কাশ্মীর হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তানে বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত, যার রোষানলে পড়েছেন পাকিস্তানি তারকাদেরও। শোকপ্রকাশ করার পরও ভারতীয়দের কাছ থেকে কটাক্ষের শিকার তারা। এছাড়াও পাক তারকাদের ভারতের বিনোদন দুনিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিজ। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের

ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেলেহগামের বৈসরণ এলাকায় গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ বেসামরিক মানুষ নিহত হন। ভারতের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করা হয়। অভিযোগ অস্বীকার করে আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানায় পাকিস্তান। এরই মধ্যে দুই দেশ পাল্টাপাল্টি বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রতিদিন দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সীমান্তের শূন্যরেখায় গুলিবিনিময় হচ্ছে। 

ভারতেও পাকিস্তানি তারকাদের বড় সংখ্যক ভক্ত রয়েছে। তাদের ইনস্টাগ্রামে অনুসারীদের একটা বড় অংশ রয়েছে ভারতীয়। কিন্তু এবার সেটিতে ভাটা পড়ছে। কারণ, পাকিস্তানি তারকাদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, হানিয়া আমির, মাহিরা খান, আলী জাফর, আয়েজা খান, ইকরা আজিজ  এবং সানাম সাঈদসহ বেশ কয়েক পাকিস্তানি তারকাদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ব্লক করেছে ভারত সরকার। আজ বৃহস্পতিবার সরকারের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তানি তারকাদের মধ্যে বলিউডে একসময়ে চুটিয়ে কাজ করেছেন রাহাত ফতেহ আলি খান, আতিফ আসলাম থেকে ফাওয়াদ খান, মাহিরা খান, আলি জাফরদের মতো একাধিক শিল্পীরা। তবে পুলওয়ামা কাণ্ডের পর বলিউডের ফিল্ম সংগঠনের কড়া নির্দেশে পাকশিল্পীদের প্রবেশ ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়। সুপ্রিম রায়ে শাপমোচন ঘটলেও সেখানে আর সেভাবে দেখা যায়নি তাদের।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ র ইনস ট গ র ম

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ