নির্মাতার ঘোষণার অপেক্ষায় চিত্রাঙ্গদা
Published: 29th, April 2025 GMT
নীরজ পাণ্ডের সিরিজ ‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’-এ নজর কেড়েছিলেন অভিনেত্রী চিত্রাঙ্গদা সিং। হিন্দি সিনেমা, সিরিজে বরাবরই দর্শকের পছন্দের তালিকায় জায়গা পেয়েছেন তিনি। এবার সত্তর ও আশির দশকে বলিউডে আলোড়ন তোলা অভিনেত্রী স্মিতা পাতিলের বায়োপিকে অভিনয় করতে চান চিত্রাঙ্গদা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজকাল ডনইন জানিয়েছে, সম্প্রতি চিত্রাঙ্গদা সিং তার এ ইচ্ছার কথা অকপটে স্বীকার করেছেন।
এও জানিয়েছেন, বলিউডে অভিনয় শুরুর পর থেকে অনেকে প্রয়াত অভিনেত্রী স্মিতা পাতিলের সঙ্গে তার তুলনা করে আসছেন। এ দুই অভিনেত্রীর চেহারার গড়নের মিল আছে, এ কথা শুনেও অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
চিত্রাঙ্গদার কথায়, ‘স্মিতা পাতিলের সঙ্গে চেহারার মিল আছে এ কথাটা শুনলে ভালো লাগে। সে সঙ্গে তার কাজের ব্যাপ্তিও মনে রেখে আরও ভালো কাজ করার চেষ্টা করি। আমি নিজে স্মিতা পাতিলের খুব বড় ভক্ত। যদি কখনও তার জীবনী পর্দায় ফুটিয়ে তোলার সুযোগ পাই, তাহলে হাতছাড়া করব না। তাই অপেক্ষায় আছি নির্মাতাদের পক্ষ থেকে স্মিতা পাতিলের বায়োপিক নির্মাণের ঘোষণা শোনার।’
প্রসঙ্গত, এখনও বলিউডের বুকে স্মিতা পাতিলের মৃত্যুর ক্ষত। স্মিতার জীবন বরাবরই টালমাটাল। বরং বলা ভালো তার জীবন জুড়ে শুধুই ঝড়। কখনও বিবাহিত, রাজ বব্বরের সঙ্গে প্রেম-বিরহ ও এই প্রেম ঘিরে অসম্মান। কখনও আবার গোপনেই ভেঙে ফেলেন সংসার নিয়ে দেখা তার স্বপ্ন। ছেলে প্রতীককে জন্ম দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই মারা যান অভিনেত্রী।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গান নিয়েই আমার সব ভাবনা
কর্নিয়া। তারকা কণ্ঠশিল্পী। অনলাইনে প্রকাশ পাচ্ছে বেলাল খানের সঙ্গে গাওয়া তাঁর দ্বৈত গান ‘তুমি ছাড়া নেই আলো’। এ আয়োজন ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হয় তাঁর সঙ্গে–
‘ভাঙা ঘর’ ও ‘আদর’-এর পর প্রকাশ পাচ্ছে ‘তুমি ছাড়া নেই আলো’। একনাগাড়ে দ্বৈত গান গেয়ে যাচ্ছেন, কারণ কী?
শ্রোতাদের চাওয়া আর নিজের ভালো লাগা থেকেই দ্বৈত গান গাওয়া, এর বাইরে আলাদা কোনো কারণ নেই। কারণ, সব সময় ভাবনায় এটাই থাকে, যে কাজটি করছি, তা শ্রোতার প্রত্যাশা পূরণ করবে কিনা। সেটি একক, না দ্বৈত গান– তা নিয়ে খুব একটা ভাবি না। তা ছাড়া রুবেল খন্দকারের সঙ্গে গাওয়া ‘ভাঙা ঘর’ ও অশোক সিংয়ের সঙ্গে গাওয়া ‘আদর’ গান দুটি যেমন ভিন্ন ধরনের, তেমনি বেলাল খানের সঙ্গে গাওয়া ‘তুমি ছাড়া নেই আলো’ অনেকটা আলাদা। আসল কথা হলো, যা কিছু করি, তার পেছনে শ্রোতার ভালো লাগা-মন্দ লাগার বিষয়টি প্রাধান্য পায়।
দ্বৈত গানের সহশিল্পী হিসেবে নতুনদের প্রাধান্য দেওয়ার কারণ?
সহশিল্পীর কণ্ঠ ও গায়কি যদি শ্রোতার মনোযোগ কেড়ে নেওয়ার মতো হয়, তাহলে সে তরুণ, নাকি তারকা– তা নিয়ে ভাবার প্রয়োজন পড়ে না। এমন তো নয় যে, নতুন শিল্পীরা ভালো গাইতে পারে না। তা ছাড়া তারকা শিল্পী ছাড়া দ্বৈত গান গাইব না– এই কথাও কখনও বলিনি। তাই দ্বৈত গানে তারকাদের পাশাপাশি নতুনদের সহশিল্পী হিসেবে বেছে নিতে কখনও আপত্তি করিনি।
প্রতিটি আয়োজনে নিজেকে নতুন রূপে তুলে ধরার যে চেষ্টা, তা কি ভার্সেটাইল শিল্পী প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য?
হ্যাঁ, শুরু থেকেই ভার্সেটাইল শিল্পী হিসেবে পরিচিতি গড়ে তুলতে চেয়েছি। এ কারণে কখনও টেকনো, কখনও হার্ডরক, আবার কখনও ফোক ফিউশনের মতো মেলোডি গান কণ্ঠে তুলেছি। গায়কির মধ্য দিয়ে নিজেকে বারবার ভাঙার চেষ্টা করছি। সব সময়ই নিরীক্ষাধর্মী গান করতে ভালো লাগে। একই ধরনের কাজ বারবার করতে চাই না বলেই নানা ধরনের গান করছি। নিজেকে ভেঙে সব সময়ই নতুনভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা জারি রাখছি।
প্রযোজক হিসেবে নিজের চ্যানেলের জন্য নতুন কী আয়োজন করছেন?
আয়োজন থেমে নেই। তবে কবে নতুন গান প্রকাশ করব– তা এখনই বলতে পারছি না। কারণ একটাই, অন্যান্য কাজের মতো গান তো ঘড়ি ধরে কিংবা সময় বেঁধে তৈরি করা যায় না। একেকটি গানের পেছনে অনেক সময় দিতে হয়। কোনো কোনো গানের কথা-সুর-সংগীতের কাটাছেঁড়া চলে দিনের পর দিন। এরপর যখন তা সময়োপযোগী হয়েছে বলে মনে হয়, তাখনই প্রকাশ করি।
গান গাওয়ার পাশাপাশি মডেলিং বা অভিনয় করার ইচ্ছা আছে?
সত্যি এটাই, গান নিয়েই আমার সব ভাবনা। তারপরও অনেকের অনুরোধে কয়েকটি পত্রিকার ফ্যাশন পাতার জন্য মডেল হিসেবে কাজ করেছি। তবে মডেল হব– এমন ইচ্ছা নিয়ে কাজ করিনি। অভিনয় নিয়েও কিছু ভাবি না। অন্য কোনো পরিচয়ে পরিচিত হতে চাই না।