টাঙ্গাইলে স্কুল ঢুকে প্রধান শিক্ষককে ‘জুতাপেটা’
Published: 30th, April 2025 GMT
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগে টাঙ্গাইলের মধুপুরে একদল নারী অভিভাবক আব্দুল জব্বার নামে এক শিক্ষককে ‘জুতাপেটা’ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে মধুপুরের আকাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে ঢুকে তারা ওই শিক্ষকের ওপর হামলা করেন। ভুক্তভোগী আব্দুল জব্বার ওই বিদ্যালয়েল প্রধান শিক্ষক।
অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার স্কুলে ক্লাস করানোর সময় তাদের মেয়েদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করেছেন।
আরো পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে ৩০ স্কুলে চালু হলো ‘মিড ডে মিল’
এবার সিরাজগঞ্জে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার বলেন, “আমার মেয়েকে স্থানীয় এক যুবক উত্ত্যক্ত করতো। তাকে বিভিন্ন সময়ে বুঝানো হয়েছে। কথা না শুনায় তাকে শাসন করা হয়েছিল। সেই ছেলে ষড়যন্ত্র করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তদন্ত করলে সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসবে।”
তিনি আরো বলেন, “আমি শিক্ষার্থীদেরকে সন্তানের মতো দেখি। সেভাবেই আদর-শাসন করি। তদন্ত করে সঠিক বিষয়টি বের করার জন্য ঊর্ধ্বতনদের আহ্বন জানাচ্ছি।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রধান শিক্ষক হিসেবে আকাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত বছর এপ্রিল মাসে যোগ দেন আব্দুল জব্বার। বুধবার দুপুরে হঠাৎ করেই একদল নারী স্কুলে প্রবেশ করে তার কক্ষে যান। তারা আব্দুল জব্বারকে আক্রমণ করেন। এসময় সহকারী শিক্ষক সাজেদা বেগমসহ কয়েকজন প্রধান শিক্ষককে রক্ষার চেষ্টা করেন। ফলে শিক্ষকদের ওপর ক্ষিপ্ত হন হামলাকারীরা। পরে স্থানীয় কয়েকজন যুবক গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন।
প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলায় অংশ নেওয়া ঝুমা বেগম নামে এক অভিভাবক বলেন, “বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার ক্লাস নেওয়ার সময় আমাদের মেয়ের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়েছেন।” একই দাবি করেছেন সুমি বেগম নামে অপর এক নারী।
আকাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাজেদা বেগম বলেন, “আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলাকারীরা অফিসে প্রবেশ করে হামলা করেন। একপর্যায়ে তারা জুতা দিয়ে পেটাতে থাকেন। আমরা অনেক কষ্টে প্রধান শিক্ষককে হামলাকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করি।”
মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি হিসেবে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত আনজুম পিয়া ঘটনাস্থলে যান। তিনি ওই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে অভিভাবকদের আশ্বস্ত করেন।
মধুপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.
ঢাকা/কাওছার/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর শ ক ষকক সহক র
এছাড়াও পড়ুন:
১২০০ আহতকে সেবা দিলেন বাংলাদেশের চিকিৎসকরা
মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে আহত ১ হাজার ২০০ জনকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে বাংলাদেশের একদল চিকিৎসক। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওই চিকিৎসকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ২৮ মার্চ ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মিয়ানমার। এতে তিন হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারান। আহত হন কয়েক হাজার মানুষ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ভূমিকম্পে আহতদের চিকিৎসাসেবা দিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সদের সমন্বয়ে গঠিত একদল চিকিৎসক ১ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত মিয়ানমারে অবস্থান করেন। তারা আহত ১ হাজার ২০০ জনের চিকিৎসা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ২০০ জনকে সার্জারি করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত চিকিৎসক দলের উদ্দেশে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, মানবতার ধর্মই পরম ধর্ম। এ ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আপনারা যেভাবে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন, সেটা প্রশংসনীয়। এই প্রশংসনীয় কাজের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সাইদুর রহমানসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।