ইউরিন থেরাপি” চলে।’
বীরু দেবগনের পরামর্শ পরেশ রাওয়াল তেমন আমলে নেননি তখন। ভেবেছিলেন, এটা কখনো সম্ভব নাকি! একদিকে হাঁটুর চোটে বিছানা থেকে উঠতে পারছেন না, অন্যদিকে বীরুর পরামর্শ। অবশেষে ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে শরণাপন্ন হন নিজের মূত্রের!
পরেশের ভাষায়, ‘পরে সিদ্ধান্ত নিলাম, মূত্র যদি পান করতেই হয়, ছোট ছোট চুমুকে পান করব। একেবারে পান করব না।’
তারপর টানা ১৫ দিন নিজের মূত্র পান করেছেন পরেশ। তারপর কী হলো? পরেশের দাবি, বীরু দেবগনের পরামর্শমতো নিজের মূত্র পান করে নাকি উপকার হয়েছে! টানা ১৫ দিন ইউরিন থেরাপির তাঁর উন্নতি দেখে অবাক বনে যান খোদ চিকিৎসকও। এক্সরেতে দেখা যায়, পরেশের চোট পাওয়া হাঁটু ততদিনে সেরে উঠতে শুরু করেছে। যে হাঁটু সুস্থ হতে অন্তত দুই থেকে আড়াই মাস লাগার কথা, তা পুরোপুরি ঠিক হয়ে যায় দেড় মাসের মাথায়। পরেশ রাওয়ালের ভাষায়, ‘এ যেন ছিল ম্যাজিক।’
পরেশ রাওয়ালের এমন সাক্ষাৎকার সমালোচনার ঝড় তুলেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিভিন্ন মাধ্যমে চিকিৎসকেরাও বলছেন, চিকিৎসাবিজ্ঞানে এই টোটকার কোনো ব্যাখ্যা নেই। আর পরেশের ভক্তদের অনেকেও শোনাচ্ছেন কটু কথা।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
আরও পড়ুনএই বলিউড তারকারা কি বুড়ো হবেন না? ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন জ র ম ত র প ন কর ন পর শ ১৫ দ ন কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির
জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর
দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”
তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী