শেষ বিকেলের ব্যাটিং–ধসে আক্ষেপ সেঞ্চুরিয়ান সাদমানের
Published: 29th, April 2025 GMT
দিনটা হতে পারত পুরোপুরি বাংলাদেশের। তবে শেষ বিকেলের ছোট্ট এক ঝড়ে চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনটা বাংলাদেশের জন্য হলো অম্লমধুর। যা নিয়ে আক্ষেপ আছে চট্রগ্রাম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান ওপেনার সাদমান ইসলামের।
সাদমান যখন আউট হয়ে ফেরেন, দলের রান ৩ উইকেটে ১৯৪। সেখান থেকে বাংলাদেশ একপর্যায়ে ৩ উইকেটে ২৫৯ রানে চলে যায়। তবে লেগ স্পিনার ভিনসেন্ট মাসেকেসার ৩ উইকেট ও মুশফিকুর রহিমের রানআউটে বাংলাদেশ দিন শেষ করেছে ৭ উইকেটে ২৯১ রান নিয়ে। দিন শেষে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস থেকে বাংলাদেশ ৬৪ রানে এগিয়ে থাকলেও তাই আক্ষেপ আছে সাদমানের।
বাংলাদেশ ৩টি উইকেট বেশি হারিয়েছে, সেটা না হলে লিড ১০০ রানের বেশি থাকতে পারত—টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করা সাদমান আজ সংবাদ সম্মেলনে যা বলেছেন, সেটার মর্মার্থ এটাই, ‘আমরা ভালো অবস্থায় ছিলাম। আমার কাছে মনে হয়, ৩টা উইকেট বেশি হয়ে গেছে। আমরা যদি ওই উইকেটগুলো না হারাতাম, ১০০–এর বেশি লিডে থাকতাম। আমরা একটা ভালো অবস্থানে ছিলাম, কিন্তু ওখান থেকে হয়তো আমরা একটু পিছিয়ে আছি।’
আরও পড়ুনসাদমান–এনামুলে দারুণ শুরুর পর শেষ সেশনে পুরোনো ‘রোগ’১ ঘণ্টা আগেসাদমান আজ শুরু থেকেই ইতিবাচক ক্রিকেট খেলেছেন। আলগা বলগুলোতে রান আদায় করতে ভুল করেননি। টেস্টে কমপক্ষে ২৫ রান করেছেন—এমন ইনিংসগুলোর মধ্যে আজই তিনি সর্বোচ্চ ৬৬.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
পটুয়াখালীতে সালিস বৈঠকে অংশ নিলে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বিএনপি
পটুয়াখালীতে স্থানীয় পর্যায়ে সালিস বৈঠকে অংশ নিলে দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে ওই বিজ্ঞপ্তির কপি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
সম্প্রতি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী সালিস বৈঠকে অংশ নিয়ে আর্থিক লেনদেনে জড়িয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা এ বিষয়ে ফেসবুকে নানা মন্তব্য তুলে ধরে ক্ষোভ জানিয়েছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে জেলা বিএনপি এই বিজ্ঞপ্তি দেয়।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান টোটন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সামনে জাতীয় নির্বাচন। সংকটময় মুহূর্ত আসছে, তাই দলীয় নেতা-কর্মীরা যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনায় না জড়ান, তাই তাঁদের সতর্ক করা হয়েছে।’
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএনপি জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামী সংগঠন। এই দলের প্রত্যেক কর্মী জনগণের আস্থার প্রতীক এবং আন্দোলন-সংগ্রামের অগ্রণী সৈনিক। তাই দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখা ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে জেলা বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের কোনো নেতা-কর্মী স্থানীয় পর্যায়ে কোনো প্রকার সালিস, দাঙ্গা-ফ্যাসাদ বা পক্ষপাতদুষ্ট এবং মধ্যস্থতাকারী কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে না।
একই সঙ্গে ওই বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মসূচি এবং জনগণের পাশে থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া নেতা-কর্মীদের সদা হাস্যোজ্জ্বল, ভদ্র ও অমায়িক আচরণমুখী হতে বলা হয়েছে। এ নির্দেশনা অমান্য করলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।