টলিউডের আলোচিত জুটি পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং পিয়া চক্রবর্তী। দুইজনেরই আগে প্রেম ছিল, সংসার ছিল। সেই সংসার ভেঙে গেছে। এই দুইজনের চার হাত এক হয়েছে। গড়ে তুলেছেন সুখের সংসার। আর এখন অপেক্ষা করছেন সংসারে নতুন অতিথির জন্য। মা হতে চলেছেন পিয়া চক্রবর্তী। এই সময়ে পিয়ার একটু বেশিই যত্ন নিতে শুরু করেছেন পরম। দুইজনই আনন্দে, উত্তেজনায় সন্তানকে কোলে নেওয়ার দিন-ক্ষণ গুণছেন। সন্তানের জন্য কি কি লাগবে- সেসব নিয়েও অনেক চিন্তিত পরম।

পিয়া বলেছেন, ‘‘পরম আমার চেয়ে বেশি উত্তেজিত। সময় পেলেই আলোচনা করছে, সন্তানের জন্য কি কি কিনবে!” 
 
ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য, মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আছেন পিয়া। দুই পরিবার থেকেই পিয়াকে সাধ খাওয়ানো হয়েছে। এখন বন্ধুবান্ধবও খাওয়াচ্ছেন। ধীরে ধীরে এ বার এই পর্ব শেষ হতে চলেছে। আগামী এক মাস অখণ্ড অবসর। পিয়াকে সন্তানের জন্য কি কি কিনতে হবে, তার তালিকা তৈরি করে দিয়েছেন পারিবারিক সদস্য, ঘনিষ্ঠজনেরা। এ বার সেদিকে মন দেবেন তিনি।

পিয়া-পরমব্রত, দু’জনেই সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে উঠেছেন। পিয়ার গানের গলা ভাল। পরমব্রত প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতা। 
মা সুনেত্রা ঘটকের দিক থেকে পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের বংশধর পরম। তিনি গানও জানেন, গিটারও বাজান। পরমের চাওয়া, সন্তান সুস্থভাবে জন্মাক। তাদের মতোই সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে উঠুক।

আরো পড়ুন:

সত্যিই কি সালমান-শাবনূরের প্রেম ছিল, যা জানালেন ডন

পরিচালকের অপেক্ষায় আছেন হৃদি শেখ

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের নভেম্বরে বিয়ে করেছেন এই জুটি।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কম দায়ী নয়: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বনভূমি উজাড় ও গাছপালা কমে যাওয়ার জন্য বন বিভাগের দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি শহরের জিমনেশিয়াম মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে যদি বলা হয় যে আর কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই, তাহলে খুব বেশি ভুল হবে না। ৮০ সাল পর্যন্ত এখানে বন ছিল, গাছপালা ছিল, ঝোপঝাড় ছিল। এই অঞ্চলে বা দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কোনো অংশ কম দায়ী নয়।

সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের চেয়ে বড় আকারের বনভূমি এখন মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী কিংবা সিলেটে দেখা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে এই অবস্থা কেন সৃষ্টি হলো সবার ভাবতে হবে।

পার্বত্য উপদেষ্টা আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে সাধারণত ভাদ্র মাসের প্রথম দিকে শীতের অনুভূতি পাওয়া যেত। এখন কার্তিক মাসেও শীতের অনুভূতি পাওয়া যায় না। যারা আদিকাল থেকে এই অঞ্চলে বসবাস করে আসছে, তারা প্রকৃতি সচেতন ছিল। তাই তাদের ওপর খুব বেশি ভূমি ধস হয়েছে শোনা যায় না। তাদের বাড়িঘরেও হয়নি। প্রকৃতিকে যারা চেনে না, তাদের ওপর ভূমিধস হয়।

বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন পরিকল্পনা কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব এ কে এম আকমল হোসেন আজাদ, রাঙামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক মো. আবদুল আওয়াল সরকার, জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, সিভিল সার্জন নূয়েন খীসা, দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এসম সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। এর আগে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করা হয়। ৮ আগস্ট পর্যন্ত এই মেলা চলবে। বৃক্ষমেলায় ২১টি স্টল অংশগ্রহণ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ