এবার পাকিস্তানি তারকাদের ইনস্টাগ্রাম বন্ধ করল ভারত
Published: 1st, May 2025 GMT
কাশ্মীর হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তানে বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত, যার রোষানলে পড়েছেন পাকিস্তানি তারকাদেরও। শোকপ্রকাশ করার পরও ভারতীয়দের কাছ থেকে কটাক্ষের শিকার তারা। এছাড়াও পাক তারকাদের ভারতের বিনোদন দুনিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিজ। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের
ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেলেহগামের বৈসরণ এলাকায় গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ বেসামরিক মানুষ নিহত হন। ভারতের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করা হয়। অভিযোগ অস্বীকার করে আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানায় পাকিস্তান। এরই মধ্যে দুই দেশ পাল্টাপাল্টি বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রতিদিন দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সীমান্তের শূন্যরেখায় গুলিবিনিময় হচ্ছে।
ভারতেও পাকিস্তানি তারকাদের বড় সংখ্যক ভক্ত রয়েছে। তাদের ইনস্টাগ্রামে অনুসারীদের একটা বড় অংশ রয়েছে ভারতীয়। কিন্তু এবার সেটিতে ভাটা পড়ছে। কারণ, পাকিস্তানি তারকাদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, হানিয়া আমির, মাহিরা খান, আলী জাফর, আয়েজা খান, ইকরা আজিজ এবং সানাম সাঈদসহ বেশ কয়েক পাকিস্তানি তারকাদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ব্লক করেছে ভারত সরকার। আজ বৃহস্পতিবার সরকারের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানি তারকাদের মধ্যে বলিউডে একসময়ে চুটিয়ে কাজ করেছেন রাহাত ফতেহ আলি খান, আতিফ আসলাম থেকে ফাওয়াদ খান, মাহিরা খান, আলি জাফরদের মতো একাধিক শিল্পীরা। তবে পুলওয়ামা কাণ্ডের পর বলিউডের ফিল্ম সংগঠনের কড়া নির্দেশে পাকশিল্পীদের প্রবেশ ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়। সুপ্রিম রায়ে শাপমোচন ঘটলেও সেখানে আর সেভাবে দেখা যায়নি তাদের।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দ র ইনস ট গ র ম
এছাড়াও পড়ুন:
সেই রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যা ঘটেছিল
২৩ আগস্ট রাতে আমাদের গ্রেপ্তার
সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামন, এই লেখক শেখ আবদুল আজিজ ও আবদুস সামাদ আজাদ—এই ৬ জনকে ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট একসঙ্গে গ্রেপ্তার করে আমাদের পল্টনে কন্ট্রোল রুমে একটি ভাঙা বাড়িতে নেওয়া হয়। আমরা বসা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সৈয়দ আহমদকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জনৈক কর্নেল ফারুককে অনুরোধ করেছিলেন।
কর্নেল ফারুক উত্তরে বলেছিলেন, ‘আপনাদের সবার ট্রায়াল এখানে হবে।’ আমাদের উদ্দেশ করে বলা হয়েছিল, ‘ইউ উইল হ্যাভ টু জাস্টিফাই ইয়োর করাপশন।’ এ কথা শুনে আমরা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, এটা কোর্ট নয়, আদালত নয়, কীভাবে এখানে বিচার হবে? এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরস্পরের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ইতিমধ্যে মেজর ডালিম এসে এইচ এম কামারুজ্জামানের সঙ্গে আস্তে আস্তে কথা বলতে লাগল। কামরুজ্জামান ডালিমকে বলেছিল, ‘এ রকম তো কথা ছিল না!’ তারপর ডালিম চলে গেল। আমাদের সামনে আমাদের সহানুভূতিশীল পুলিশ কর্মচারীরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। কিছু সময় পর তারা এসে বলল, ‘আপনারা এই গাড়ি ও মাইক্রোবাসে তাড়াতাড়ি ওঠেন; সেন্ট্রাল জেলে যেতে হবে।’ আমরা গাড়িতে উঠলাম এবং ভাবলাম, বেঁচে গেলাম। সেন্ট্রাল জেলে প্রবেশ করলাম। আমাদের নতুন জেলে থাকার জায়গা করে দেওয়া হলো।