পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ হ্যাকড হওয়ার বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে পেজটি উদ্ধারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

রবিবার (৪ মে) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজটি অপ্রত্যাশিতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। কিছু অনুপযুক্ত বিষয়বস্তু কিছু সময়ের জন্য যথাযথ অনুমোদন ছাড়াই শেয়ার করা হয়েছে বলেও দেখা গেছে। এই অপ্রত্যাশিত বাধার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, কারণ এই পেজটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়মিত প্রচারের জন্য মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে।

পেজটি বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণাধীন এবং বিষয়টি তদন্ত এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে  সুরক্ষা জোরদারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

আপাতত সম্পূর্ণভাবে পেজটি উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ফেসবুক পেজ থেকে কোনো পোস্ট বা বার্তা বিশ্বাস, শেয়ার বা যোগাযোগ না করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।

সরকারি আপডেট ও যোগাযোগের জন্য মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং প্রেস বিজ্ঞপ্তিসহ অন্যান্য যাচাইকৃত মাধ্যম ব্যবহার করার জন্য বলা হয়েছে।

শনিবার (৩ মে) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ হ্যাকড হওয়ার পর সেটা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ঢাকা/হাসান/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ফ সব ক প জ র অফ স য র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

আলো আর আসবে না, আপনারা অন্ধকারে নিমজ্জিত: উজ্জ্বল 

‘আরো দিব রক্ত, করব ফ্যাসিবাদ দোসর মুক্ত/ রক্তের ঋণে স্বাধীনতা, জাগ্রত হোক মানবতা’- এমন প্রতিপাদ্য নিয়ে পালিত হলো চলচ্চিত্রের কালো দিবস। 

রবিবার (৩ আগস্ট) সকালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের মূল ফটকের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন চলচ্চিত্র অঙ্গনের কর্মীরা।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রজনতার আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি ও গণহত্যার সমর্থনে গত বছরের ২ আগস্ট বিটিভি প্রাঙ্গণে এবং ৩ আগস্ট বিএফডিসিতে তৎকালীন হাসিনা সরকারের ইন্ধনদাতা শিল্পী-কলাকুশলীদের বিচার এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে বর্জন করার দাবিতে জুলাই আন্দোলনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মানববন্ধন ও চলচ্চিত্রের কালো দিবস পালন করেন তারা।

অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল বলেন, “আজ বাংলাদেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে। কিন্তু দোসরমুক্ত হয়নি। আজ আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে আছি এখানে গত বছরের এই দিনে কিছু সুবিধাবাদী, স্বৈরাচারের দোসররা অবস্থান নিয়েছিল ছাত্র-জনতার বিপক্ষে। তারা ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের সদস্য। তাদের বলতে চাই- আলো আর আসবে না। আলো বন্ধ হয়ে গেছে, তেল শেষ হয়ে গেছে। আপনারা অন্ধকারে নিমজ্জিত। আর আপনাদের চেহারা দেখা যাবে না।”

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা বদিউল আলম খোকন, চিত্রনায়ক আবির চৌধুরী, অভিনেতা মারুফ আকিব, জেবাসহ অনেকেই।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জুলাই আন্দোলনে ফ্যাসিস্টদের পক্ষ নেওয়া শিল্পী ও কলাকুশলীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে ক্ষমা চাইতে বলেন। অন্যথায় এসব শিল্পী-কলাকুশলী ও ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের সদস্যদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানানো হয়। একইসঙ্গে আন্দোলনের বিপক্ষে থাকা শিল্পী-কলাকুশলীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে বর্জন করার দাবি জানান।

ঢাকা/রাহাত

সম্পর্কিত নিবন্ধ