চকরিয়ায় ধর্ষণ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
Published: 2nd, May 2025 GMT
কক্সবাজারের চকরিয়ায় অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নুরুল আমিনকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (১ মে) রাতে চকরিয়া থানার ফাসিয়াখালী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান র্যাব-১৫-এর সহকারী পরিচালক (ল’ অ্যান্ড মিডিয়া অফিসার) আ. ম. ফারুক।
গ্রেপ্তার নুরুল আমিন চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের রিংডং ছগির শাহকাটা এলাকার মোক্তার আহমেদের ছেলে।
আরো পড়ুন:
সাভারে পোশাক শ্রমিককে পুড়িয়ে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার
আ.
র্যাব জানায়, মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভিকটিমকে অপহরণ করে ধর্ষণ করেন আসামি। এ ঘটনায় চকরিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়। মামলার পর থেকেই আসামি আত্মগোপনে ছিলেন।
আ.ম. ফারুক বলেন, “দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা এই আসামিকে ওয়ারেন্টভিত্তিক অভিযানে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাকে চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আগারগাঁওয়ে সেনা অভিযানে অপহৃত ৪ কিশোর উদ্ধার
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার আগারগাঁও এক নারী তার ছেলেকে অপহরণ করার অভিযোগ নিয়ে টহলরত সেনাবাহিনীর কাছে হাজির হন। অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, ওই নারীর ছেলে এবং আরও তিন কিশোরসহ মোট চারজনকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তাদের মুক্তির জন্য দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে।
অভিযোগ পাওয়ার পরপরই সেনা টহল দল এই ঘটনার বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে। টহল দল অপহৃতদের পরিবারকে কৌশলে অপহরণকারীদের সঙ্গে মুক্তিপণের বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে সময়ক্ষেপণ করে যেতে পরামর্শ দেন, যাতে তাদেরকে হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করা যায়। এরই মধ্যে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অপহরণকারীদের অবস্থান নির্ণয় করা হয়।
অতঃপর অপহরণকারীরা মুক্তিপণের বিষয়ে আলোচনার জন্য বাইরে আসে। কিন্তু সেনা ও গোয়েন্দার উপস্থিতি আঁচ করতে পারলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরপর সেনা টহল দল আগারগাঁওয়ের আমতলী বস্তি এলাকা থেকে অপহৃত চার কিশোরকে নিরাপদে উদ্ধার করে।
উদ্ধারকৃত কিশোররা হলো- আমিরুল ইসলামের ছেলে আলভী রহমান (১৫), মো. সোহেলের ছেলে মো. সজল (২০), আমিনুল ইসলামের ছেলে ইয়াসিন আরাফাত (১৬) এবং মো. মেহেদীর ছেলে হৃদয় আহমেদ (১৫)। তারা সবাই আগারগাঁও পাকা মার্কেট শেরেবাংলা নগরের বাসিন্দা।
বুধবার দুপুরে সেনাবাহিনীর ৪৬ বিগ্রেডের এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নিরাপদে উদ্ধার শেষে কিশোরদের তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় স্বস্তি ফিরে আসে এবং সেনাবাহিনীর তাৎক্ষণিক ও সফল অভিযান এলাকাবাসীর প্রশংসা অর্জন করে।
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর সেনাবাহিনীর সাথে যোগাযোগ করলে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য শেরেবাংলা নগর থানার সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। তবে মোহাম্মদপুর সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অপহৃত কিশোরদের সুস্থভাবে উদ্ধার করা গেছে, এটা আমাদের প্রাথমিক সাফল্য। এখন আমরা অপহরণকারীদের আটক করার জন্য অভিযান পরিচালনা করব।